বড় তকমায় ভূষিত শুভেন্দু! শহীদ দিবসের মঞ্চ থেকে প্রাক্তন সতীর্থকে কড়া বার্তা মমতার! রাজ্য July 21, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-এই প্রথম শুভেন্দু অধিকারীকে ছাড়া তৃণমূল কংগ্রেসের 21 জুলাইয়ের শহীদ দিবস পালন হচ্ছে। একদিকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে যখন সেই শহীদ দিবস ভার্চুয়ালি পালন করা হচ্ছে, তখন পাল্টা সেই শহীদ দিবসকে কটাক্ষ করে বিজেপির রাজ্য দপ্তরে বিজেপির যে সমস্ত নেতা কর্মীরা শাসকদলের সন্ত্রাসের জেরে প্রাণ দিয়েছেন, তাদের স্মরণে রেখে শহীদ দিবস পালন করছে গেরুয়া শিবির। যেখানে তৃণমূলের শহীদ দিবসে বক্তব্য রাখছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অন্যদিকে বিজেপির রাজ্য দপ্তরে সেই শহীদ দিবসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক সময়কার সঙ্গী শুভেন্দু অধিকারীকে তৃণমূল কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে বক্তব্য রাখতে দেখা যাচ্ছে। বর্তমানে শুভেন্দু অধিকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধান প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছেন। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তিনি। প্রতি সময়ে সরকার পক্ষের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিচ্ছেন। বিভিন্ন বিষয়ে মন্তব্য করে বিধানসভার ভেতরে এবং বাইরে তৃণমূল সরকারকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। আর এই পরিস্থিতিতে একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে নাম না করে সেই শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মন্তব্য করলেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে শুভেন্দু অধিকারীকে নাম না নিয়ে “গদ্দার” বলে আক্রমণ করতে দেখা গেল তাকে। সূত্রের খবর, এদিন একুশে জুলাইয়ে ভার্চুয়াল সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে “গদ্দার” বলে কটাক্ষ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “বিজেপিতে গদ্দারদের জন্ম। ভালো মানুষের জন্ম হয় না। ওরা দেশটাকে জানে না। মানুষকে চেনে না। এরা মুখ বন্ধ করে দেওয়ার জন্য রাজনীতি করে। এই রাজনীতি আমি পছন্দ করি না। অনেক গদ্দার আছে, যারা বড় বড় কথা বলছে। কেউ আবার ফোন ট্যাপিংয়ের কথা বলছে। মাথায় রাখবেন, তৃণমূল হারবে না। ভয় পাবে না। মাথা নত করবে না। আমরা করব, লড়ব, জিতব। এখনও পর্যন্ত অনেক কাজ বাকি রয়েছে।” আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বক্তব্যের মধ্য দিয়েই কার্যত শোরগোল ফেলে দিলেন বলেই মনে করা হচ্ছে। কেননা কিছুদিন আগেই শুভেন্দু অধিকারী তমলুকের এসপিকে আক্রমণ করতে গিয়ে সমস্ত কল রেকর্ড তার কাছে আছে বলে দাবি করেছিলেন। আর এই পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে সেই ফোন ট্যাপিংয়ের কথা বলে নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকেই কটাক্ষ করলেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, শুভেন্দু অধিকারী যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে যথেষ্ট চাপের কারণ হয়ে উঠেছেন, তা বলাই যায়। প্রতিমুহূর্তে শুভেন্দুবাবুর নানা মন্তব্য শাসকদলের কাছে যথেষ্ট বিড়ম্বনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর গোদের ওপর বিষফোঁড়া হিসেবে শুভেন্দু অধিকারী একসময় তৃণমূল কংগ্রেসের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নেতা ছিলেন। বলতে গেলে, তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ সমস্ত খবর তার কাছে রয়েছে। তাই সেদিক থেকে বিরোধী দলনেতা হওয়ার পর তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আরও বেশি করে তার আক্রমণাত্মক মন্তব্য ঘাসফুল শিবিরের কাছে চাপের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে সর্বভারতীয় রাজনীতিতে বিস্তার লাভ করতে উদ্যোগী হওয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের নেতা-নেত্রীদের যেমন আক্রমণ করলেন, ঠিক তেমনই প্রতিপক্ষ শিবিরের প্রধান মুখ শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করে তাকে আরও চাপে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করলেন বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই আক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে শুভেন্দুবাবুর পক্ষ থেকে কি প্রতিক্রিয়া আসে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -