বিজেপির কথা শুনে ভুয়ো খবর করছেন, আমি ব্যবস্থা নিতে পারতাম, নিইনি! সাংবাদিকদের বার্তা মমতার কলকাতা রাজ্য April 30, 2020July 26, 2021 অনেক ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের অনেক প্রশ্নের কড়া জবাব দিতে দেখা গেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। রাজ্যের বিভিন্ন জ্বলন্ত ইস্যুর ওপর সংবাদিকরা প্রশ্ন করলেই তাদের হুঁশিয়ারি দেন মুখ্যমন্ত্রী বলে অভিযোগ বিরোধীদের। বর্তমানে করোনা ইস্যুতে কাঁপছে গোটা বাংলা। যত দিন যাচ্ছে, ততই বাড়ছে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা। আর এই পরিস্থিতিতে বিরোধীদের পক্ষ থেকে সরকারকে কোণঠাসা করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এমতাবস্তায় বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করতে গিয়ে সংবাদমাধ্যমের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, এদিন তিনি বলেন, “কোনো খবর করতে গেলে সরকারের প্রতিক্রিয়া নেওয়াটাও কাজের মধ্যে পড়ে। কিন্তু তা একপেশে হয়ে পড়েছে। বিজেপির কথা শুনে ধ্বংসাত্বক খবর করা হচ্ছে। সাংবাদিকরা সঠিকভাবে আচরণ করুন।” আর এরপরই কিছুটা হুঁশিয়ারি দিয়ে প্রশাসনিক প্রধান বলেন, “ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট অনুযায়ী সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াই যায়।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তার সঙ্গেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগ করেন, “কিন্তু আমি তা করিনি। কেননা এটা বাংলার সংস্কৃতি নয়। সরকার মানবিকতায় বিশ্বাসী। সহনশীলতা আমাদের ধর্ম।” বস্তুত, একদিকে করোনা মোকাবিলায় সরকারের বিরোধিতা এবং অন্যদিকে সম্প্রতি লকডাউনকে মান্যতা দিতে গিয়ে যেভাবে পুলিশের ওপর আক্রমণ করেছে কিছু যুবক, তাতে রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিরোধীরা। আর এই খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পরেই কিছু সংবাদ সংস্থার বিরুদ্ধে ভুয়ো খবর রটানোর অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে মত একাংশের। অনেকে বলছেন, গণতন্ত্রের অন্যতম স্তম্ভ হচ্ছে সংবাদমাধ্যম। সত্য খবর পরিবেশন করা তাদের কাজ। আর এবার সেই সংবাদমাধ্যমের দিকে যে ‘বার্তা’ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী তা নিয়ে বিতর্ক বাড়তে বাধ্য বলেই মনে করছেন অভিজ্ঞ মহল। বস্তুত, সম্প্রতি রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্য সরকারের বিরোধ, করোনা ট্রেনের নামে শাসকদলের একাধিক নেতার দুর্নীতি বা করোনা চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো না থাকা – এমন বহু খবর সামনে এসেছে। যা নিঃসন্দেহে রাজ্যের শাসকদলের অস্বস্তি বাড়াতে বাধ্য। তার পরিপ্রেক্ষিতেই কি মুখ্যমন্ত্রীর এহেন ‘বার্তা’? উত্তরের খোঁজে রাজ্য রাজনীতি। আপনার মতামত জানান -