কর্মীদের মধ্যে মমতা অভিষেকের থেকেও কি হিট হচ্ছেন ক্রমশ প্রশান্ত কিশোর, জোর জল্পনা কলকাতা রাজ্য August 9, 2019 কথায় আছে, “যার বিয়ে তার হুঁশ নাই, পাড়া পড়শীর ঘুম নাই।” এখন যেন ঠিক এইরকমই অবস্থায় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের। লোকসভা নির্বাচনে দল কিছুটা বিপাকে পড়ায় এবং 34 থেকে 22 টি আসনে নেমে আসার পরই দলকে ঘুরে দাঁড় করানোর জন্য ভোটগুরু হিসেবে পরিচিত প্রশান্ত কিশোরকে দলের প্ল্যানমেকার হিসেবে নিয়োগ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার পর থেকেই মমতা বন্দোপাধ্যায়ের মুখ দিয়ে ঘোষিত হওয়া জনসংযোগ কর্মসূচি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের কাছে আরও বেশি করে পৌঁছে যাওয়া, সমস্ত কিছুর পেছনেই সেই প্রশান্ত কিশোরের সূক্ষ্ম মস্তিষ্কের চাল রয়েছে বলে দাবি রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। আর এখানেই তৃণমূল দলে যেন বর্তমানে প্রবল জলঘোলা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। দলে এতদিন হাল ধরা তৃণমূলের সর্বাধিনায়িকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল যুবর সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থাকলেও এখন তাদের কাছ থেকে ক্রমশ ব্যাটন নিজের হাতে নিয়ে নিচ্ছেন প্রশান্ত কিশোর বলে মনে করছে একাংশ। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - কেননা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনসংযোগ প্রকল্প হিসেবে “দিদিকে বলো” কর্মসূচি তৈরি করার পরে সেই কর্মসূচি কতটা সার্থক করছেন জেলার তৃণমূলের নেতৃত্বরা, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন নেতার কাছে ফোনে খোঁজ খবর নিতে দেখা যাচ্ছে সেই প্রশান্ত কিশোর এবং তার টিমকে। আর সেই জনসংযোগ প্রকল্পে যাতে কোনো খামতি না থাকে, তার জন্য সেই জনসংযোগ প্রকল্পে ব্রতী হয়েছেন তৃণমূলের নেতারা। ফলে প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শই এখন তৃণমূলের সমস্ত কিছু চলছে বলে মনে করছেন অনেকে। আর তাই সেদিক থেকে ধীরে ধীরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে তৃণমূল দলের ব্যাটন প্রশান্ত কিশোরের হাতে চলে যাচ্ছে বলে দাবি রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।শুধু তাই নয়, দলকে পুরোপুরি কর্মসূচিতে পাঠিয়ে দেওয়া প্রশান্ত কিশোরের প্রতি দলের কর্মীরা প্রবল পরিমাণে আকৃষ্ট হচ্ছেন বলেও মনে করছে একাংশ। অনেকে বলছেন, এতদিন দল ক্ষমতায় থাকলেও সেইভাবে কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি নিতে দেখা যেত না। কার্যত দলের কর্মীদের বসিয়ে রাখা হয়েছিল। কিন্তু প্রশান্ত কিশোর দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর দল পুরোপুরি কর্মসূচিতে শামিল হয়েছে। আরও বেশি করে মানুষের কাছে যাওয়ার সুযোগ হচ্ছে। ফলে এটাতো অত্যন্ত ভালো লক্ষণ। আর এখানেই প্রশ্ন, তাহলে কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকেও তৃণমূলের কর্মীরা বেশি পছন্দ করছেন ভোটগুরু প্রশান্ত কিশোরকে! আর যদি এই আশঙ্কায় সত্যি হয়, তাহলে যে ভবিষ্যতে মমতা-অভিষেকের কপালে শনি নাচছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত সমালোচক মহল। অনেকে বলছেন, এককালে এই তৃণমূল দলের সমস্ত দায়িত্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বর্তমান বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের উপর সপে দিয়েছিলেন। যার ফলে দলের নিচুতলার কর্মীদের চেনা মুকুল রায় একসময় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করে সেই তৃণমূলের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলেছেন। আর এবার সেই মুকুল রায় ও বিজেপিকে দমানোর জন্য ভোটগুরু হিসেবে প্রশান্ত কিশোরকে দলের প্ল্যানমেকার হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়োগ করলেও যেভাবে প্রশান্ত কিশোর দলীয় কর্মীদের কাছে অত্যন্ত কাছের হয়ে উঠছেন। আর তাতেই সেই প্রশান্ত কিশোর যদি এবার দলের সমস্ত কিছুকে গ্রাস করেন, তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে রক্ষা করার মত আর কোনো কৌশল থাকবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। আপনার মতামত জানান -