এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মেদিনীপুর > “রাজীব গান্ধি ও জ্যোতি বসু বড় নেতা ’’ – শুভেন্দু

“রাজীব গান্ধি ও জ্যোতি বসু বড় নেতা ’’ – শুভেন্দু

করোনা নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ইতিমধ্যে রাজ্য নির্বাচন কমিশন আপাতত পুরভোট না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাজ্য সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেই সবার সহমতের ভিত্তিতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সোমবার এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছেন বলে জানা গেছে। তবে পুরো ভোটের প্রস্তুতি চলবে বলেই জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনার। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আসন্ন কাঁথি পৌরসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে কাঁথি শহরে তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে এক বর্ধিত কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়।

এই কর্মী সভায় মূল বক্তা ছিলেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। এবং এই কর্মী সভায় আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনের কথা বলতে গিয়ে কাঁথি পৌরসভা বিরোধীশূন্য হবে বলে দাবি করলেন মন্ত্রী। কাঁথির মানুষের সাথে নিজের আত্মিক যোগের দাবি করতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী এদিন বলেন, ‘‘অতীতকে স্মরণ করুন । রাজীব গান্ধি, জ্যোতি বসুর মতো নেতা কাঁথির পৌরসভা ভোটের প্রচারে এসে শিশিরবাবুর কাছে হেরে গেছেন ।’’ এদিন শুভেন্দু অধিকারী আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জানান, 1995 সালে সিপিআইএম জ্যোতি বসুকে এনে কাঁথিতে প্রচার করেও জিততে পারেনি। কর্মী সভায় বিভিন্ন জায়গা থেকে লোক নিয়ে এসে জমায়েত করলেও সে বছর সিপিআইএমের পক্ষে ভোট দেয়নি কাঁথির অধিবাসীরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তার আগে 1987 সালের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীও কাঁথিতে এসে প্রচার করেন। কিন্তু রাজীব গান্ধীও তৎকালীন কংগ্রেস প্রার্থীকে কাঁথিতে জেতাতে পারেননি। এই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন,”রাজীব গান্ধি ও জ্যোতি বসুর থেকে বড় কোনও নেতা আমার জানা নেই।’’ আর এই কথা নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। মুখ্যমন্ত্রীর নাম না নিয়ে মন্ত্রী শুভেদু অধিকারী অন্য দুই দলের বিশিষ্ট নেতাদের উচ্চস্তরের নেতা বলে দাবি করায় তৃণমূল দলের অন্দরেই শুরু হয়েছে গুঞ্জন। পুরসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে কাঁথিতে এবার কে পুরনির্বাচনে দাঁড়াবেন তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা।

দলে এ ব্যাপারে অধিকাংশ কাউন্সিলরদের বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে বলে জানা গেছে। এই অবস্থায় কাঁথির পুরভোটের রণকৌশল চূড়ান্ত করতে শুভেন্দু অধিকারীর সভায় ভিড় হয়েছিল চোখে পড়ার মতো। অন্যদিকে বিরোধী পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক যখন সর্বগ্রাসী, স্বাস্থ্য মহল থেকে ক্রমাগত নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে বড় জমায়েত না করার জন্য, সেখানে শাসক দলের কোনো নেতা কিভাবে অবিবেচকের মত জন সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন ? আপাতত পুরসভার নির্বাচনের মুখে এসে করোনা ভাইরাস এর কারণে নির্বাচন পিছিয়ে গেল। এই মুহূর্তে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শেষ না হলে পুরসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা হবে না বলেই জানা গেছে। আপাতত পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখছে ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!