এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > মমতার লকডাউন নাকি বিজেপি রাম মন্দির আবেগ? দিনের শেষে জিতবে কে? একটাই প্রশ্ন বঙ্গ রাজনীতিতে

মমতার লকডাউন নাকি বিজেপি রাম মন্দির আবেগ? দিনের শেষে জিতবে কে? একটাই প্রশ্ন বঙ্গ রাজনীতিতে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা ভাইরাসের কারণে আগস্ট মাসের বেশ কিছুদিনকে বেছে নিয়ে লকডাউনের কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। তবে 5th আগস্ট রাজ্যজুড়ে সেই লকডাউনের দিন পড়লেও, যেহেতু সেদিন রাম মন্দিরে পুজো হবে, তাই প্রথম থেকেই এই লকডাউনের বিরোধিতা করতে দেখা গেছে ভারতীয় জনতা পার্টিকে। দেশের কাছে যেহেতু এটা আবেগের দিন, সেহেতু রাজ্যবাসীর স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা ভেবে লকডাউন করলেও, ভগবান রামের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য তা শিথিল হওয়া উচিত বলে প্রথম থেকে দাবি করে এসেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

স্বাভাবিকভাবেই  5th আগস্ট তারিখে রাজ্য সরকারের লকডাউন বাংলায় বেশি সফল হয়, নাকি সেই লকডাউনকে উপেক্ষা করে রাম মন্দিরের ভূমি পুজোর জন্য বেশি মেতে ওঠেন সাধারন মানুষ, এখন সেদিকেই নজর রয়েছে সকলের। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে ব্যাপক তরজা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে। তৃণমূলের দাবি, ধর্ম পরে। আগে মানুষের স্বাস্থ্যের সুরক্ষা করা উচিত। তাই করোনা ভাইরাসের আবহে সরকারের লকডাউন সকলকে মানা উচিত।

পাল্টা যুক্তি দিচ্ছে বিজেপিও। তাদের বক্তব্য, যে যাই বলুন না কেন, এটা ভারতবাসীর কাছে একটা আবেগের দিন। তাই রামের পুজো হবেই। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে উত্তর 24-পরগনার একটি অনুষ্ঠান থেকে হুঁশিয়ারী দিয়ে রেখেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “লকডাউন তো আরও একবার বদল করা যেত। যারা বাধা দিচ্ছে, তাদের নরকেও জায়গা হবে না। বাধা দিলে সংঘাত হবে।” অন্যদিকে দিলীপ ঘোষকে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তিনি বলেন, “কে বলেছে যে বাধা দেওয়া হবে ! প্রত্যেকে ঘরে রামের পুজো করতে পারবেন। দিলীপবাবুরা ছায়ার সঙ্গে যুদ্ধ করছেন।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে 5th আগস্ট যখন রাম মন্দিরে ভূমি পুজো হবে, তখন গৌড়বঙ্গের তিন জেলায় শঙ্খধ্বনি সহ বাড়িতে মাটির প্রদীপ জ্বালানোর কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এদিন এই প্রসঙ্গে কোচবিহার জেলা বিজেপির সভানেত্রী মালতি রাভা রায় বলেন, “দলগত কর্মসূচি নেই। সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে শাখ সাজাবেন। সন্ধ্যায় সবাই বাড়িতে প্রদীপ জ্বালাবেন।” তবে পশ্চিম বর্ধমান জেলা বিজেপির সভাপতি লক্ষণ বাবু অবশ্য বলেছেন, “বুধবার লকডাউন মানার কোনো প্রশ্নই নেই। জেলার সর্বত্র পুজো এবং যজ্ঞ হবে।”

স্বাভাবিকভাবেই এই গোটা ঘটনায় বুধবার দিনভর যে রাজনৈতিক তরজা লেগেই থাকবে গোটা বাংলা জুড়ে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। একাংশ বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। তাই এই সময় সমস্ত রকম সমাবেশ বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু রাম মন্দিরের ভূমি পূজাকে কেন্দ্র করে যেভাবে বিজেপি বাংলায় নিজেদের উত্থান ঘটাতে উদ্যোগী, তাতে বুধবার বড় রকমের সমস্যা তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।

স্বভাবতই বিজেপি যখন এই ভুমি পুজো সেলিব্রেশনের মধ্যে দিয়ে একদিকে নিজেদের রাজনৈতিক উত্থান এবং অন্যদিকে তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ জানাতে তৎপর, তখন তৃণমূল বিজেপির এই কর্মসূচিকে কটাক্ষ করতে ব্যস্ত। সব মিলিয়ে রাম মন্দিরের ভূমি পূজাকে কেন্দ্র করে বাংলায় রাজনৈতিক দ্বৈরথ তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!