এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে একরাশ অভিযোগ জানাতে তৃণমূল নেত্রীর কাছে যাচ্ছেন প্রাক্তন মন্ত্রী

দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে একরাশ অভিযোগ জানাতে তৃণমূল নেত্রীর কাছে যাচ্ছেন প্রাক্তন মন্ত্রী


লোকসভা নির্বাচনে সারা উত্তরবঙ্গে কার্যত ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গেছে তৃণমূল কংগ্রেস। রায়গঞ্জ লোকসভা দখলের ব্যাপারে তৃণমূল এবার আত্মপ্রত্যয়ী থাকলেও তাদের সেই আশা পূরণ হয়নি। এখানেও জয়লাভ করেছেন বিজেপির দেবশ্রী চৌধুরী। লোকসভা নির্বাচনে দলের খারাপ ফলাফল হওয়ার পরই “দিদিকে বলো” প্রকল্প করে সেই দলকে জনসংযোগে পাঠিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়‌।

গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে ভুলে যাতে সকলে একসাথে মানুষের কাছে গিয়ে মানুষের অভাব অভিযোগ শুনে তা মেটানোর চেষ্টা করেন। তাঁর নির্দেশ দিয়েছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু দলের শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে এই নির্দেশ দেওয়া হলেও তা যে জেলাস্তরে নেতাদের কানে পৌঁছচ্ছে না, তা ফের আরও একবার প্রমাণ হয়ে গেল।

সূত্রের খবর, এবার উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইলাল আগরওয়াল এবং জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সরব হয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হচ্ছেন ইসলামপুরের তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। কিন্তু ঠিক কি কারণে দলনেত্রীর দ্বারস্থ হচ্ছেন তিনি!

জানা গেছে, সম্প্রতি রাজ্যের প্রতিটি জেলা, ব্লক এবং টাউন সভাপতিদের নিয়ে তৃণমূল ভবনে একটি বৈঠক ডেকে ছিল তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। যেখানে সেই বৈঠকে যোগ দিতে গিয়েছিলেন আব্দুল করিম চৌধুরীর ঘোষিত ইসলামপুর ব্লক সভাপতি তথা তারই ছেলে মেহেতাব চৌধুরী। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে সেখানে মেহেতাবকে ঢুকতে না দিয়ে ইসলামপুরের ব্লক সভাপতি হিসেবে ঢুকতে দেওয়া হয় জেলা সভাপতি কানাইলাল আগরওয়ালের ঘোষণা করা জাকির হুসেনকে।

আর এতেই চরম পরিমাণের ক্ষুব্ধ হন আবদুল করিম চৌধুরী। কেন তার ঘোষণা করা ব্লক সভাপতি মেহেতাববাবুকে এই বৈঠকের ঢুকতে দেওয়া হল না, তা নিয়ে জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যায় তাকে। আর সেই কারণেই জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলে দলনেত্রীর নালিশ জানাতে যাচ্ছেন আব্দুল করিম চৌধুরী বলেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। যা উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের অন্দরে আরও ঘোরালো পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন একাংশ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে আব্দুল করিম চৌধুরী বলেন, “দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আমি ইসলামপুর ব্লক এবং টাউন কমিটির সভাপতি ঘোষণা করেছি। কিন্তু মঙ্গলবার কলকাতায় বৈঠকের জন্য কানাইয়াবাবু আমার ঘোষিত ব্লক সভাপতি মেহতাব চৌধুরীর নাম পাঠাননি। তাই সে সভায় ঢুকতে পারেনি। এই ঘটনা আমার পক্ষে অপমানজনক। আমি এই বিষয়টি দলনেত্রীকে জানাব। কানাইয়াবাবু জেলা সভাপতি হয়েছেন। যে ব্লকের বিধায়ক নেই, সেখানে গিয়ে তিনি ব্লক কমিটি করতে পারেন। কিন্তু ইসলামপুরে আমি বিধায়ক আছি। তাই সেখানে তার প্রয়োজন নেই। মেহেতাব চৌধুরীই এখানকার ব্লক সভাপতি।”

এদিকে এই প্রসঙ্গে কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, “রাজ্য কমিটির ডাকা বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য আমার কাছে ব্লক সভাপতিদের নামের তালিকা চাওয়া হয়েছিল। ইসলামপুর ব্লকের জন্য জাকির হুসেনকে ব্লক সভাপতি করা হয়েছে। তাই আমি তার নাম পাঠিয়েছিলাম।”

তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন, যেভাবে ইসলামপুর ব্লক সভাপতি নিয়ে বিধায়ক বনাম জেলা সভাপতির দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে, তাতে শেষপর্যন্ত সামনের বিধানসভা নির্বাচনের আগে যদি সেই দ্বন্দ্ব না থামে, তাহলে তৃণমূলের কপালে যে এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরম চিন্তার ভাঁজ ফেলতে পারে, সেই ব্যাপারে একপ্রকার নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!