এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতা দিয়েছেন গুরুদায়িত্ব! লোকসভা ভুলে তৃণমূলকে ঘুরে দাঁড় করাতে বড়সড় পদক্ষেপ হেভিওয়েট নেত্রীর

মমতা দিয়েছেন গুরুদায়িত্ব! লোকসভা ভুলে তৃণমূলকে ঘুরে দাঁড় করাতে বড়সড় পদক্ষেপ হেভিওয়েট নেত্রীর


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত লোকসভায় ফলাফল খুব একটা ভালো হয়নি। আর তারপরেই নদীয়া জেলার সভানেত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মহুয়া মৈত্রের ওপর। তার কাছে চ্যালেঞ্জ, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে এই জেলার সমস্ত বিধানসভা কেন্দ্রে দলকে জয়যুক্ত করা। আর তাই এখন থেকেই পুরোদস্তুর ময়দানে নেমে পড়েছেন সেই মহুয়া মৈত্র। জানা গেছে, আগামী 4 নভেম্বর থেকে বিধানসভা ধরে ধরে বৈঠক বা কর্মীসভা শুরু করে দেবেন তিনি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, গত লোকসভা নির্বাচনে নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল জয়লাভ করলেও, রানাঘাটে জয়লাভ করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। তাই সেদিক থেকে এই জেলায় সংগঠনকে মজবুত করে মানুষের সঙ্গে জনসংযোগের মধ্যে দিয়ে আগামী দিনে ভালো ফল করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। যার কারণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দায়িত্ব দিয়েছেন মহুয়া মৈত্রর ওপর। স্বাভাবিক ভাবেই মহুয়াদেবীর কাছে এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ দলের সংগঠনকে শক্তিশালী করা। আর তাই কর্মীসভার মধ্য দিয়ে ব্লকে ব্লকে গিয়ে এখন সংগঠনকে মজবুত করার কাজে মনোযোগী হতে দেখা যাচ্ছে এই মহুয়া মৈত্রকে।

জানা গেছে, বুধবার থেকেই বিভিন্ন বিধানসভায় সাংগঠনিক বৈঠক শুরু করে দেবেন মহুয়া মৈত্র। বৃহস্পতিবার চাকদহ, রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে এই বৈঠক হবে। পরবর্তীতে 6 নভেম্বর রানাঘাট উত্তর পূর্ব এবং উত্তর-পশ্চিম বিধানসভা, 7 নভেম্বর শান্তিপুর বিধানসভা এবং নবদ্বীপ বিধানসভা এবং তার পরদিন কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভায় সাংগঠনিক বৈঠক করবেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অর্থাৎ যেনতেন প্রকারেণ এখন দলের সংগঠনকে চাঙ্গা করা মূল লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে মহুয়া মৈত্রের কাছে। কেননা তার ওপরেই গোটা নদীয়া জেলার দায়িত্ব দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিক থেকে একদিকে দলের গোষ্ঠী কোন্দল বন্ধ করা এবং অন্যদিকে বিজেপি হাওয়াকে কুপোকাত করা, এই দুই চ্যালেঞ্জ রয়েছে এই তৃণমূল নেত্রীর কাছে। কিভাবে তিনি তাকে সামাল দেবেন, তা এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে শাসকদলের অন্দরমহলে।

তবে সংগঠনকে চাঙ্গা করবার জন্য ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ করবার কড়া বার্তা দিতে শোনা গেছে মহুয়া মৈত্রকে। এদিন তিনি বলেন, “সংগঠন আরও শক্তিশালী করাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য। সবাইকে নিয়ে কাজ করতে হবে। লবি করার দিন শেষ।” অর্থাৎ দায়িত্ব নিয়ে পূর্ণাঙ্গ রূপে ঝাপাতে না ঝাপাতেই কার্যত জেলা নেতাদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ করবার কড়া বার্তা দিয়ে দিলেন এই তৃণমূল নেত্রী।

বিশেষজ্ঞদের মতে, নদীয়া জেলায় দিনকে দিন বিজেপির প্রভাব বাড়তে শুরু করেছে। তাই এমত পরিস্থিতিতে এখন থেকেই সময় নষ্ট না করে বিধানসভাকে পাখির চোখ করে ময়দানে নেমে পড়েছেন মহুয়া মৈত্র। তবে তার এই পরিশ্রম আগামী দিনে নদীয়া জেলায় তৃণমূলের ফলাফলকে কতটা ভালো করাতে পারে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!