এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতা ঘনিষ্ঠ হেভিওয়েট মন্ত্রীকে প্রার্থী চান না এলাকার মানুষ, শাসকদলের অস্বস্তি তুঙ্গে!

মমতা ঘনিষ্ঠ হেভিওয়েট মন্ত্রীকে প্রার্থী চান না এলাকার মানুষ, শাসকদলের অস্বস্তি তুঙ্গে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূলের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যাকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হবে, তার জন্য সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। আজ শুক্রবার তৃণমূলের পক্ষ থেকে রাজ্যের 294 টি বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হবে। কিন্তু তার আগেই চন্দননগরের বর্তমান তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়তে দেখা গেল। যেখানে “বিধায়ককে দেখতে পাওয়াই যায় না” বলে চন্দননগরের বিভিন্ন এলাকায় এই পোস্টার পড়তে শুরু করেছে। যার নীচে লেখা রয়েছে, “জনসাধারণ”।

স্বাভাবিক ভাবেই তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার আগেই যেভাবে ইন্দ্রনীল সেনের মত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রীকে প্রার্থী না চেয়ে সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে পোস্টার দিতে দেখা গেল, তাতে রীতিমত গুঞ্জন তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, 2016 সালের বিধানসভা নির্বাচনে চন্দননগর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেছিলেন ইন্দ্রনীল সেন। তারপর তাকে রাজ্যের তথ্য এবং সংস্কৃতি দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী করা হয়‌। কিন্তু এবার নির্বাচনের মুখে ভূমিপুত্রকে প্রার্থী করার দাবিতে সরব হতে দেখা গেল একাংশকে।

যেখানে এতদিন বিধায়ককে সেভাবে এলাকায় দেখতে পাওয়া যায়নি বলে দাবি করতে শুরু করলেন একাংশ। কিন্তু এই পোস্টার দেওয়ার পেছনে কাদের হাতে রয়েছে? একাংশ বলছেন, এটা তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বের ফসল হতে পারে। হয়ত বা তৃণমূলের কেউ বা কারা ইন্দ্রনীল সেনকে চাইছেন না। তাই তারা এই ধরনের পোস্টার দিয়ে নিচে জনসাধারণ লিখে দিয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কেননা ইতিমধ্যেই দলের পক্ষ থেকে কড়া ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, দলীয় প্রার্থীর বিরোধিতা যেন কেউ না করেন। সেক্ষেত্রে প্রকাশ্যে যদি তৃণমূলের নেতাকর্মীরা এর বিরোধিতা করেন, তাহলে তা নিয়ে অস্বস্তি বাড়তে পারে। এমনকি সেই নেতাকর্মীদের ডানা ছেঁটে দিতে পারে শাসকদল। তাই ইন্দ্রনীল সেনকে প্রার্থী না চেয়ে পোস্টার দিয়ে তৃণমূলের একাংশ এই ধরনের কাজ করেছে বলে দাবি করছে সমালোচক মহল।

এদিন এই প্রসঙ্গে চন্দননগরের বাসিন্দারা বলেন, “এমন প্রার্থী নিয়ে কি হবে, তাদের তো দেখাই যায় না! যারা এখানকার লোক, ভূমিপুত্র, তাদেরই দরকার।” কিন্তু ভোটের মুখে সাধারণ মানুষদের এই ধরনের দাবি কি শাসক দলকে অস্বস্তিতে ফেলছে না? এদিন এই প্রসঙ্গে যাকে এমএলএ করার দাবিতে সেই পোস্টার পড়েছে, সেই জয়দীপ সিংহ বলেন, “কে বা কারা এটা লিখেছে জানি না। তবে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে কারণে কেউ এটা লিখতে পারে। আবার বিরোধীদের চক্রান্তও হতে পারে। আমার অবদানের কথা ভেবে আবেগে আমাদের কর্মীরাও লিখতে পারে।”

এদিকে ভোটের মুখে প্রার্থী তালিকা ঘোষণার আগেই এই ধরনের পোস্টার পদ্মফুল শিবিরের হাতে নয়া হাতিয়ার তুলে দিয়েছে। এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা সোমনাথ সিংহ বলেন, “ওরা যাকে খুশি প্রার্থী করুক। শুধু এখানে নয়, গোটা বাংলায় এবার পদ্মফুল ফুটবে।” সব মিলিয়ে তৃণমূল যতই প্রার্থী তালিকা নিয়ে দলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার বার্তা দিক না কেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হেভিওয়েট মন্ত্রীকে প্রার্থীই চান না চন্দননগরের মানুষ। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!