দেশের বিভিন্ন রাজ্যের সাথে পশ্চিমবঙ্গেও করোনা সংক্রমণ বেশ ভালো মতনই ছড়িয়ে পড়েছে ইতিমধ্যে। দেশের করোনা আক্রান্ত রাজ্যগুলির যে তালিকা আছে তার মধ্যে 1 থেকে 10 এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ না এলেও পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা যে যথেষ্ট সংকটজনক, সে বিষয়ে নিশ্চিত স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী থেকে শুরু করে পুলিশকর্মীরা পর্যন্ত করোনা সৈনিকের ভূমিকা গ্রহণ করেছেন। যদিও এই ভূমিকা পালন করতে গিয়ে অনেকেই করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন।

সম্প্রতি দেখা গেছে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও রাস্তায় নেমে সাধারণ মানুষকে করোনা প্রসঙ্গে সচেতন করছেন নিয়মিত। এবং এই পরিস্থিতির কথা মনে করিয়ে দিয়ে এবার রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক দাবি করলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করে চলেছেন, তা সমগ্র বিশ্বের কাছে উদাহরণ হয়ে থাকবে। তিনি আরো জানিয়েছেন, এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর কথা অনুযায়ী সবাই যেন সচেতনতা বজায় রাখে। এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সহযোগিতা করেন।

এদিন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক আরো জানান, মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে রাস্তায় নেমে সচেতনতার কাজ চালাচ্ছেন, তাতে যে কোনো সময় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি স্বেচ্ছায় করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাধারণ মানুষের সাহায্যার্থে পথে নেমেছেন। অন্যদিকে খাদ্যমন্ত্রীও এদিন রাজ্যের জনগণের কাছে আবেদন রেখেছেন, রাজ্য জুড়ে লকডাউন চলছে। এই পরিস্থিতিতে কেউ যেন ঘর থেকে না বের হন। প্রয়োজন পড়লে মাস্ক মুখে পড়ে বাইরে বেরোতে হবে।

এছাড়াও প্রয়োজনীয় সমস্ত কাজ যাতে সপ্তাহে একদিন বাইরে বেরিয়ে করে নেওয়া যায়, সে ব্যাপারে সবাইকে সচেতন করেন এদিন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তবে তিনি নিজের নিজের সম্পর্কে জানিয়েছেন, তিনি কোনো ছুটি নেন না। কারণ মুখ্যমন্ত্রীকে সাহায্য করার জন্য রবিবারেও তিনি সমস্ত কাজ করে থাকেন। এমনকি আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করার কথাও জানান তিনি। অন্যদিকে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পথে নামা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে

রাজ্যের বিরোধী মহল থেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলা হয়েছে, যে সময় লকডাউন চলছে এবং রাজ্যের জনসাধারণকে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, ঘরে থাকতে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী নিজে কিভাবে রাস্তায় নামছেন? কারণ মুখ্যমন্ত্রী রাস্তায় নামলে অবধারিতভাবেই রাস্তায় জনসমাগম হচ্ছে এবং সেটাই স্বাভাবিক। অবশ্য শাসক দলের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর এই পদক্ষেপ নিয়ে যথেষ্ট গর্বিত মন্তব্য পাওয়া গেছে। আপাতত রাজনৈতিক চাপানউতোর এর মধ্যে দিয়ে বাংলায় করোনা পরিস্থিতি কোন দিকে যেতে চলেছে, সে দিকেই এখন নজর সবার।