এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > একদল লুম্পেন এখন দলের নেতা হয়ে বসে দলটাকে ধ্বংস করছে! বিস্ফোরক মমতার শহীদ দিবসের ‘সাক্ষী’

একদল লুম্পেন এখন দলের নেতা হয়ে বসে দলটাকে ধ্বংস করছে! বিস্ফোরক মমতার শহীদ দিবসের ‘সাক্ষী’


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –1993 সালের একুশে জুলাই সচিত্র পরিচয় পত্র দাবিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে যুব কংগ্রেস আন্দোলনে নেমেছিল। আর সেই সময় তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকারের পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান 13 জন যুব কংগ্রেস কর্মী। যে ঘটনার পর থেকেই এই দিনটিকে শহীদ দিবস হিসেবে পালন করে আসছে কংগ্রেস এবং পরবর্তীতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেস। প্রতিবছর ধর্মতলায় জমকালো ভাবে শহীদদের প্রতি সম্মান জানানোর এই অনুষ্ঠান করে তৃণমূল যুব কংগ্রেস। তবে এবার করোনা ভাইরাসের কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না।

কিন্তু প্রতিটি বুথে বুথে যাতে নেতাকর্মীরা এই শহীদ দিবস পালন করেন, তার জন্য দলের পক্ষ থেকে বার্তা দেওয়া হয়েছিল। এমনকি বিভিন্ন জায়ান্ট স্কিন লাগিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য দেখানো হচ্ছিল কর্মীদের। আর শহীদ দিবসের অনুষ্ঠানেও কার্যত দ্বিধা বিভক্ত হতে দেখা গেল মালদহ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসকে।

যেখানে জেলা তৃণমূলের কার্যালয়ে সভানেত্রী মৌসম বেনজির নূর এবং তার অনুগামীরা অংশগ্রহণ করলেন, ঠিক তখনই নেতাজি মোড়ে শহীদ বেদীতে মাল্যদান করে নিজের কার্যালয়ে বসে ভার্চুয়াল সভা দেখলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী। তবে শুধু পৃথকভাবে অনুষ্ঠানে থাকাই নয়, এদিন শহীদ দিবসের কথা তুলে ধরে বর্তমান নেতৃত্বকে কিছুটা হলেও কটাক্ষ করেছেন কৃষ্ণেন্দুবাবু।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তিনি বলেন, “1993 সালের একুশে জুলাই আমি সেদিন কলকাতার মঞ্চে ছিলাম। সেই সময় আমি জেলা যুব কংগ্রেসের সভাপতি ছিলাম। আমাদের যুব কংগ্রেসের 13 জন কর্মীকে পুলিশ গুলি করে মেরেছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাস্তায় ফেলে খুনের চেষ্টা করা হয়েছিল। সেই সাক্ষী আমি‌। অনেক নেতা নেত্রীরা সেদিন অনেকেই মারা গিয়েছে‌। এখন যে দলের নেতা হয়ে বসেছে, এদিক ওদিক থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসেছে, সেদিন তারা কেউ ছিল না। একদল লুম্পেন এখন দলের নেতা হয়ে বসে দলটাকে ধ্বংস করছে। যা দেখছি তাতে আমার কষ্ট হচ্ছে।”

স্বাভাবিকভাবেই শহীদ দিবসের অনুষ্ঠানে কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর এই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে এখন তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তাহলে কি কৃষ্ণেন্দু বাবু ক্রমশ দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ মনোভাব পোষণ করে প্রমাণ করে দিচ্ছেন যে, দলের বর্তমান নেতৃত্বের উপর ভরসা নেই! যেখানে শহীদ দিবসের অনুষ্ঠান থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে চলার বার্তা দিলেন, সেখানে কৃষ্ণেন্দুবাবুর এই রকম মন্তব্য নিঃসন্দেহে তৃণমূল কংগ্রেসকে অস্বস্তিতে ফেলবে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!