দলের মধ্যে যে পরিবারতন্ত্র রয়েছে তা কার্যত স্বীকার করে তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়ালেন পূর্ব মেদিনীপুরের বিধায়ক কলকাতা মেদিনীপুর রাজ্য June 19, 2019 লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের কুন্ একটা ভালো ফল হয়নি। বিজেপির উত্থান ক্রমশ স্পষ্ট। এদিকে বিরোধীদের তরফের অভিযোগ ছিল তৃণমূলে পরিবার তন্ত্র আছে, যে কারণে নাম জড়িয়েছে অভিষেক ব্যানার্জী,ব্যানার্জী থেকে শুরু করে অন্যান্য নেতা নেত্রীদের ছেলে মেয়েদের ও পরিবারের লোকেদের। তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের অভিযোগ এটাই ছিল যে স্বজন পোষণের দরুন অনেক যোগ্য ব্যাক্তি দলে পদ ও সম্মান পাচ্ছেন না। কিন্তু সে দাবিকে বার বার নস্যাৎ করা হয়েছে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফ থেকে। তাদের যুক্তি ছিল যে যোগ্য লোককেই পদে বসানো হয়েছে। এদিকে আজ পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি দলের পরিবারতন্ত্রকে স্বীকৃতি দিলেন। এদিন তিনি লোকসভা ভোটে খারাপ ফলাফল হবার কারণ বিশ্লেষণে এই পরিবারতন্ত্র প্রসঙ্গ টেনে আনেন। এদিন তিনি বলেন, “পরিবারতন্ত্র শুধু আমাদের দলেই নয় । দেশের সব রাজনৈতিক দলের মধ্যেই পরিবারতন্ত্র রয়েছে । আমার ছেলে যদি যোগ্য হয়, রাজনৈতিক চেতনাসম্পন্ন হয়, ভালো সংগঠক হয় তাহলে তাঁকে দলে নিলে তাতে দলের কোনও ক্ষতি হয় না । কিন্তু সবাইকে নিয়ে চললেই ভালো হয় । পূর্ব মেদিনীপুরেও পরিবারতন্ত্র রয়েছে । তবে এখন আমরা সবাই মিলে সংগঠনটা শক্তিশালী করবার চেষ্টা করছি ।” ভালো বিরোধীরা বেছে নিয়েছেন শুধুমাত্র পরিবারতন্ত্র মেনে নেওয়ার বিষয়টি। কেননা বার বার তাঁরা অভিযোগ করেছেন যে তৃণমূলে পরিবারতন্ত্র আছে। তাদের অভিযোগের তীর ছিল নেত্রীর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে। তিনিই দলের দুই নম্বর।ফলে দলভাঙ্গাতে এই মোক্ষম বিষয়টিকে সামনে আনা হচ্ছিলো বিজেপি সমেত বিরোধীদের তরফ থেকে। আর এই বিষয়টিকে মান্যতা দিয়ে তৃণমূল বিধায়ক অস্বস্তি বাড়ালেন বলেই মত রাজনৈতিকমহল। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - প্রসঙ্গত, এদিন তিনি আরো বলেন যে, “দলের নিচু স্তর থেকে ব্লক স্তর পর্যন্ত নেতা-কর্মীদের আচার-আচরণ, চলা-ফেরা, কথা-বার্তা মানুষের সাথে ব্যবহার অনেকখানি খারাপ হয়ে গেছিল। বুথ লেভেল থেকে সংগঠন সাজিয়ে আনতে হবে । আমি মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছি । বিধানসভা ভিত্তিক সংগঠন MLA-কে চেয়ারম্যান করে ব্লক কমিটি, জেলা কমিটি নতুন করে ঢেলে সাজাতে হবে । সংগঠনের কাজে যাতে সবাই বেশি করে মনযোগ দেয় সেদিকটাও দেখতে হবে । যাঁদের যোগ্যতা আছে, যাঁদের দিয়ে যে কাজ করা যাবে তাঁদের সেই দায়িত্ব দিতে হবে।” সাথেই স্বীকার করেন, “এই নির্বাচনটা আমাদের একটা শিক্ষা দিয়েছে । আমরা বুঝতে পারিনি যে তলে তলে এতটা ক্ষত হয়েছে সংগঠনের । তবে আমরা শিক্ষা নিয়েছি । আগামী দিনে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি । আর আমরা সফল হবই । “ আপনার মতামত জানান -