এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ‘উন্নয়নের’ জয়, কি বলছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?

সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ‘উন্নয়নের’ জয়, কি বলছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?

অবশেষে রাজ্যের পঞ্চায়েত নিয়ে ফয়সালা হল সুপ্রিম কোর্টে – আর রায় বেরোতেই দেখা গেল হাসি চওড়া হয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের। অন্যদিকে, বড়সড় ধাক্কা খেল – বিজেপি, বামফ্রন্ট সহ বিরোধী দলগুলো। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে স্পষ্ট – নতুন করে কোনও ভোট করা হবে না। ফলে, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভোটে জয়ী প্রার্থীদের নামও ঘোষণা করা যাবে এবার। আর তাই বোর্ড গঠনেও আর কোনো বাধা রইলো না।

প্রসঙ্গত, রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘন্ট ঘোষণা হতেই বিজেপি-বামফ্রন্ট-কংগ্রেস সকলেই মিলিতভাবে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাসের’ অভিযোগ তুলেছিল। এমনকি রাজ্যের যে প্রায় ৩৪% আসনে শাসকদল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে – তার পরিপ্রেক্ষিতে দাবি ছিল, শাসকদলের ‘লাগামহীন সন্ত্রাসের’ ফলেই সেখানে বিরোধীরা প্রার্থী দিতে পারে নি। যদিও শাসকদল প্রতিটি ক্ষেত্রেই সেই দাবি উড়িয়ে জানিয়েছিল – বিরোধীরাই প্রার্থী খুঁজে পায় নি।

যদিও তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর দলের করা ‘সন্ত্রাসের’ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রথমদিন থেকেই দায় চাপিয়েছেন বিরোধীদের পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমের উপরেও। তাঁর কথামত, পঞ্চায়েত নির্বাচনে সন্ত্রাস হয়েছে – কিন্তু করেছে বিরোধীরা। ফলে তাঁর দলের কর্মীরাই খুন হয়েছেন। অন্যদিকে, রাজনৈতিক লড়াইয়ে পারবে না বুঝে ঝামেলা করতে গিয়ে বা বোমা নিয়ে যেতে গিয়ে মারা গেছেন বিরোধী দলের কর্মীরা।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এই প্রসঙ্গে তিনি পাল্টা অভিযোগ করেন, বিরোধীরা এক হয়ে গেছে। জগাই-মাধাই-বিদায় (বামফ্রন্ট-কংগ্রেস-বিজেপি) এক হয়ে গিয়ে তাঁর দলের বিরুদ্ধে কুৎসা করছে। আজ সুপ্রিম কোর্টের রায় তাঁর দলের পক্ষে যেতেই, স্বাভাবিকভাবেই খুশি তৃণমূলনেত্রী। তিনি এই ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায়কে মানুষের জয় বলে অভিহিত করেন।

পাশাপাশি একযোগে পুনরায় তিনি তীব্র তোপ দাগেন তিন বিরোধী সিপিএম, বিজেপি ও কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, বিরোধীদের করা কুত্‍সার বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে শীর্ষ আদালত – জয়ী হয়েছেন রাজ্যের সাধারণ মানুষ। সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলায় এবং বিগত পঞ্চায়েত বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় – রাজ্য সরকারকে প্রশাসক বসিয়ে কাজ চালাতে হচ্ছিল। মুখ্যমন্ত্রীর দুশ্চিন্তা ছিল, এর ফলে থমকে যাবে গ্রামোন্নয়ন। ফলে আজকের রায়ের পরে স্বভাবিকভাবেই স্বস্তির স্বর তাঁর গলায়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!