মমতাকে পরাজিত করতে শুভেন্দুর হয়ে প্রচারে অমিত শাহ-মিঠুন! জেনে নিন তৃণমূল বিজেপি মেদিনীপুর রাজনীতি রাজ্য March 23, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্র যেন তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপির কাছে কার্যত প্রেস্টিজ ফাইট হয়ে দাঁড়িয়েছে। দু’পক্ষই চেষ্টা করছে, এই কেন্দ্রে জয়লাভ করতে। যেখানে একদিকে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন স্বয়ং তৃনমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তেমনই অপরদিকে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সৈনিক কিছুদিন আগেই বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারী। লড়াই জমে উঠেছে নন্দীগ্রামে। তবে শেষ পর্যন্ত এই আসনে কারা জয়লাভ করে, তা দেখবার জন্য ভোটবাক্স খোলা পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে। প্রত্যেকেই প্রচারে ঝড় তোলার চেষ্টা করছেন। এবার নন্দীগ্রাম বিধানসভা যাতে বিজেপির পক্ষে থাকে, তা নিশ্চিত করতে শুভেন্দু অধিকারীর হয়ে শেষ লগ্নে প্রচার আসতে চলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী। সূত্রের খবর, আগামী 30 মার্চ প্রচারে শেষ দিনে সকালে একটি রোড শো করার কথা রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। আর তারপরই বিকেলে রোড শো করবেন হেভিওয়েট অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। আর দুই তারকা রাজনীতিবিদ এবং তারকা অভিনেতার শুভেন্দু অধিকারীর গড়ে এসে বিজেপির প্রচার করায় রীতিমত উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরমহলে। যার ফলে নানা মহলে সৃষ্টি হয়েছে গুঞ্জনের। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - একাংশ বলছেন, বিজেপির এখন প্রধান লক্ষ্য, রাজ্যের ক্ষমতা দখল করা। আর এবার বাংলার ক্ষমতা দখল করতে গেলে নন্দীগ্রাম বিধানসভায় যে জয়লাভ করতেই হবে, তা বুঝে গিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। কেননা এখানে তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রার্থী হয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই তাকে পরাজিত করতে রীতিমতো আদাজল খেয়ে নেমেছেন ভারতীয় জনতা পার্টি। ইতিমধ্যেই নন্দীগ্রামে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন যে, তিনি হাফ লক্ষ্য ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত করবেন। তবে শেষ মুহূর্তে প্রচারে ঝড় তুলতে অমিত শাহ এবং মিঠুন চক্রবর্তী এসে তৃণমূলকে কতটা চাপে রাখতে পারেন এবং বিজেপির ভোটব্যাংক কতটা বাড়াতে পারেন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -