এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > মমতা-ম্যাজিক শুরু, এবার এই ইস্যুতে তৃণমূলের পাশে বিজেপি বিরোধী একাধিক নেতা! চাপে পদ্ম শিবির!

মমতা-ম্যাজিক শুরু, এবার এই ইস্যুতে তৃণমূলের পাশে বিজেপি বিরোধী একাধিক নেতা! চাপে পদ্ম শিবির!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  দিল্লি যাওয়ার আগে কলকাতা থেকেই একুশে জুলাইয়ের শহীদ সমাবেশের মঞ্চ থেকে সকল বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে এক হওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই তিনি দিল্লিতে পা রেখেছেন। একাধিক বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে শুরু করেছেন বৈঠক। আর এই পরিস্থিতিতে এবার সংসদেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি পৌঁছনোর যে কিছুটা হলেও সুফল রয়েছে, তা পেতে শুরু করল তৃণমূল কংগ্রেস। যেখানে সম্প্রতি বাদল অধিবেশনে সাসপেন্ড হওয়া তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনের সাসপেনশন প্রত্যাহারের কথা তুলে ধরে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। আর সেই চিঠিতে রয়েছে একাধিক বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সাংসদদের নাম।

অর্থাৎ এক্ষেত্রে তৃণমূলের পক্ষ থেকে তাদের যে সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে যেমন আওয়াজ তোলা হয়েছে, পাশাপাশি এই ইস্যুতে যে তৃণমূলের প্রতি সমর্থন থাকবে বেশকিছু বিরোধী রাজনৈতিক দলের, তাও এই চিঠির মধ্যে দিয়ে স্পষ্ট হয়ে ফুটে উঠেছে। আর এই চিঠি প্রকাশ্যে আসার পরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে পা রাখার পরই যে ধীরে ধীরে তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপি বিরোধী মহাজোটের শামিল হতে শুরু করেছে একের পর এক রাজনৈতিক দল, তা স্পষ্ট হতে শুরু করল বলেই মনে করছেন একাংশ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রীর হাত থেকে পেগাসাস নিয়ে বিবৃতি কেড়ে নেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। আর তারপরেই তা ছিড়ে ফেলেন তিনি। আর এইরকম অসংসদীয় আচরণ করায় সেই তৃণমূল সাংসদকে রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড করা হয়। যার তীব্র প্রতিবাদ করতে শুরু করে ঘাসফুল শিবির। আর এই ব্যাপারে প্রতিবাদ করে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়ে সাসপেন্ডেড সাংসদকে যে নিগ্রহ করা হয়েছে, তা তুলে ধরল তৃনমূল কংগ্রেস। যেখানে সাক্ষী হিসেবে একাধিক নেতার কথা তুলে ধরা হয়েছে।

সিপিএম থেকে শুরু করে আরজেডি, ডিএমকে থেকে শুরু করে সমাজবাদী পার্টি, এমনকি কংগ্রেসের সাংসদদের কথাও সেই চিঠিতে তুলে ধরেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এক্ষেত্রে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান যদি মনে করেন, তাহলে এই সমস্ত সাংসদদের ডেকে শান্তনু সেনকে নিগ্রহ করা হয়েছে কিনা, তা জেনে নিতে পারেন বলে সেই চিঠিতে উল্লেখ করেছেন ঘাসফুল শিবির। আর তা থেকেই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে, আগামী দিনে বিজেপি বিরোধিতায় সংসদের ভেতরে এবং বাইরে বড়সড় জোট গঠন হতে চলেছে।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বর্তমানে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে রয়েছেন। আর তার এই দিল্লি সফরের পেছনে যে বড় কারণ বিরোধী মহাজোট গঠন করা, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ইতিমধ্যেই কলকাতা থেকেই তার বার্তা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই পরিস্থিতিতে তিনি দিল্লিতে পৌঁছে যাওয়ার সাথে সাথেই যেভাবে শান্তনু সেন ইস্যুতে তৃণমূলের সুরেই সুর মেলাতে দেখা গেল একাধিক বিজেপি বিরোধী নেতা এবং জনপ্রতিনিধিদের, তাতে আগামী দিনে সংসদের দুই কক্ষে বিজেপির চাপ বাড়বে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!