এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > প্রশাসনিক বৈঠকে রনংদেহী মমতা, দুর্নীতি বন্ধ করতে দিলেন কড়া নিদান!

প্রশাসনিক বৈঠকে রনংদেহী মমতা, দুর্নীতি বন্ধ করতে দিলেন কড়া নিদান!


তিনি যে কোনোমতেই দুর্নীতি বরদাস্ত করবেন না, তা বারেবারেই প্রশাসনিক বৈঠকের মধ্যে দিয়ে স্পষ্ট করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তিনি সরকারের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ রাখতে দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না বলে প্রকাশ্যে জানালেও, মাঝেমধ্যেই সরকারের বিভিন্ন দপ্তর থেকে শুরু করে তার দলের নেতাকর্মীদের দুর্নীতি অস্বস্তিতে ফেলে সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বস্তুত, সম্প্রতি বাঁকুড়া সারেঙ্গায় পিএইচইর একটি ওভারহেড ট্যাংক হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছিল। যে ঘটনা নিয়ে সর্বত্র সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয় বিরোধীরা। যেখানে প্রশ্ন তোলা হয় যে, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কেন এই ট্যাংক তৈরি করা হল! আর এই ঘটনা যে সত্যিই অত্যন্ত নিন্দাজনক ঘটনা, তা বুঝতে পেরেছিলেন স্বয়ং বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

আর তাইতো এবার বাঁকুড়ায় গিয়েই এই ব্যাপারে নিজের সরকারের জনস্বাস্থ ও কারিগরি দপ্তরের ভূমিকা নিয়ে রণংদেহি মেজাজে অবতীর্ণ হলেন বাংলার প্রশাসনিক প্রধান। জলের ট্যাংকি ভেঙে পড়া নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কোন কন্ট্রাক্টার ট্যাঙ্ক বানিয়েছে! তার বিরুদ্ধে এফআইআর করো। ভেঙেপড়া ট্যাংকটি ওই ঠিকাদারকেই বানাতে হবে। এমন কড়া আইন করব, যাতে এমন ঘটনা ঘটলে প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের সম্পত্তি ক্রোক করে অর্থ আদায় করা যায়।”

এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন এহেন কথা বলছেন, তখন তাকে আশ্বস্ত করে রাজ্যের মুখ্যসচিব জানিয়ে দেন যে, এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ঠিকাদারের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। আর সেই সময়ই নিজের ক্ষোভ আটকাতে না পেরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এরকম কয়েকজন ঠিকাদারের জন্য সরকারের সমস্যা হচ্ছে।”

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

 

এদিকে হঠাৎই পূর্ত দপ্তরের আওতায় নির্মীয়মান একটি অডিটোরিয়ামের কাজ থমকে থাকার কারণে বিষয়টি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তোলেন বাঁকুড়ার এক তৃণমূল বিধায়ক‌। আর তা শুনেই রীতিমতো নিজের মেজাজকে সপ্তমে চড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বেশি টাকার ডিপিআর করা হচ্ছে। মাঝপথে কাজ থামিয়ে আবার বাড়তি টাকা চাইছে। সরকারের টাকা কি খোলামকুচি নাকি! একটা অডিটোরিয়ামের জন্য এত টাকা লাগে! এভাবে চলতে পারে না। পূর্ত দপ্তরকে দিয়ে সব হচ্ছে না। বিকল্প কিছু ভাবতে হবে।” এদিকে জনস্বাস্থ ও কারিগরি দপ্তরের টেন্ডার প্রক্রিয়ায় দেরি হওয়ার জন্য, জল সরবরাহ করতে অত্যন্ত দেরি হচ্ছে শুনে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার ক্ষোভকে আর আটকে রাখতে পারেননি।

তিনি বলেন, “আমি কোনো কথা শুনতে চাই না। সাত দিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান করতেই হবে। এসব জটিলতার জন্য মানুষ কেন ভুগবে! কোনো জিনিস কারো জমিদারি নয়। আমি চেয়ারে রয়েছি বলে জমিদার নই। আমিও প্রজা।” আর এরপরই ভূমি রাজস্ব দপ্তরের প্রধান সচিব মনোজ পন্থকে দ্রুত টেন্ডার ডেকে কাজটা শেষ করার নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, সামনেই পৌরসভা নির্বাচন। আর তার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছেন না, তার সরকারের বিরুদ্ধে কোনরূপ উন্নয়ন নিয়ে যাতে অভিযোগ আসে। আর তাইতো এদিনের বাঁকুড়ার প্রশাসনিক বৈঠকে একাধিক দুর্নীতি তার সামনে আশায় রীতিমতো ক্ষোভ উগড়ে দিলেন বাংলার প্রশাসনিক প্রধান। এখন মমতা বন্দোপাধ্যায়ের এই ক্ষোভ আদৌ কাজে দেয় কিনা, আদৌ সরকারি দপ্তরের কর্তাব্যক্তি থেকে জনপ্রতিনিধিরা, তাদের কাজের কাজটা করেন কিনা! সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!