এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > কাজের মাধ্যমে একমাত্র তৃণমূলের যোগ্য নেতা হয়ে উঠতে পারবেন, কারোর ব্যক্তিগত সুবিধা পাওয়ার অবকাশ নেই – মমতা ব্যানার্জি

কাজের মাধ্যমে একমাত্র তৃণমূলের যোগ্য নেতা হয়ে উঠতে পারবেন, কারোর ব্যক্তিগত সুবিধা পাওয়ার অবকাশ নেই – মমতা ব্যানার্জি


বিরোধী দল তো বটেই, শাসক দলের অন্দরেও কান পাতলেই শোনা যায়, তৃণমূলের বর্তমান সেকেন্ড-ইন-কমান্ড তথা যুব তৃনমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তড়িৎ গতিতে রাজনৈতিক উত্থানের কথা। অনেকেই দাবি করেন, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্কে ভাইপো হওয়ার জন্যই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একেবারে তৃণমূলের শীর্ষস্তরে চলে গিয়েছেন।

পাশাপাশি বিরোধীদের তরফে এও দাবি করা হয় যে, দীর্ঘ বিরোধী আন্দোলনে তৃণমূলের যে সমস্ত নেতারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থেকে প্রবল লড়াই দিয়েছিলেন, ক্ষমতায় আসার পর তাদের সকলের মাথার উপর বসিয়ে দেওয়া হয়েছে সেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যা রাজনীতিতে স্বৈরাতন্ত্র এবং পরিবারতন্ত্রেরই নামান্তর বলে অভিযোগ জানানো হয়। কিন্তু তৃণমূলের তরফে বারে বারেই বলা হয়েছে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো হলেও দলে অন্যান্য কর্মীরা যে মর্যাদা পান, তিনিও সেই একই মর্যাদা পান।

অন্যদের মতো তিনিও দলের একজন কর্মী। এমনকি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখেও মাঝেমধ্যে এই কথা শোনা গেছে। আর লোকসভা ভোটের মরসুমে তৃণমূলের অন্দরে সেই অভিষেকের উত্থান নিয়ে যাতে ঝড়ো হাওয়া তোলা যায়, তার জন্য বারেবারেই রাজ্যে এসে পিসি ভাইপোর কথা তুলে ধরে তৃণমূলকে বিঁধতে দেখা গেছে বিজেপির হেভিওয়েট নেতা নেত্রীদের।

আর এবার সমস্ত সমালোচনার ঊর্ধ্বে উঠে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলের একজন সামান্য কর্মী বলে প্রমাণ করবার জন্য মরিয়া চেষ্টা চালালেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে বজবজের প্রচারসভা থেকে প্রথমেই পিসির ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে ভাইপো অভিষেককে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সবাইকে নমস্কার করো।”

আর তারপরই বিজেপির পরিবারতন্ত্রের অভিযোগের পাল্টা জবাব দিয়ে তৃণমূল নেত্রী বলেন, “আমার পরিবারের সবাই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। কিন্তু কেউ প্রকাশ্যে আসে না। একটা সময় বাড়ির ভাইবোনেরা মিলে মিছিল করেছি। মা আঠা বানিয়ে দিয়েছে, পোস্টার মেরেছি। সেই জায়গা থেকে আজকে আমার পরিবারের একটা ছেলে অভিষেক রাজনীতিতে এসেছে বলে বিজেপি কটাক্ষ করছে। অভিষেক আমার পরিবারে জন্মেছেন বলেই কি এত দোষ!”

পাশাপাশি তৃণমূল নেত্রী বলেন, “বিশ্বাস করুন, অভিষেক একটা বাড়তি সুবিধাও এখান থেকে নেয় না। কাজের মাধ্যমেই একমাত্র তৃণমূলের যোগ্য নেতা হয়ে উঠতে পারা যায়। কোনোমতেই কারোর ব্যক্তিগত সুবিধা পাওয়ার অবকাশ এখানে নেই।”

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বিরোধীদের তরফে যখন তৃণমূলে পিসি ভাইপো রাজ চলছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে, ঠিক তখনই একদিকে বিরোধীদের অভিযোগ খন্ডন, আর অন্যদিকে দলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্থান নিয়ে দলীয় কর্মীদের একাংশের অভিমানকে এদিন নিজের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে প্রশমিত করার চেষ্টা করলেন তৃনমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!