এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতা মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিলে? পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে?

মমতা মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিলে? পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  2011 সালের আগে যতবার তৃণমূল কংগ্রেস নির্বাচনে লড়াই করেছে, ততবারই তাদেরকে কখনও ঘোষণা করতে হয়নি যে, তারা ক্ষমতায় এলে মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন। এমনকি 2011 সালে প্রথম পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতা দখল করার পর তাদের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরবর্তীতে 2016 সাল এবং সদ্য সমাপ্ত 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির মত শক্তিশালী দলের সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে সেভাবে বলতে হয়নি যে, তারা জিতলে তাদের মুখ্যমন্ত্রী কে হতে চলেছে। তবে 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হলেও, তিনি নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে পরাজিত হয়েছেন।

সেদিক থেকে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছয় মাসের মধ্যে যে কোনো একটি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জিতে আসতে হবে, এটাই নিয়ম। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি সহ একাধিক বিষয়ের কথা মাথায় রেখে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন না হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সেই মুখ্যমন্ত্রী পদ ছেড়ে দিতে হতে পারে। স্বাভাবিকভাবেই যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী না থাকতে পারেন, তাহলে তার জায়গায় কে হবেন তৃণমূল সরকারের মুখ্যমন্ত্রী, এখন তা নিয়ে জল্পনা ক্রমশ মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে একাধিক নাম আসতে শুরু করেছে।

তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, বিজেপি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে যাতে পশ্চিমবঙ্গের উপনির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া যায়, তার জন্য পরিকল্পনা করছে। এক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাতে মুখ্যমন্ত্রী না থাকে, তার জন্যই তাদের এই সূক্ষ্ম পরিকল্পনা বলে দাবি করা হচ্ছে‌। যদিও বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কোনোভাবেই মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরানো যাবে না বলে যুক্তি দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে যদি সংবিধানকে মান্যতা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী পদ ছাড়তে হয়, তাহলে তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিজ্ঞতার দিক থেকে বেশ কিছু নাম মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য উঠে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যার মধ্যে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সুব্রত মুখোপাধ্যায় থেকে শুরু করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম থেকে শুরু করে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের মতো একাধিক গ্রহণযোগ্য মুখ। অনেকে বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সদস্য এই  ব্যক্তির মধ্যে যে কোনো একজনকে কিছুদিনের জন্য হলেও সামলাতে পারে মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব।বিশেষজ্ঞদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী রাখতে পাল্টা যে তৃণমূলের পক্ষ থেকেও কৌশল গ্রহণ করা হয়েছে, তা বলাই যায়। বিজেপি নিজেদের মতো করে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এই উপনির্বাচন হয়ত বা পিছিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে, তৃণমূলের পক্ষ থেকে সেই অভিযোগ ক্রমাগত করা হচ্ছে।

তবে পাল্টা ঘাসফুল শিবিরের পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা উপনির্বাচন অবিলম্বে করে নেওয়া প্রয়োজন বলে নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করা হয়েছে। যদিও বা কমিশনের পক্ষ থেকে সেই ব্যাপারে কোনো প্রতিক্রিয়া সামনে আসেনি। তাই এই পরিস্থিতিতে মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচনে না লড়েন, তাহলে তাকে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে বিজেপির পক্ষ থেকে চাপ সৃষ্টি করা হতে পারে। আর যদি সেই চাপের কাছে তৃণমূল নেত্রীকে নতিস্বীকার করতে হয়, তাহলে তাকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরে যেতে হবে।

আর তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরে গেলে তাঁর ঘনিষ্ঠ এবং অভিজ্ঞতার দিক থেকে অত্যন্ত পরিণত ব্যক্তিকে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বলে গুঞ্জন ছড়িয়েছে। তবে সঠিক সময় বিধানসভার উপনির্বাচনের না হলে এবং এর দোহাই দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী আসন থেকে সরিয়ে দেওয়া হলে তৃণমূলও যে ছেড়ে কথা বলবে না, তা বলাই যায়। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!