এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পুজোর উদ্বোধনেই “প্রমাণিত”? এবার তীব্র উত্থান ঘটতে চলেছে এই তৃণমূল নেতার? বাড়ছে জল্পনা

পুজোর উদ্বোধনেই “প্রমাণিত”? এবার তীব্র উত্থান ঘটতে চলেছে এই তৃণমূল নেতার? বাড়ছে জল্পনা


তৃণমূল দল এবং প্রশাসনে সর্বাধিনায়িকা যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, একথা অস্বীকার করার ক্ষমতা নেই কারোরই। দলীয় স্তরে কার পয়েন্ট বাড়বে, তার জন্য নেত্রীর আস্থাভাজন হতে তৃণমূলের ছোট, বড়, মেজো সব নেতারাই মুখিয়ে থাকেন। কখনও কখনও নেত্রীও কোনো কোনো নেতার হাতে গুরুদায়িত্ব দিয়ে বুঝিয়ে দেন যে, বর্তমানে তার পছন্দের তালিকায় রয়েছেন কোন কোন নেতা বা নেত্রী।

আর কার পুজো কখন উদ্বোধন হচ্ছে তৃণমূল নেত্রীর হাত ধরে – সেই ‘সিকোয়েন্স’ দেখেও নাকি বোঝা যায়, দলে এবার কার উত্থান হচ্ছে আর কে পিছিয়ে পড়ছেন! ফলে, অন্যান্যবারের মতো এবারেও পুজো উদ্বোধনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত দিয়ে তৃণমূল দলের কোন হেভিওয়েট নেতা তার ক্লাবের পূজো উদ্বোধন করাবেন – সেদিকে নজর ছিল প্রত্যেকেরই। গতবছর সুজিত বসুর পুজো মণ্ডপের উদ্বোধন দিয়ে তার পুজো উদ্বোধনের কর্মসূচি শুরু করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আর এবার সেই সুজিত বসুকে টপকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিয়ে প্রথম পুজো উদ্বোধন করিয়ে কার্যত তৃণমূল দলের সকলকে মাস্টারস্ট্রোক দিলেন কলকাতা পৌরসভার মেয়র অতীন ঘোষ। বস্তুত, গতবার থেকেই মহালয়া এবং দেবীপক্ষ পড়ার আগে থেকেই বিভিন্ন পুজো উদ্বোধন করতে দেখা যাচ্ছিল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে। যা নিয়ে বিভিন্ন মহলের তরফে সমালোচিত হতেও দেখা গেছে তাঁকে। অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছিলেন, দেবীপক্ষের আগেই কেন পুজো উদ্বোধন করে, মন্ত্রোচ্চারণ করে, প্রদীপ জ্বালিয়ে ফিতে কাটছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! এটা কি হিন্দু রীতি বিরুদ্ধ নয়!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে তারপর প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেছে। সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপির উত্থানের পর প্রায় সব দিক থেকেই কিছুটা সতর্ক হয়ে পা ফেলতে দেখা যাচ্ছে তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। দেবীপক্ষ পড়ার আগে এদিন বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় চারটি পূজামণ্ডপের উদ্বোধন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে প্রথমেই তিনি উদ্বোধন করেন উত্তর কলকাতার হাতিবাগান সর্বজনীন। যে পূজামণ্ডপটি কলকাতার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের পুজো হিসেবেই পরিচিত।

তবে দেবীপক্ষ পড়ার আগে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একগুচ্ছ পুজো উদ্বোধন করলেও কিছুটা সর্তক থেকে কোনো প্রদীপ জ্বালাননি। বরঞ্চ বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেছেন, “দেবীপক্ষ পড়েনি। তাই এখন প্রদীপ জ্বালিয়ে উদ্বোধন করব না।” অর্থাৎ বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, গতবার সমালোচকদের কাছে এই ব্যাপারে বিদ্ধ হতে দেখা দিয়েছিল তৃণমূল নেত্রীকে। আর তাই তো এবার এই ব্যাপারে কিছুটা সতর্কতা অবলম্বন করলেন তিনি বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

তবে এই সমস্ত ব্যাপার নিয়ে নানা মুনির নানা মত থাকলেও তৃণমূলের অন্দরে এখন একটাই গুঞ্জন উঠতে শুরু করেছে, গতবার সুজিত বসুর পুজো প্রথম উদ্বোধন করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় – পরবর্তীকালে মন্ত্রীসভায় ঠাঁই পান তিনি। কিন্তু এবার কলকাতার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের পুজোয় প্রথম উদ্বোধন করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি সেই অতীন ঘোষের নম্বর অনেকটা বাড়িয়ে দিলেন? তাহলে কি অতীনবাবু তার পুজোকে সবার আগে দলনেত্রীর হাত দিয়ে তথা মুখ্যমন্ত্রীর হাত দিয়ে উদ্বোধন করিয়ে তৃণমূলের অন্যান্য নেতাদের গোল খাইয়ে দিলেন!

এদিন এই প্রসঙ্গে কলকাতা পৌরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ বলেন, “দিদি কোথায় আগে যাবেন, কোথায় পড়ে সেটা দিদির নিজেরই সিদ্ধান্ত। আমাদের মন্ডপে আগে এসেছেন, আমরা গোটা এলাকাবাসী তার জন্য কৃতজ্ঞ। দিদিকে তো অনেক পুজোর উদ্বোধন করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তার ব্যস্ততা সামলেই সেই সব করতে হবে। তাই একটু তাড়াতাড়ি কাজটা শুরু হল।” তবে অতীনবাবু যাই বলুন না কেন, তার ক্লাবের পুজো প্রথম উদ্বোধন করিয়ে এখন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো সেই অতীন ঘোষের জন্য কোনো বাড়তি উপহার তুলে রাখেন কিনা, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!