এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ‘প্রটোকল’ মানছেন না মমতা ঘনিষ্ঠ আমলা? সরাসরি রিপোর্ট যাচ্ছে স্বারষ্ট্রমন্ত্রকে? সরগরম রাজ্য

‘প্রটোকল’ মানছেন না মমতা ঘনিষ্ঠ আমলা? সরাসরি রিপোর্ট যাচ্ছে স্বারষ্ট্রমন্ত্রকে? সরগরম রাজ্য


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –এবার উন্নয়নের কাজ না করতে দেওয়ায় খোদ জেলাশাসকের বিরুদ্ধে প্রতীকী ধরনায় বসলেন ঝাড়গ্রামে বিজেপি সাংসদ কুনার হেমব্রম। যার ফলে এখন কার্যত তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে গোটা জেলা জুড়ে। কিন্তু হঠাৎ করেই জেলাশাসকের কার্যালয়ের সামনে কেন ধর্নায় বসলেন বিজেপি সাংসদ? একাংশ বলছেন, লোকসভায় বিজেপির 18 টা আসন জিতলেও বিভিন্ন জায়গায় তাদের সাংসদদের কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

এক্ষেত্রে প্রশাসনের বিরুদ্ধে তারা বারবার অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছে। আর সেরকমই একটি অভিযোগ নিয়ে শুক্রবার সকালে ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক আয়েশা রানি-এর বিরুদ্ধে প্রতীকী ধর্নায় বসে পড়েন বিজেপি সাংসদ কুনার হেমব্রম। তবে এদিন সকাল সোয়া দশটার সময় যখন জেলাশাসকের কার্যালয়ে ধরনা দিতে যান বিজেপি সাংসদ, তখনও জেলাশাসক তার অফিসে পৌঁছননি। তবে তার কিছুক্ষণ পর তিনি অফিসে পৌঁছলেও, সাংসদের দিকে না দেখে চরম অসৌজন্যতা করেছেন বলে অভিযোগ বিজেপির। যার ফলে জেলাশাসকের বিরুদ্ধে আরও বেশি করে সরব হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিজেপি সাংসদের দাবি, জেলাশাসক উন্নয়নের বরাদ্দ খরচে কার্যত রাজনীতি করছেন। নির্বাচিত সাংসদকে অসম্মান করছেন। অভিযোগ, বেশ কিছুদিন ধরেই জেলাশাসককে ফোন করছেন বিজেপি সাংসদ। জেলার করোনা পরিস্থিতি জানতে চেয়ে একাধিকবার তিনি জেলাশাসককে চিঠিও দিয়েছেন। কিন্তু জেলাশাসকের পক্ষ থেকে কোনো উত্তর পাননি। আর তাই অবশেষে তার কার্যালয়ের সামনে ধর্নায় বসতে হল এই বিজেপি সাংসদকে।

এদিন এই প্রসঙ্গে জেলাশাসকের বিরুদ্ধে সরব হয়ে বিজেপি সাংসদ কুনার হেমব্রম বলেন, “ন্যূনতম সৌজন্যতা তো দূরের কথা, একজন সাংসদের সঙ্গে কি আচরণ করতে হয়, সেই প্রটোকলও জেলাশাসক মানছেন না। একজন আইএএস অফিসারের এই আচরণ সম্পর্কে আমরা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানাব।” এদিকে এই কর্মসূচিতে তিনি না থাকলেও, জেলাশাসকের আচরণ নিয়ে সরব হয়েছেন জেলা বিজেপির সভাপতি সুখময় শতপথী।

তিনি বলেন, “সাংসদকে পাশ কাটিয়ে জেলাশাসক গাড়ি নিয়ে দপ্তরে এলেন। নেমে কথা বলার সৌজন্যতাটুকুও দেখাননি।” এদিকে বিজেপি সাংসদ জেলাশাসকের দপ্তরে সামনে বিক্ষোভ করলেও, তাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন তৃণমূলের পক্ষ থেকে পাল্টা এই ব্যাপারে বিজেপিকে কটাক্ষ করা হয়েছে। এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী বীরবাহা সোরেন বলেন, “সাংসদ দলীয় পতাকা নিয়ে ধরনায় বসে প্রমান করে দিয়েছেন, তার উদ্দেশ্য রাজনীতি করা। তবে এত করেও জঙ্গলমহলবাসীকে বিভ্রান্ত করতে পারবেন না।”

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিজেপি অভিযোগ তুলেছে যে, তাদের জনপ্রতিনিধিদের কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। সামনে যখন বিধানসভা নির্বাচন, ঠিক তার আগে এবার জেলা প্রশাসন ও শাসক দলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়ে যেভাবে বিজেপি সাংসদ উন্নয়নের কাজ না করতে দেওয়ার অভিযোগে জেলা শাসকের বিরুদ্ধে ধর্ণায় বসে গেলেন, তা সত্যিই নজিরবিহীন ঘটনা বলে মনে করছে একাংশ। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, জেলাশাসকের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে বিজেপি সাংসদকে কিছু জানানো হয় কিনা, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!