এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > স্কুলশিক্ষায় বরাদ্দ কমল অনেকটা, কেন্দ্রের বঞ্চনায় ক্ষোভে ফুটছে রাজ্য সরকার

স্কুলশিক্ষায় বরাদ্দ কমল অনেকটা, কেন্দ্রের বঞ্চনায় ক্ষোভে ফুটছে রাজ্য সরকার

রাজ্যের উন্নয়নে বরাদ্দ অর্থের পরে এবার রাজ্যের স্কুলশিক্ষায় বিভিন্ন প্রকল্পে বরাদ্দ অর্থে কোপ বসালো কেন্দ্র। ওয়াকিবহাল কমিটির মতে এই বরাদ্দকৃত অর্থের হঠাৎ করে কমে যাওয়ার পিছনে রাজ্যের ও ভূমিকা রয়েছে। কেন্দ্রকে একা দায়ী করা ঠিক হবে না। সর্বশিক্ষা, রাষ্ট্রীয় মাধ্যমিক শিক্ষা অভিযান এবং শিক্ষক শিক্ষণ প্রকল্প মিশে গিয়ে সমগ্র শিক্ষা অভিযান প্রকল্প শুরু হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। সেই প্রকল্প খাতে সব মিলিয়ে ৪,৩০০ কোটি টাকার ছাড়পত্র মিলেছে রাজ্যের। শিক্ষাদপ্তর সূত্রে খবর, রাজ্যের প্রতিনিধিরা চলতি বছর ৭ হাজার কোটি টাকারও বেশি প্রকল্পের প্রস্তাব নিয়ে দিল্লিতে প্রজেক্ট অ্যাপ্রুভাল বোর্ড (প্যাব)-এর বৈঠকে গিয়েছিলেন। সমগ্র শিক্ষা অভিযানের নীতি অনুযায়ীই  তাতে অন্তর্ভূক্ত ছিলো প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা এবং শিক্ষক শিক্ষণের জন্য প্রকল্প সবই। কিন্তু মাত্র ৪,৩০০ কোটি টাকার প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে বোর্ড। অর্থাৎ, ২,৭০০ কোটি টাকার প্রকল্প নাকচ হয়েছে। এই প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট দফতরের এক অধিকর্তার সূত্রে জানা গিয়েছে ,” গতবার স্কুলশিক্ষা খাতে ৫,৭০০ কোটি টাকার প্রকল্পের প্রস্তাবনা গিয়েছিল। ছাড়পত্র মিলেছিল ৪,৫৪০ কোটি টাকার প্রকল্পের।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

——————————————————————————————-

 এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এবার প্রস্তাবনা গতবারের চেয়ে ১,৩০০ কোটি টাকা বেশি হলেও বরাদ্দ করা হয়েছে গতবারের চেয়ে ১৪০ কোটি টাকা কম।” প্রসঙ্গতঃ গতবার কেন্দ্রের থেকে রাজ্য যে ৪,৫৪০ কোটি টাকার প্রকল্প ছাড়পত্র পেয়েছিল, তার মধ্যে এখনও পর্যন্ত ১,৮০০ কোটি টাকার সামাণ্য বেশি অর্থ পাওয়া গিয়েছে। প্রস্তাবিত বাকি অর্থ না পাওয়ার কারণ হিসেবে সঠিক সময়ে অধিকাংশ প্রকল্পের ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট (ইউসি) দিতে না পারাকেই দায়ী করা হচ্ছে। অপর একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে  ওই ৪৩০০ কোটি টাকার মধ্যে ৮০০ কোটি টাকা এখন রাজ্যে আসবে তবে সেই প্রক্রিয়ার কাজ এখনও চলছে। আর বাকি ৩,৫০০ কোটি টাকা একেবারে নতুন প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ হয়েছে। শিক্ষক শিক্ষণের জন্য বরাদ্দ হয়েছে প্রায় ২০০ কোটি টাকা। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অধীন চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক এবং কর্মীদের বেতন নিয়ে রাজ্যকে সমালোচিত হতে হয়েছে। উল্লেখ্য সর্বশিক্ষা এবং রাষ্ট্রীয় মাধ্যমিক শিক্ষা অভিযানের অধীনে যে সব কর্মী রয়েছেন, তাঁদের বেতন কাঠামো এ রাজ্যেই সবচেয়ে নিম্ন মানের। সর্বশিক্ষা মিশনের অধীনে প্যারাটিচারই আছেন প্রায় ৪৮ হাজার’র সমান। এছাড়া ১২০০ স্পেশাল এডুকেটর (বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জন্য), ৩৯০০ জন শিক্ষাবন্ধু এবং ২৬৩০ ব্যবস্থাপক কর্মী রয়েছেন। রাজ্যের প্রতিনিধিদের সামনে অন্যান্য রাজ্যের উদাহরণ তুলে ধরে ধরে সমালোচনা করা হয়েছে। এমনকি এও বলা হয়েছে যে তাদের বেতন বৃদ্ধি করলে তার বেশিরভাগ টাই যখন কেন্দ্র সরকার দেবে তখন ঐ শিক্ষকদের যোগ্য বএতন দিতে রাজ্য সরকারের কিসের কার্পণ্য ! এই প্রসঙ্গে বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বললেন, “এটা অস্বীকার করার জায়গা নেই, বিরোধী দলশাসিত রাজ্যগুলির প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার বঞ্চনা চালাচ্ছে। কিন্তু এ রাজ্যও সঠিক উদ্যোগ এবং স্পষ্ট ধারণার অভাবে মার খাচ্ছে বলে আমাদের মনে হয়। “

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!