এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিধানসভার আগে ‘ফুল ফর্মে’ অনুব্রত? মমতার কাজ নিজেই করে নিচ্ছেন! তীব্র জল্পনা শুরু তৃণমূলে!

বিধানসভার আগে ‘ফুল ফর্মে’ অনুব্রত? মমতার কাজ নিজেই করে নিচ্ছেন! তীব্র জল্পনা শুরু তৃণমূলে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজনীতিবিদদের মতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কমবেশি যেকোন দলের মধ্যেই থাকে। হাতের পাঁচটা আঙুল যেমন সমান হয় না, তেমনি একটি দলের মধ্যে থাকা সব মানুষের ভাবনাও সমান হয় না। কিন্তু প্রত্যেকের ভাবনাকে সম্মান জানিয়ে কর্মক্ষেত্রে এগিয়ে চলতে হয়। আর তাই দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থাকলেও তা প্রকাশ্যে আনার কোনো যুক্তিযুক্ত কথা নয় বলেই মনে করেন অনেকে।

তবে সেক্ষেত্রে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব হোক বা যেকোন সিদ্ধান্ত যে দলের প্রধানকে নিতে হয়, এমনটাই নিয়ম বলে মনে করা হয়। কিন্তু সম্প্রতি অনুব্রত মণ্ডল ভোট নিয়ে যে “কাণ্ড” ঘটিয়েছেন, তাতে সংশয় তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। বস্তুত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল সম্পর্কে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়াই যুক্তিযুক্তভাবে শেষকথা হওয়া উচিত। কিন্তু এক্ষেত্রে অনুব্রত মণ্ডল যেভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাই নিয়েই সংশয় দেখা গেছে দলের বিভিন্ন ক্ষেত্রে।

বস্তুত দরিয়াপুরের তিনটি অঞ্চলে সভা করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল, আর সেখানেই হঠাৎ করে আসন্ন ভোটের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দেন তিনি। যা কিনা স্বভাবতই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের করা উচিত। তাঁর সিদ্ধান্ত জানানোর আগেই এমন ঘটনা তাই চরম উত্তেজনা তৈরি করেছে রাজনৈতিক মহলে। সেইসঙ্গে কেউ কেউ মনে করছেন বিরোধীদের চ্যালেঞ্জ জানাতে তিনি এমন করছেন।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভোটে বিরোধীদের জবাব দিতে এবং সংগঠনকে অটুট রাখতে প্রায় প্রতিদিনই বুথ ভিত্তিক সভা করতে দেখা যাচ্ছে অনুব্রত মণ্ডলকে। সেই সঙ্গে সাংগঠনিক দিক থেকে অনুব্রত মণ্ডলের জায়গা হিসেবে বীরভূমে তৃণমূল যে বেশ শক্তিশালী সে কথা আলাদা করে বলে দিতে হয় না। আর সেখানে প্রথমে এমন মন্তব্য করার পর অবশ্য তিনি বলেন যে, তিনি প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করার কেউ নন। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে এই ব্যাপারে নিজের পছন্দ নিয়ে দিদির ওপরেই আস্থা রেখেছেন তিনি। তাঁর কথায়, তাঁর পছন্দের প্রার্থীই দিদির পছন্দের প্রার্থী হয়ে উঠতে পারবে। সেইসঙ্গে নিজের মনোনীত প্রার্থীর গুণাগুণ নিয়েও আলোচনা করতে দেখা গেছে তাঁকে।

বস্তুত, এদিন, সাঁইথিয়ার দরিয়াপুরে তিনটি অঞ্চল ফুলুর, হরিসরা, দরিয়াপুরের কর্মীদের নিয়ে বুথ ভিত্তিক সভা করেন অনুব্রত মণ্ডল। সেখানেই তিনি বর্তমান বিধায়ক নীলাবতী সাহাই পরবর্তী প্রার্থী হবেন বলে জানিয়ে দেন। সেই সঙ্গে বলেন, নীলাবতী ভাল মেয়ে। এলাকার উন্নয়নেও তিনি কাজ করেছেন। পাশাপাশি তাঁকেই নাকি কর্মীরা চাইছেন।

তবে অন্যদিকে, বুধবার যে তিনটি এলাকা নিয়ে অনুব্রত মণ্ডল সভা করেন, সেই তিনটি এলাকাতেই লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ব্যাপক ভাবে এগিয়ে ছিল বলে দেখা গেছে। বিশেষ করে আদিবাসীদের ভোটের ফলেই বিজেপি এগিয়ে গিয়েছিল। তাই এবার সেই সমস্যা মেটাতে চান তিনি। সেইসঙ্গে । লোকসভা নির্বাচনের দলের পিছিয়ে থাকার কারণ পর্যালোচনাও করতে দেখা গেছে তাঁকে।

তবে দলের সকলকে অনুশাসন মেনে চলার হুঁশিয়ারি দিলেও, এই প্রশ্নের জবাব দিতে যখন বেশ কিছু বুথ সভাপতি তাদের এলাকার সমস্যার কথা বলতে যান, তখন দলীয় কর্মীরা মাইক কেড়ে নেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেই সঙ্গে আরো জানা যায় যে, বুথ সভাপতিরা যখন রাস্তা নিয়ে অভিযোগ করছেন, তখন তা শুনতে দেওয়া হয়নি, অন্যদিকে সমস্যার কথা তুলতেও বাধা দেওয়া হয়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!