এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > করোনা পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের একতরফা সিদ্ধান্ত আটকাতে অ-বিজেপি রাজ্যের জোট করতে মরিয়া মমতা

করোনা পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের একতরফা সিদ্ধান্ত আটকাতে অ-বিজেপি রাজ্যের জোট করতে মরিয়া মমতা

করোনা ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ক্রমশ চাপে ফেলা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে। আর এহেন একটা পরিস্থিতিতে কোণঠাসা হতে নারাজ রাজ্যের শাসক দল। আর তাই এখন রাজনৈতিকভাবে কেন্দ্রের শাসকদলের মোকাবিলা করতে প্রস্তুত হচ্ছে তারা। জানা গেছে, এবার বিজেপি বিরোধী অন্যান্য রাজ্যগুলোকে করোনা মোকাবিলায় পাশে পেতে চাইছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বস্তুত, প্রথম দিকে করোনা মোকাবিলায় রাজ্য এবং কেন্দ্র একসাথে চলবে বলে মনে করা হলেও, যত দিন যাচ্ছে, ততই তৈরি হচ্ছে বড় ফাটল। রাজ্যে কেন্দ্রীয় দল পাঠানো থেকে শুরু করে টেস্ট করানো, বিভিন্ন বিষয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হচ্ছে রাজ্য সরকারের। আর এমতাবস্থায় সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যোগ দিলেও, রাজ্যের জন্য বলার সুযোগ না থাকায় রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “কনফারেন্সে গিয়ে কয়েক ঘন্টা বসে থাকার পরেও বাংলার জন্য বলার সুযোগ আসেনি। যাদের বলার কথা ছিল, তাদের শুধু বলার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্র যদি শুধু নিজের সিদ্ধান্ত নিয়ে যেতে থাকে, রাজ্যগুলো তাহলে তাদের সুবিধা অসুবিধার কথা বলবে কিভাবে।” শুধু তাই নয়, এদিন কেন্দ্রের সঙ্গে তারা কোনো মতানৈক্য চান না। কিন্তু কেন্দ্র ভালো কাজ করলে প্রশংসা হবে। আর খারাপ হলে রাজ্যের দায় হবে, এটা মানা যাবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রবল বিরোধী দলেও, এই ইস্যুতে তাকে সমর্থন জানিয়েছে সিপিএম এবং কংগ্রেস। এদিন এই প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি সোমেন মিত্র বলেন, “আমাদের নেতা রাহুল গান্ধী এবং আমরা বারবার বলছি, করোনা যুদ্ধে রাজ্যগুলো সামনের সারিতে লড়াই করছে। তাদের অর্থ সাহায্য কেন্দ্রকেই করতে হবে। কিন্তু তার কোনো লক্ষণ নেই।”

এদিকে এই ব্যাপারে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, “মাত্র চার ঘণ্টা সময় দিয়ে প্রধানমন্ত্রী লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন। তারপর থেকে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ, মন কি বাত, ভিডিও কনফারেন্স, শুধু ভাষণ চলছে। বিপন্ন মানুষের জন্য সহায়তা মিলছে না।” বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজনীতিতে বাম এবং কংগ্রেস মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রবল বিরোধী হলেও, তারা এখন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সোচ্চার হচ্ছেন, তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন।

আর এই সুযোগটাই কাজে লাগানোর চেষ্টা করছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। সেদিক থেকে বিজেপিকে চাপে রাখতে বিজেপি বিরোধী দলের সঙ্গে একজোট হয়ে করোনা মোকাবিলা নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলতে চাইছেন তিনি। যা আগামী 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে তার পথ প্রশস্ত করবে বলেই মনে করছেন তৃণমূল নেত্রী বলে মত বিশেষজ্ঞদের। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!