এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > মমতার সঙ্গে সম্পর্কে কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের দ্বিমুখী কৌশল, বাড়ছে জল্পনা

মমতার সঙ্গে সম্পর্কে কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের দ্বিমুখী কৌশল, বাড়ছে জল্পনা

মমতার সঙ্গে সম্পর্কে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড এখন দ্বিমুখী কৌশল নিচ্ছে আর যা ঘিরেই বাড়ছে জল্পনা।কংগ্রেসের লক্ষ্য এখন ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচন। আর তাই রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের সন্ত্রাসকে এড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে সমঝোতায় নামতে চাইছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। কগ্রেসের হাইকমান্ড এদিন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর সাথে বৈঠকে জানান, “রাজ্যস্তরে তৃণমূল-বিরোধী আন্দোলন করতে কোনও দিন দিল্লি বাধা দেয়নি | কিন্তু জাতীয় স্তরে মোদী-বিরোধী লড়াইয়ে মমতা খুব গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

কারণ মমতা ইউপিএ-র পাল্টা একটি ফ্রন্ট করলে বিজেপিরই লাভ হবে।” মমতার সাথে সমঝোতার সমর্থন করে এদিন কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ জানান, ”মমতা এক জন জনপ্রিয় নেত্রী। তাঁর দলের নীতি ধর্মনিরপেক্ষ। আমরা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।” এদিকে অধীর চৌধুরী ও আব্দুল মান্নানের মতে সিপিএমের সাথে বোঝাপড়া করলে অনেক বেশি আসন পাওয়া যাবে। কংগ্রেসের হাইকমান্ড আব্দুল মান্নান সাহেবকে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছে বলে জানা গেছে। রাহুল গান্ধীর মত অনুযায়ী সম্প্রতি সিপিএম এর সীতারাম ইয়েচুরি কংগ্রেসের সাথে সমঝোতার বিষয়টি উল্লেখ করলেও আনুষ্ঠানিকভাবে তা ঘোষণা না করে মমতার সাথে সমঝোতা করার সিন্ধান্ত একেবারে বন্ধ করে দেওয়া যাবে না। কংগ্রেস নেতা আহমেদ প্যাটেল জানিয়েছেন তিনি কোনোভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মদিনে তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে ভুলবেন না। আর এই সব নিয়েই বাংলার কংগ্রেসের মধ্যে আস্তে আস্তে বাড়ছে ক্ষোভ। কেননা একদিকে তৃণমূলের হাতে কর্মীরা মার্ খাচ্ছে আর অন্যদিকে তাদের সাথেই জোটের রাস্তা মসৃন করছে শীর্ষ নেতৃত্ব ফলে কোন্দল যে লাগছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এদিকে কংগ্রেসের অন্দরেও আশঙ্কা ছড়িয়েছে যে যদি তৃণমূলের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে দিল্লি থেকে কোনো ব্যাবস্থা নেয় তবে দল ছেড়ে বিজেপিতে ও যেতে পারে কর্মী সমর্থকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!