এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > মমতা পুরনো নেতাকে ফিরিয়ে আনতেই বর্তমান নেতাদের কোণঠাসা করে প্রভাব বিস্তার শুরু অনুগামীদের

মমতা পুরনো নেতাকে ফিরিয়ে আনতেই বর্তমান নেতাদের কোণঠাসা করে প্রভাব বিস্তার শুরু অনুগামীদের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ধীরে ধীরে জটিল হচ্ছে পাহাড়ের রাজনৈতিক পরিস্থিতি। বিমল গুরুং তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করার পর এবং বিজেপির ঘনিষ্ঠ হওয়ার পর পাহাড়ের দায়িত্ব গিয়েছিল বিনয় তামাংয়ের ওপর। কিন্তু এবার সেই বিমল গুরুং আবার তৃণমূল কংগ্রেসের হাত ধরায় অনেকটাই ক্ষুব্ধ হতে শুরু করেছেন বিনয় তামাং এবং তার অনুগামীরা। এবার বিনয় তামাংয়ের উপর চাপ আরও বাড়িয়ে বিমল গুরুংকে নিজেদের নেতা বলে ডুয়ার্সে “মধ্য ডুয়ার্স গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা” কমিটি গঠন করা হল। যাকে নিয়ে পাহাড়ের রাজনীতিতে নতুন করে জল্পনা ঘনীভূত হতে শুরু করেছে।

জানা গেছে, মাদারিহাটের বেশ কয়েকটি বাগানে ইতিমধ্যেই যুব এবং নারী মোর্চার এই কমিটি তৈরি করা হয়েছে। একাংশ বলছেন, বিনয় তামাং গোষ্ঠীকে কোণঠাসা করতেই বিমল গুরুংয়ের গোষ্ঠী ডুয়ার্সের গোর্খা ভোটব্যাংকে হাতিয়ার করে ময়দানে নামতে শুরু করেছে। এতদিন বিমল গুরুং বিজেপির হাত ধরায় তার অনুগামীরা ঘরে বসে গিয়েছিলেন। কিন্তু আবার তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার কথা শুনতে পাওয়ার পরেই তার অনুগামীরা একত্রিত হয়ে ময়দানে নামতে শুরু করলেন।

যার ফলে বিনয় তামাং এবং তার গোষ্ঠী পাহাড়ের রাজনীতিতে কার্যত কোণঠাসা হতে শুরু করল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এতদিন পাহাড় সামলে আসা বিনয় তামাং এবং তার অনুগামীরা যদি এইভাবে কোণঠাসা হতে শুরু করেন, তাহলে তারা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ময়দানে নামতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যার ফলে নতুন করে পাহাড় উত্তপ্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিশ্লেষকদের একাংশ বলছেন, বিমল গুরুংয়ের গোষ্ঠী খুব ভাল করেই জানে, ডুয়ার্সে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে গোর্খাদের পাশাপাশি আদিবাসী ভোটব্যাঙ্ক অন্যতম নির্ণায়ক শক্তি হয়ে দাঁড়াবে। তাই সেই আদিবাসী ভোটব্যাংককে শক্তিশালী করতে তাদের সংগঠনগুলো নিয়ে চলতে চাইছেন বিমল গুরুংয়ের অনুগামীরা। অর্থাৎ তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে নিজেদের শক্তিশালী সংগঠন দেখানো এখন বিমল গুরুং এবং তার অনুগামীদের প্রধান লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেননা ভোটব্যাঙ্কের দিকে তাকিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে যদি নিজেদের শক্তিশালী দিক দেখানো যায়, তাহলে বিনয় তামাংকে অনেকটাই অপ্রাসঙ্গিক করে দেওয়া যাবে।

কিন্তু রাজ্য সরকার চাইছে, দুই পক্ষকে নিয়ে একসাথে পথ চলতে। ফলে সেদিক থেকে বিনয় তামাং এবং বিমল গুরুংয়ের গোষ্ঠী একে অপরের বিরুদ্ধে শক্তি প্রদর্শনের চেষ্টা চালালেও, রাজ্য সরকারের উদ্যোগ কতটা সফলতা পাবে, তা নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। এদিন এই প্রসঙ্গে বিমল গুরুং শিবিরের অন্যতম নেতা সুমন তামাং বলেন, “ডুয়ার্সে গোর্খাদের পাশাপাশি আদিবাসী ভোটব্যাঙ্ক ফ্যাক্টর। সেজন্য আমরা বিভিন্ন আদিবাসী সংগঠন সহ ডুয়ার্সের সব সম্প্রদায়ের মানুষকে নিয়ে শাসকদল তৃণমূল হয়ে কাজ করতে চাই। তবে আমাদের সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশ অনুসারেই কাজ হবে।” সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, পাহাড়ের উদ্ভূত পরিস্থিতির সমাধান করতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!