এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > অঙ্ক কষে দার্জিলিং লোকসভা বিজয়ে, পাহাড়ের তিনটি বিধানসভার দায়িত্ত্ব নিচ্ছেন খোদ তৃণমূল নেত্রী

অঙ্ক কষে দার্জিলিং লোকসভা বিজয়ে, পাহাড়ের তিনটি বিধানসভার দায়িত্ত্ব নিচ্ছেন খোদ তৃণমূল নেত্রী

এবারের লোকসভা নির্বাচন তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে কার্যত দিল্লি দখলের লড়াই বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তাই ধরে ধরে, সবকটি লোকসভা আসনের দিকে নজর রাখছেন স্বয়ং তৃণমূল সুপ্রিমো – চলছে অন্তর্বর্তী সমীক্ষাও। আর সেই সমীক্ষায় ধরা পড়েছে সমতল থেকে ১ লক্ষ ভোটে এগিয়ে থাকতে পারলে দীর্ঘদিন ধরে বিজেপির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত দার্জিলিং লোকসভা আসনটিকে দখল করতে পারবে তৃণমূল।

আর তাই এবারে পাহাড়ের তিনটে বিধানসভার দায়িত্বে থাকছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। পাশাপাশি সমতলের দায়িত্বে থাকছেন দার্জিলিং জেলা তৃণমূল সভাপতি গৌতম দেব। প্রসঙ্গত, মোর্চার সমর্থনে ২০০৯-এর লোকসভা এবং ২০১৪-এর লোকসভায় এই আসন থেকে জয় লাভ করে বিজেপি। কিন্তু ২০১৪ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত তিস্তা দিয়ে অনেক জল বয়ে গেছে। পাল্টে গেছে পাহাড়ের রাজনৈতিক সমীকরণ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এতদিন পাহাড়ের রাজনীতির শেষ কথা ছিলেন বিমল গুরুং এবং পরপর দুটি লোকসভা নির্বাচনে গুরুং এবং মোর্চা বিজেপিকে সমর্থন করায় পালে অনেকটাই হাওয়া পেয়েছিল বিজেপি, সমতল থেকে তেমন ভালো ফল না করতে পারলেও পাহাড়ের তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রে অনেক বেশি ভোটে এগিয়ে থাকে বিজেপি। সেইখানেই এবার বিনয় তামাং জানিয়ে দিয়েছেন যে, তাঁরা আর বিজেপিকে সমর্থন করবেন না।

আর এতেই আত্মপ্রত্যয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। জানা যায়, শিলিগুড়ি, ফুলবাড়ি এবং ডাবগ্রামের ১৭১ টি বুথে কর্মী সম্মেলন করেন এলাকার বিধায়ক তথা দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব। আর এই সভায় দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি জানান, “এবারের লড়াই আমাদের কাছে, করেঙ্গে ইয়া মারেঙ্গের লড়াই। কম করে লোকসভায় দলের প্রার্থীকে সমতল থেকে ১ লক্ষ ভোট লিড দিতে হবে। এইজন্য প্রতিটা বুথ থেকে ব্যাপক পরিমাণে এগিয়ে থাকতে হবে পাহাড়ে”।

তিনি আরও জানান, “তিনটি বিধানসভার দায়িত্বে রয়েছেন খোদ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সমতলের কিছু পুর ওয়ার্ডে আমাদের সাংগঠনিক দুর্বলতা রয়েছে তা দূর করতে হবে। আমরা ডাটা ব্যাংক তৈরি করে প্রত্যেকটি ভোটারের তথ্য সংগ্রহ করব”। সূত্রের খবর, এদিনের সভায় এই তৃণমূল নেতৃত্ব ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কয়েক হাজার কর্মী-সমর্থক। যাদের কাছে সংগঠনকে নির্বাচনের জন্য সবদিক থেকে প্রস্তুত করার নির্দেশ দেন জেলা তৃনমূলের সভাপতি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!