এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বেআইনি বালি ও পাথর খাদান নিয়ে কড়া বার্তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বড় নির্দেশ পুলিশকে

বেআইনি বালি ও পাথর খাদান নিয়ে কড়া বার্তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বড় নির্দেশ পুলিশকে


ঝাড়গ্রাম সহ রাজ্যের বিভিন্ন বেআইনি বালি ও পাথর খাদান বন্ধ করতে কড়া নিদান মুখ্যমন্ত্রীর। গতকাল ঝাড়গ্রাম জেলাশাসকের অফিসে প্রশাসনিক বৈঠক হয়ে গেল। সেখানেই সমস্ত জেলাশাসক এবং পুলিশ প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে বেআইন বালি এবং পাথর খাদান রোধে কড়া বার্তা দিলেন বঙ্গের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন,মাঝখানে বেশ কয়েকদিন এই বেআইনি কার্যকলাপ বন্ধ ছিল। ফের এগুলো চাঙ্গা হয়ে উঠেছে।

ঝাড়গ্রাম জেলার সুবর্ণরেখা নদীর দুপাশ থেকেই বেআইনিভাবে বালি পাথর তোলা হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে সর্বনাশ হয়ে যাবে। ভসরাঘাটের ব্রিজের নীচ থেকেও বালি তোলা হচ্ছে বলে নেত্রী কাছে খবর রয়েছে। এরপর ব্রিজ ভেঙে পড়বে রাজ্যসরকারের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলবে বিরোধীরা,গর্জে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী। এগুলো যারা করছে শুধুমাত্র টাকার লোভে করছে,এর সঙ্গে সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই এরকমটাই সাফ জানিয়ে দিলেন নেত্রী।

আসলে তিনি লোকসভা ভোটের আগে যেকোনো ধরণের বিতর্ক এড়াতেই আগেই সমস্ত কথা পরিস্কার করে দিতে চাইলেন। এই প্রেক্ষিতে ভূমি দপ্তরের আধিকারিকদের ধমক দিয়ে ক্ষমতায় থেকে দায়িত্ব পালন না করার কারণ জানতে চাইলেন। প্রশ্ন করলেন চোখের সামনে বেআইনি কাজকর্ম হতে দেখে তাঁরা মুখে কুলুপ এঁটে থাকছেন কেন? এদিকে গাড়ির পর গাড়ি লুট হয়ে যাচ্ছে। সমস্ত টাকাই বালি-পাথর মাফিয়াদের পকেটে ঢুকছে। আর ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে রাজ্যসরকারের।

এদিন মিটিং রাজ্যের সমস্ত বেআইনি বালি ও পাথর খাদান বন্ধ করার জন্য জেলার সব জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে নির্দেশ পাঠানোর জন্য মুখ্যসচিব মলয় দে ও রাজ্য পুলিসের ডিজিকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। ধমকের সুরে বলেন,’কেউ যদি মনে করেন, দু’বছরের জন্য আইসি হয়ে যা পারলাম কামিয়ে নিলাম, তা মানা হবে না। এটা কোনও আইসির কাজ নয়। পুলিস যখন টাকা-পয়সার কাছে বিক্রি হয়ে যায়, তখন পুলিস কন্ট্রোল করতে পারে না। যেটা হয়েছে কয়েক মাসে।’ সম্প্রতি ঝাড়গ্রাম পুলিশের শীর্ষ স্তরের রদবদল হয়েছে,সেদিকে ইঙ্গিত করেই মুখ্যমন্ত্রী এমন মন্তব্য করেছেন,এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

এদিন বিকেল তিনটে নাগাদ প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যসচিব মলয় দে জেলাশাসকের কাছে খাদান বিষয়ে জানতে চাইলে,তিনি বলেন খাদান অকশন করা হয়েছে। বেলপাহাড়িতে বেআইনি পাথর খাদান বন্ধ করা হয়েছে। সাঁকরাইল ও বিনপুরে কিছু সমস্যার কথা জানতে পেরে তদন্ত চালানো হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে মলয় বাবুও কড়া ভাষা জেলাশাসককে বলেন,’আপনাদের নিশ্চিত করতে হবে,যাতে বেআইনি বালি বা পাথর খাদান না চলে।’

এদিন মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ কোনো বিডিও,ডিএম,এসপি,এমকি কোনো ডিপার্টমেন্টে এড়িয়ে গেলে তাঁর জন্য উপযুক্ত শাস্তি রয়েছে বলেও হুঁসিয়ারী দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেআইনি ভাবে বালি-পাথর পাচার করে টাকা পকেটস্থ হচ্ছে দুর্নীতিবাজদের আর মাঝখান থেকে বদনাম হচ্ছে সরকারের। এভাবে চলতে পারে না। এর কড়া মনিটারিং করার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবং এ ব্যাপারে কারোর দাদাগিরি বরদাস্ত করবেন নেত্রী,এমনটাও কড়াভাবে জানিয়ে দেন তিনি। ঝাড়গ্রামে বড় শিল্পের সম্ভাবনা কম। তাই ক্ষুদ্র শিল্পের উন্নয়নে জোর দেওয়ার পরামর্শ দেন নেত্রী। বিশেষ করে হাঁসের ডিম উৎপাদন করার ক্ষেত্রে এই জেলাকে গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। এর পাশাপাশি এদিন নেত্রীকে জেলাশাসকের প্রশংসাও করতে দেখা যায়। বলেন,’আয়েষা খুব ভালো কাজ করছে।’ এর সঙ্গেই মিডডে মিলের চাল ঠিকঠাক ব্যবহার হচ্ছে কিনা তার জন্য স্কুলগুলোতে আইসি ও বিডিওদের সারপ্রাইজ ভিজিট করতে বলেন।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

নবনির্বাচিত প্রতিনিধিদের এলাকায় গিয়ে কাজ দেখে আসার নির্দেশ দেন৷ নেত্রীর কাছে খবর রয়েছে,মিডডে মিলের চাল বেআইনিভাবে টাকার লোভে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। সেই সূত্রেই এদিন আইসি,বিডিওদের ধমক দিলেন তিনি। সূত্রের খবর,এদিন তিনি সভা শেষে হেলিকপ্টারে করে ঝাড়গ্রাম শহরে আসার সময় নদী এবং ব্রীজের পাশ থেকে বালি তুলতে দেখেন নিজের চোখে। তারপরই প্রশাসনের আধিকারিকদের উদ্দেশ্য করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। এখন মুখ্যমন্ত্রী ধমকের পর প্রশাসন বেআইনি বালি,পাথর খাদান বন্ধ করতে কতোটা তৎপর হয়,সেটাই দেখার!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!