এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মমতার কারিশমা কি কম পড়েছে? স্বচ্ছ নেতার লক্ষ্যে বাম নেতাদের কাছে টিম পিকে! শুরু তীব্র কটাক্ষ

মমতার কারিশমা কি কম পড়েছে? স্বচ্ছ নেতার লক্ষ্যে বাম নেতাদের কাছে টিম পিকে! শুরু তীব্র কটাক্ষ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিকল্প কেউ হতে পারেন, একথা কোনোকালেই তৃণমূলের নেতারা বিশ্বাস করেননি। তবে গত 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যাপক প্রচার চালিয়ে 42 এ 42 স্লোগান তুললেও ফলাফলে বিজেপির কাছে কার্যত পর্যুদস্ত হতে হয় ঘাসফুল শিবিরকে। তৃণমূল 22 টি আসন দখল করলেও, এক ধাক্কায় 18 টি আসন পেয়ে বিজেপির পক্ষ থেকে চ্যালেঞ্জ জানানো হয় রাজ্যের শাসকবর্গকে। আর এর পরেই দলকে কিভাবে নতুন করে মানুষের মনে স্থাপন করা যায়, তার জন্য চেষ্টা শুরু করেন তৃণমূল নেত্রী তথা যুব তৃনমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

তার উদ্যোগেই দলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা করা হয় প্রশান্ত কিশোরকে। আর তখন থেকেই প্রশ্ন তৈরি হয়েছিল, তাহলে কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কারিশমা কার্যত শেষ হয়ে এল? যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একা প্রচার করলে তৃণমূল ব্যাপক সমর্থন পেত, সেই তাকে এখন দলকে ভালো জায়গায় নিতে গেলে প্রশান্ত কিশোরের উপর ভরসা করতে হবে? ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে বিরোধীদের তরফে তৃণমূলের উদ্দেশ্যে নানা কটাক্ষ ছুড়ে দেওয়া হয়েছে।

বর্তমানে 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজ্যে তৃণমূলের কথায় “কিছুটা অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাওয়া” বামেদের জনপ্রতিনিধিদের তৃণমূলে আসার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। আশ্চর্যজনকভাবে বিভিন্ন জায়গায় বামেদের প্রাক্তন এবং বর্তমান জনপ্রতিনিধিদের ফোন করে সেই প্রস্তাব দিচ্ছেন প্রশান্ত কিশোরের টিম বলে খবর। স্বাভাবিকভাবেই যে তৃণমূল বিরোধীদের ওপর ভরসা করে না বলে দাবি করেন শাসক দলের শীর্ষ নেতারা, সেই তৃণমূলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা কেন এখন বিরোধীদের জনপ্রতিনিধিদের উপরে ভরসা রাখছেন? তাহলে কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রহণযোগ্যতা কমে আসছে! এখন সেই ব্যাপারেই তৃণমূলকে পাল্টা কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, এদিন ট্যুইটে তৃণমূলকে কটাক্ষ করে সুজনবাবু লেখেন, “রাজ্যের 294 টি আসনে তৃণমূলের তো একজন প্রার্থী। মাননীয়া তো একাই একশো। তাই যদি হয়, এখন হল টা কি! পিকের কোম্পানি বামপন্থীদের দরজায় মাথা খুটছে কেন? মাননীয়ার কারিশমা কি কম পড়িয়াছে! দেউলিয়াপনা ধরা পড়ে গেল যে!” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুজন চক্রবর্তী এই কথা বলে তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন। তিনি বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন যে, তৃণমূল যতই সাধু সাজার চেষ্টা করুক, তারা এখন জনভীতি হারিয়েছে। আর তার ফলেই বিরোধীরা তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ না হলেও, সেই বিরোধীদের জনপ্রতিনিধিকে টানবার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন তৃণমূলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা।

আর এখানেই একাংশ প্রশ্ন করছেন, তাহলে কি সত্যি সত্যিই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলে স্বচ্ছ মুখের অভাব দেখা দিতে শুরু করেছে? আর তাই বেছে বেছে বিরোধীদের জনপ্রতিনিধিদের তৃণমূলে আসবার জন্য প্রস্তাব দিতে শুরু করেছেন প্রশান্ত কিশোর? বলা বাহুল্য, ভয়াবহ দুর্যোগের পর বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের নানা জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। যাকে কেন্দ্র করে টালমাটাল হয়েছে তৃণমূলের অন্দরমহল। ভোট রাজনীতিতে এর প্রভাব পড়তে পারে অনুধাবন করে সেই সমস্ত দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের দল থেকে বের করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরেও তৃণমূলের গ্রহণযোগ্যতা খুব একটা ভালো ভাবে উপস্থাপিত হয়নি সাধারণ মানুষের কাছে।

এই দুর্নীতিতে আটকাতে গিয়ে সরকারি প্রকল্পে বাড়ি তৈরীর টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে অনেক তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে। স্বাভাবিকভাবেই একের পর এক দুর্নীতি তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে ওঠায় রীতিমত জেরবার ছিল তৃণমূল নেতৃত্ব ও প্রশান্ত কিশোরের টিম। তাই এবার স্বচ্ছ মুখের উপর ভরসা করতে বিরোধীদের ঘরে হানা দিতে শুরু করেছে প্রশান্ত কিশোর। যার ফলে এই গোটা ব্যাপারটিকে নিয়ে যেভাবে তাদের জনপ্রতিনিধিদের দলবদলের প্রস্তাব দেয়া হচ্ছে বলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হলেন সুজন চক্রবর্তী, তাতে তৃণমূল কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে পড়ল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!