এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নাগরিকত্ব বিলের স্বপক্ষে মমতাকে কোণঠাসা করতে মেগা মিছিলের পরিকল্পনা বিজেপির

নাগরিকত্ব বিলের স্বপক্ষে মমতাকে কোণঠাসা করতে মেগা মিছিলের পরিকল্পনা বিজেপির

 

সংশোধিত নাগরিক আইন নিয়ে ইতিমধ্যেই কেন্দ্র সরকারের সঙ্গে ধুন্ধুমার লড়াই বেঁধেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের। ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের পর তা সংশোধিত আইনে পরিণত হওয়া সত্ত্বেও, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জোর দাবি, বাংলায় এই আইন লাগু করতে দেওয়া হবে না। যার কারণে ইতিমধ্যেই পরপর দুইদিন পদযাত্রা নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আর এর মধ্যেই ভারতীয় জনতা পার্টির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফ থেকে দিল্লি থেকে এক ঝাঁক নেতা-মন্ত্রী এনে রাজ্যের তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে রীতিমতো গণআন্দোলন তৈরি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করতে দেখা গেল সর্বভারতীয় বিজেপি নেতৃত্বকে। ভারতীয় জনতা পার্টি সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই পরিকল্পনা মোতাবেক কাজ শুরু করে দেবে গেরুয়া শিবির।

তবে সংশোধিত নাগরিক আইন প্রণয়ন করার জন্য কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারকে বা অমিত শাহকে ধন্যবাদ জানাতে এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংশোধিত নাগরিক আইন বিরোধীতাকে প্রতিহত করার ডাক দিয়ে আগামী 23 ডিসেম্বর কলকাতাতে মেগা মিছিলের আয়োজন করেছে বঙ্গ বিজেপি।

জানা যাচ্ছে, ভারতীয় জনতা পার্টির সর্বভারতীয় কার্যকারী সভাপতি জেপি নাড্ডার উপস্থিতিতেই সেই মেগা মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। আর মিছিলের পরে দলীয় কর্মী-সমর্থকদেরকে নিয়ে বৈঠক করবেন কেন্দ্রীয় বিজেপির কার্যকারী সভাপতি। জানা গেছে, 23 তারিখের মিছিলের পরে রাজ্যজুড়ে সংশোধিত নাগরিক আইনের সমর্থনে মিছিল এবং দলীয় কর্মসূচি পালন করবে বঙ্গ বিজেপি বিজেপি। সূত্রে জানা যাচ্ছে, সেই সমস্ত মিটিং মিছিলে উপস্থিত থাকবেন বিভিন্ন কেন্দ্রীয় স্তরের ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্ব এবং মন্ত্রীরা।

তবে এখনও পর্যন্ত ভারতীয় জনতা পার্টির প্রধান লক্ষ, 23 ডিসেম্বরের মিছিলকে সফল করা। কারণ ওইদিন সংশোধিত নাগরিক আইনের স্বপক্ষে বিশাল পরিমাণে জনসমাবেশ ঘটাতে চাইছে গেরুয়া শিবির। জানা যাচ্ছে, নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে প্রথমে মিছিল হবে। তারপরেই সভা হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, সভার প্রস্তুতি সম্পন্ন করার উদ্দেশ্যে গত মঙ্গলবার রাজ্য বিজেপির দপ্তরে একাধিক বৈঠক হয়েছে। যে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টির রাজ্য শীর্ষ নেতৃত্বরা। ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে সেই মিছিলে অন্ততপক্ষে 1 লক্ষ মানুষের জমায়েত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে খবর। এক্ষেত্রে কলকাতার পার্শ্ববর্তী সমস্ত সাংগঠনিক জেলাকে কত কর্মী আনতে হবে, সেই সম্পর্কে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্য নেতৃত্বের তরফ থেকে। মিছিলের পরে সর্বভারতীয় বিজেপির কার্যকারী সভাপতি যে সাংগঠনিক বৈঠক করবেন, হাওড়া জেলায় সেই সমাবেশ করা যায় কিনা! সেই বিষয়ে আলোচনা করছেন ভারতীয় জনতা পার্টির বঙ্গ নেতৃত্বরা।

তবে এখনও পর্যন্ত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুইবার পথে নামলেও, ভারতীয় জনতা পার্টির নাগরিকত্ব আইনের স্বপক্ষে করা মিছিলগুলো কিন্তু বারবার বাধা পেয়েছে পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে বলে অভিযোগ। গতকাল যখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জোড়াসাঁকো পর্যন্ত মিছিল করেছিলেন, ঠিক সেই সময়ই ভারতীয় জনতা পার্টির নেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ অনুপম হাজরা নেতৃত্বে গড়িয়া থেকে একটি মিছিল রওনা দেয়।

তবে যাদবপুরের কাছেই পুলিশের পক্ষ থেকে সেই মিছিল আটকে দিলে বিজেপি কর্মী এবং পুলিশের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। আবার গতকাল যখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাদবপুর থেকে মিছিল শুরু করেন, ঠিক সেই সময়ই হাওড়ার কদমতলা থেকে ভারতীয় জনতা পার্টি মিছিল বার করে। কিন্তু সেই মিছিলে ঠাকুরপুকুরের কাছে আটকে দেয় পুলিশ। তাই এখনও পর্যন্ত বিজেপি 23 তারিখের মেগা মিছিল অনুমতি পাবে কিনা! তাই নিয়েও যথেষ্ট পরিমাণ ধোঁয়াশা রয়েছে।

তবে এই বিষয়ে ভারতীয় জনতা পার্টির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “আমরা পুলিশের অনুমতির পরোয়া করি না। যা ঠিক করব, সেই পথে চলব। যে পুলিশ দেশদ্রোহীতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে না, তাকে আমরা পরোয়া করি না।” রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে নাগরিকত্ব আইনকে কেন্দ্র করে একের পর এক যেমন সাংবিধানিক সঙ্কটের পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে, তা রীতিমত উদ্বেগের। এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংশোধিত নাগরিক আইন বিরোধী আন্দোলন আর ভারতীয় জনতা পার্টির আইনের স্বপক্ষে আন্দোলন আগামী দিনে কি রূপ নেয়! সেদিকেই লক্ষ্য থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!