এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মমতার সরকারকে “ছোটলোক” বলে আক্রমণ দিলীপের, কারন জানলে চমকে যাবেন!

মমতার সরকারকে “ছোটলোক” বলে আক্রমণ দিলীপের, কারন জানলে চমকে যাবেন!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বরাবরই তিনি ঠোঁটকাটা হিসেবে পরিচিত। বিভিন্ন সময় তার বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে আলাদা করে আলোচনা বসাতে হয় সংবাদমাধ্যমের কর্তা-ব্যক্তিদের। আর বিতর্কিত মন্তব্য করার পর তার বিরুদ্ধে সমালোচনার বন্যা বয়ে গেলেও, তিনি তাতে কান দেন না। বরঞ্চ নিজের মত করে আবার অন্য ইস্যুতে করে ফেলেন বিতর্কিত মন্তব্য। আর এবার স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় রাজ্য সরকারের নানা বিষয় নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে “ছোটলোক এবং নিম্ন-রুচির সরকার” বলে আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ।

যার জেরে সমালোচনার বন্যা বইতে শুরু করেছে গোটা রাজ্য জুড়ে। হঠাৎ কী এমন ঘটনা ঘটল! যার কারণে এমন বেনোজির আক্রমণ করলেন দিলীপ ঘোষ? জানা গেছে, নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের ফলাফল নিয়ে সম্প্রতি মামলা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সেই মামলার বিচারপতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর এই পরিস্থিতিতে এই গোটা বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকারকে “ছোটলোক” বলে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত মে মাসের 2 তারিখে বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হয়েছে। যে ফলাফলের দিকে গোটা রাজ্যের নজর ছিল। পাশাপাশি রাজ্যবাসী তথা দেশবাসীর নজর ছিল নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের দিকে। কেননা এই বিধানসভা কেন্দ্রে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছিল। একদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারী। শেষ পর্যন্ত এই আসনে কে জয়লাভ করে, তার দিকে তাকিয়েছিলেন সকলে।

অবশেষে এই নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের ফলাফল নিয়ে নাটকীয় টানাপোড়েন তৈরি হয়। যেখানে প্রথমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জয়লাভ করেছেন বলে জানানো হয়। পরবর্তীতে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন, নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে জয়লাভ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূলের সরকার গঠনের জন্য রাজ্যবাসীকে অভিনন্দন জানালেও, নন্দীগ্রাম নিয়ে সংশয় প্রকাশ করতে দেখা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তবে দীর্ঘদিন এই ব্যাপারে কোনো রকম পদক্ষেপ নেয়নি তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু সম্প্রতি নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তবে যে বিচারপতির বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা, সেই বিচারপতির ব্যাপারে আপত্তি তুলতে দেখা গেছে শাসক দলকে। যেখানে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে একটি অনুষ্ঠানে সেই বিচারপতির ছবি ভাইরাল করা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। স্বাভাবিক ভাবেই গোটা বিষয়টিকে নিয়ে বিতর্ক ক্রমশ মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছিল। আর এবার তৃণমূলের এই আপত্তি নিয়েই বড় প্রশ্ন তুলে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি ঠিক করবেন, মামলার বিচারপতি কে হবেন! যে দলের আদালতের উপর বিশ্বাস নেই, তাদের তো রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে দেওয়া উচিত। ছোটলোক নিম্নরুচির মানুষ বলেই এমন কাজ করতে পারছেন।”

 

আর দিলীপ ঘোষ এভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকারকে আক্রমণ করার পরেই নানা মহলে তার বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অনেকে বলছেন, এটা একজন রাজনীতিবিদের ভাষা হতে পারে না। রাজনৈতিক আক্রমণ দিলীপবাবু করতেই পারেন। কিন্তু তাই বলে এই ধরনের নিম্ন-রুচির পরিচয় কেন দেবেন তিনি? অনেকে আবার বলতে শুরু করেছেন, এই জন্যই বাংলায় বিজেপির এই অবস্থা। রাজনৈতিক আক্রমণ করতে গিয়ে যেভাবে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা সহ শালীনতার মাত্রা অতিক্রম করলেন বিজেপি সাংসদ, তাতে নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ভাষা সংস্কৃতি নিয়ে যদি বাংলার রাজনীতিবিদরা সচেতন না থাকেন, তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কি শিখবে, এখন সেটাই বড় প্রশ্ন বিশেষজ্ঞদের কাছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!