এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > “মমতার ভুল ধরলেই লাথি খেতে হত” বিস্ফোরক হেভিওয়েট বিধায়ক

“মমতার ভুল ধরলেই লাথি খেতে হত” বিস্ফোরক হেভিওয়েট বিধায়ক


লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ফলাফল খারাপ হওয়ার পেছনে মেরুকরণ যে অনেকাংশেই দায়ী তা ফলাফল পর্যালোচনা বৈঠকে উঠে এসেছে। এমনকি রাজ্যের শাসকদলের সংখ্যালঘু তোষন নিয়েও বিরোধীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছেন।

সম্প্রতি বিধানসভায় অধিবেশনে ফারাক্কার কংগ্রেস বিধায়ক মইনুল হক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংখ্যালঘু প্রীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। কেন একজন মহিলা হয়ে তিনি হিজাব পড়ে নামাজ পাঠ করবেন! তা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যায় কংগ্রেসের এই সংখ্যালঘু নেতাকে। আর এবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন ফারাক্কার এই কংগ্রেস বিধায়ক।

সংখ্যালঘু এই নেতার দাবি, কোন সময় ইনশাল্লাহ, আর কোন সময় খোদা হাফেজ বলতে হয়, তার কোনো ধারনাই নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আর তাই তো উল্টোপাল্টা কথা বলে তিনি মানুষের ভাবাবেগে আঘাত করছেন। এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের এই প্রাক্তন সাংসদ সুলতান আহমেদের বক্তব্যের কিছু অংশ তুলে ধরেন কংগ্রেসের মইনুল হক।

তিনি বলেন, “সুলতান আহমেদ যখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন, তখন আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সংখ্যালঘু প্রীতি নিয়ে ভুল শব্দ প্রসঙ্গে তাকে বলেছিলাম যে, তোমরা তোমাদের নেত্রীকে এগুলো বলতে বারণ করতে পারো না কেন! তখন সুলতান আমাকে বলেছিল, ওগুলো কে বলতে যাবে! বলে কি আমি তার কাছে লাথি খাব!” আর মইনুল হকের এই বক্তব্য ঘিরেই এবার রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে চাঞ্চল্য।

কেননা দীর্ঘদিন ধরেই সমালোচক মহলের একাংশ বলছেন, তৃণমূলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভুল হোক বা ঠিক, তার উপরে কথা বলার মত সাহস কারোর নেই। আর তাইতো সংখ্যালঘু প্রীতি প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভুল শব্দ প্রয়োগ নিয়ে তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদের কাছ থেকে শোনা কথাই তুলে ধরে এদিন তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন ফারাক্কার এই কংগ্রেস বিধায়ক।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শুধু তাই নয়, বাংলায় এবারের লোকসভা নির্বাচন মেরুকরণের ভিত্তিতে হয়েছে বলেও এদিন শাসকদলের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে দেখা যায় মইনুল হককে। তিনি বলেন, “রামনবমীর সময় তৃণমূলও গেরুয়া ফেট্টি বেঁধে রাস্তায় নেমেছিল। আবার ইমামদের ইমাম ভাতা দিয়েছে। তাহলে পুরোহিতরা কেন বঞ্চিত থাকবে! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই তোষনের রাজনীতির সৃষ্টি করেছেন।”

এদিকে ফারাক্কার কংগ্রেস বিধায়কের এহেন বক্তব্যের পরেই পুরোহিত ভাতা দেওয়া হবে বলে সরকারের তরফে রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানালে এদিন সেই প্রসঙ্গেও তৃণমূলের কড়া ভাষায় সমালোচনা করেন তিনি। মইনুল হক বলেন, “আসলে বিনাশকালে বুদ্ধিনাশ। প্রথমে ইমাম ভাতা দিয়ে বিভাজনের রাজনীতি করেছেন, আর এবার পুরোহিত ভাতা দিয়ে ফের সেই বিভাজনের পথে হাঁটছেন।”

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ফারাক্কার কংগ্রেস বিধায়ক মইনুল হকের এহেন বিস্ফোরক মন্তব্য তৃণমূলকে অনেকটাই অস্বস্তিতে ফেলে দেবে। কেননা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হিজাব পড়ে ঈদের মাঠে ইনশাল্লাহ, খোদাহাফেজ যে শব্দগুলো উচ্চারণ করেন সেগুলো নাকি ভুল! আর তা দাবি করেই তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ সুলতান আহমেদের কথা উচ্চারণ করে “নেত্রীর কাছে ভুল বললে লাথি খেতে হবে” বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দাবি করলেন ফারাক্কার কংগ্রেস বিধায়ক। যা তৃণমূলের কাছে অত্যন্ত চাপের বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!