এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মমতাকে ফোন মোদির, জেনে নিন কারণ

মমতাকে ফোন মোদির, জেনে নিন কারণ

কারও চিরশত্রু যদি কাউকে ফোন করে, তাহলে তা নিঃসন্দেহে জল্পনা বাড়িয়ে দেয়। রাজনীতির ক্ষেত্রে অবশ্য “চিরশত্রু” নামক বিষয়টা সর্বকাল স্থায়ী নয়। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে যদি সরাসরি ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ফোন করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে! ব্যাপারটি কেমন হবে? এক লহমায় পেশাদার রাজনীতিবিদেরা এই কথা শুনে চমকে উঠবেন। কিন্তু চমকে ওঠার কিছু নেই।

কেননা আগেই বলা হয়েছে যে, রাজনীতির চিরশত্রু নামক শব্দটা বেশিরভাগ সময় উহ্য থাকে। তবে প্রশাসনিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে বিভিন্ন রাজ্যের প্রতি দায়িত্ব রয়েছে কেন্দ্রের। আর তাই তো সেই দায়িত্ব এবং দায়বদ্ধতার নিরিখেই নিজের কর্তব্য পালন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

বস্তুত, শুক্রবার থেকেই পশ্চিমবাংলায় ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের দাপট বাড়তে শুরু করেছে। শনিবার রাতে ছুটি থাকা সত্ত্বেও নবান্নের কন্ট্রোল রুমে বসে গোটা পরিস্থিতির ওপর তদারকি করতে দেখা গেছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তবে দেশের শাসকবর্গ হিসেবে তাদেরও দায়িত্ব রয়েছে রাজ্যের অবস্থার প্রতি নজর রাখা। আর তাই তো প্রাকৃতিক দুর্যোগ কারও হাতে না থাকলেও, এবার রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে জানতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করলেন প্রধানমন্ত্রী বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

সূত্রের খবর, রবিবার সকালে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করার কথা নিজের টুইটের মাধ্যমে জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যেখানে তিনি লেখেন, “সাইক্লোনের দাপটে পূর্ব ভারতের কি অবস্থা, সেই ব্যাপারে খোঁজ নিলাম। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা হল। ওনার সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাব রাজ্যে কিরকম পড়েছে, তা নিয়ে কথা হল। আমি আশসাস দিয়েছি, যদি সাহায্যের প্রয়োজন হয়, কেন্দ্র পাশে রয়েছে। সবার সুরক্ষার প্রার্থনা করছি।”

আর বাংলায় এহেন প্রাকৃতিক দুর্যোগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নরেন্দ্র মোদির ফোন সকলেই রাজ্য বনাম কেন্দ্রের সাংবিধানিক কাঠামোর পরিপূরক বলেই মনে করতে শুরু করেছেন। কিন্তু অনেকে আবার এই ফোনকে অন্য চোখে দেখছেন। কেননা এর আগে যখন ফনী নামক ঘূর্ণিঝড় বাংলার দিকে এসেছিল, তখন কেন্দ্র এবং রাজ্যের তরফে একে অপরকে দোষারোপের প্রক্রিয়া শুরু হয়। কি কাকে ফোন করেছেন এবং কে ফোন ধরেননি, তা নিয়ে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ করেন রাজ্য এবং কেন্দ্রের শাসকবর্গের প্রধান ব্যক্তিরা। আর এই পরিস্থিতিতে বাংলার উপর বুলবুল নামক ঘূর্ণিঝড়ের আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা প্রকট হতেই মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করলেন প্রধানমন্ত্রী বলে মত একাংশের।

তবে শুধু ফোন করাই নয়, দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বাংলার মানুষ যাতে সুরক্ষিত থাকেন, তার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার সবরকম সাহায্য করবে বলেও এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বিশ্লেষকরা বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রায়শই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তোলেন। কিন্তু এবার এই ঘূর্ণিঝড়কে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রী সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই অভিযোগকে অনেকটাই দমিয়ে দিল বলে মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!