মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডি লিট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা রাজ্য January 14, 2018 সোশ্যাল মিডিয়া থেকে রাজনৈতিক মহলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডি লিট নিয়ে জন্ম দিয়েছে বিতর্কের। তবে এই বিতর্ক নতুন না। এর রেশ গিয়ে পৌঁছেছে আদালত পর্যন্ত। সেখানেই বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছেন , যেখানে বিষয়টি হাইকোর্টের বিচারাধীন রয়েছে,সেখানে এই পদক্ষেপ অবশ্যই সন্দেহের উদ্রেক করে। বিরোধীদের দাবি, শিক্ষাক্ষেত্রে রাজনীতির হস্তক্ষেপ কখনোই বাঞ্চনীয় নয়। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে সমস্ত শিক্ষাস্তরেই শাসকদলের অনুপ্রবেশ ,শিক্ষাক্ষেত্রকে দূষিত করে তুলছে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো ঐত্যিহ্যশালী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ডি লিট নিয়ে যেভাবে চাটুকারিতা করছে তা নিন্দাজনক বলেই দাবি বিরোধী দলগুলির। শিক্ষামহলেও এই নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। এই বিষয়ে বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ ব্যাঙ্গের সুরে বলেছেন, এই ঘটনার পর ডি লিট উপাধি ডিলিট অৰ্থাৎ তুলে দেওয়া উচিত। তৃনমূলের রাজত্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলিতে তৃনমূলের দাদাগিরি চলছে। পাশাপাশি সিপিএম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, নির্লজ্জ তোষামোদের নিদর্শন দেখাল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এই ডি লিট প্রদান করে। বামফ্রন্টের বৈঠকে এই ডি লিট প্রদান নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নিন্দাপ্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি দাবী করা হয়েছে যারা জ্যোতি বসুর ডি লিট নিয়ে কথা বলছেন তাঁদের মনে রাখা উচিত জ্যোতিবাবু মূখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন এই উপাধি নেননি। অবসরের পরে তিনি তা গ্রহণ করেন। এই ঘটনায় কংগ্রেসের তরফে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, ব্যক্তিগতভাবে আমি ইর্ষান্বিত নয়। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের রাজনীতিকরণ কখনোই মেনে নেওয়া যায়না। যদিও কংগ্রেসের নেতা অধ্যাপক ওমপ্রকাশ মিশ্র সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বিতর্ককে অপ্রয়োজনীয় বলেই উল্লেখ করেছেন। আপনার মতামত জানান -