এখনও ৪২ এ ৪২ করে দিল্লি দখলের স্বপ্নে অটল তৃণমূল নেত্রী, জনসভায় ভিড় কিন্তু ভাবাচ্ছে! মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজ্য April 20, 2019 এবারের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের স্বপ্ন বাংলা থেকে ৪২ টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৪২ টিতেই জয়লাভ করা এবং সেই ৪২ টি আসন নিয়েই দিল্লিতে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রতিষ্ঠিত করা। রাজ্যের ৭ দফা নির্বাচনের মধ্যে মাত্র দুদফার নির্বাচন হয়েছে – আর এর মধ্যেই বিজেপি নেতা মুকুল রায় দাবি করেছেন – এই পাঁচ আসনে ফলাফল নাকি বিজেপির পক্ষে ৫-০ হতে চলেছে। কিন্তু, সেই দাবি উড়িয়ে গতকাল বহরমপুর স্টেডিয়ামে দলীয় প্রার্থী অপূর্ব সরকারের সমর্থনে জনসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় – হয়ে যাওয়া পাঁচটি আসনে তো তৃণমূল জিতছেই, আগামীদিনেও রাজ্যের সব আসনে জয়ী হবে তাঁর দলই। বহরমপুর আরএসপির হাত থেকে কেড়ে নিয়ে বর্তমানে অধীর চৌধুরীর হাত ধরে কার্যত কংগ্রেসের গড়ে পরিণত হয়েছে। কিন্তু সেই বহরমপুরে এবার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী করেছে একদা অধীর চৌধুরীর ছায়াসঙ্গী অপূর্ব সরকারকে। আর তাঁরই সমর্থনে জনসভায় অন্যান্য রাজ্যে কংগ্রেসকে ভোট দেওয়ার কথা বললেও, বহরমপুরে কংগ্রেসের অধীর চৌধুরীকে ভোট দেওয়া মানে বিজেপিকেই ভোট দেওয়া বলে সওয়াল করেন তিনি। তিনি দাবি করেন, অধীর চৌধুরী কংগ্রেস, বামফ্রন্ট, বিজেপি – কার্যত সবার সমর্থন নিয়েই জিততে চাইছেন। একা লড়ে তৃণমূলকে হারানোর ক্ষমতা নেই, তিনি সুবিধাবাদী নেতা – টিম টিম করে জ্বলছে, এবার স্রেফ নিভে যাবে! আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - গতকাল, বহরমপুরে কংগ্রেসের গড়ে, যেখানে কার্যত বিজেপির অস্তিত্ব নেই, সেখানে তৃণমূল নেত্রীর সভা থাকলেও – তাঁর প্রতিপক্ষ যে বিজেপিই আবারো প্রমান করে দিলেন তিনি। তিনি জানান – কংগ্রেস, সিপিএম, বিজেপি, মোদিবাবু-অমিত শাহ আর এজেন্সিগুলো পিছনে লেগেছে। ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে লড়াই চালাচ্ছি, তাই আমাদের বিরুদ্ধে লেগেছে! কিন্তু ভোট দেবে সাধারণ মানুষ, তাই সব আসনেই জিতব! রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, পাঞ্জাবে কংগ্রেস স্ট্রং – ওখানে লড়ুক ওরা, এখানে তৃণমূল স্ট্রং – তাই আমরাই লড়ব বিজেপির বিরুদ্ধে। আমাদের ওয়ান পয়েন্ট প্রোগ্রাম – মোদী হটাও, দেশ বাঁচাও। এরপরেই তিনি নাম না করে নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহকে তীব্র আক্রমন করে বলেন, দিল্লির গদি তো টলমল করছে! আগে দিল্লি সামলা, পরে ভাবিস বাংলা! উঁকি-ঝুঁকি মারছে, এখান থেকে সিট চাই – ছেলের হাতের মোয়া যেন! বিজেপি সরকার গড়বে কোথা থেকে? কোথায় পাবে আসন? ১০০টা আসনও পাবে না ওরা – এবার বিজেপির বিদায়ের পালা। সরকার গঠনে এবার আঞ্চলিক দলগুলিই বড় ভূমিকা পালন করবে – ৪২ এ ৪২ টা আসন দিন, দিল্লি কীভাবে কাঁপাতে হয় – দেখিয়ে দেব। কীভাবে দখল হবে দিল্লি, সেটাও জানা আছে। কিন্তু, মঞ্চে যখন প্রত্যয়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রচার করছেন – তখন কিন্তু সভাস্থলে উপস্থিতির হার রীতিমত কপালে ভাঁজ ফেলে দিয়েছে তৃণমূল নেতাদের। দুপুরের দিকে সভাতে যে লোক হয়েছিল তা হাতেই গুনে ফেলা যাবে, এরপরেই তড়িঘড়ি শুভেন্দু অধিকারী সেখানে পৌঁছে নিজের সমস্ত ‘মেশিনারি’ কাজে লাগিয়ে তৃণমূল নেত্রী পৌঁছনোর আগে ‘সম্মানজনক’ জমায়েতের সংখ্যার ব্যবস্থা করেন – কিন্তু, স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভাতেও এইভাবে ডেকে ডেকে মাঠ ভরাতে হচ্ছে যেখানে, সেখানে নির্বাচনের দিন কতখানি লড়াই দেওয়া যাবে? এই জল্পনায় কিন্তু ক্রমশ জেঁকে বসছে শিবিরের অভ্যন্তরে বলে দাবি করছেন অধীর চৌধুরীর অনুগামীরা। উত্তরের জন্য বোধহয় ২৩ শে মে পর্যন্ত অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই – তবে ইঙ্গিতটা আগামী ২৯ শে এপ্রিল নির্বাচনের দিনই স্পষ্ট হয়ে যাবে। আপনার মতামত জানান -