এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > “আমার গর্ব মমতা”তে ভর দিয়ে সোশ্যাল যুদ্ধে তীব্র লড়াইয়ের প্রস্তুতি ঘাসফুল শিবিরের

“আমার গর্ব মমতা”তে ভর দিয়ে সোশ্যাল যুদ্ধে তীব্র লড়াইয়ের প্রস্তুতি ঘাসফুল শিবিরের


একসময় রাজনীতি মাঠে ময়দানে করাই সবথেকে উপযুক্ত বলে মনে করতেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু বর্তমানে ইট কাঠের দেওয়ালে এখন মাঠে ময়দানে অপেক্ষা সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটেই সেই রাজনীতি বেশি প্রাধান্য পেতে শুরু করেছে। তাতে না আছে খাটনি নেতাদের, না আছে কর্মীদের।

রোদে মানুষের মধ্যে মানুষের সাথে মিশে যাওয়ার মত কঠিন কাজের বদলে আরাম কেদারায় বসে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে নিজেদের প্রচার করতে বেশি পছন্দ করছেন আরাম প্রিয় নেতা নেত্রীরা। সমালোচক মহলের একাংশ যখন এই বলে বর্তমান বঙ্গ রাজনীতির নেতা-নেত্রীদের খোঁচা দিতে শুরু করেছে, ঠিক তখনই লোকসভা নির্বাচনের পরবর্তীতে সেই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটকেই নিজেদের প্রচারের মাধ্যম হিসেবে বেছে নিল তৃণমূল কংগ্রেস।

বস্তুত, এবারে তৃণমূল লোকসভায় খুব একটা ভালো ফলাফল করতে পারেনি। বিজেপি 18 টা আসন পেয়ে 22 টা আসন পাওয়া তৃণমূলের ঘাড়ে ফেলা নিশ্বাসকে আরও দীর্ঘায়িত করেছে। কিন্তু সামনেই 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে নিজের দলের রননীতিকার হিসেবে পরিচিত ভোটগুরু প্রশান্ত কিশোরের প্ল্যানে জনসংযোগ কর্মসূচি বেঁধে দিয়ে দলকে সাধারণ মানুষের দুয়ারে দুয়ারে পাঠাতে শুরু করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

“দিদিকে বলো” এই কর্মসূচির মাধ্যমে ইতিমধ্যেই তৃণমূলের সমস্ত জনপ্রতিনিধিরা সাধারণ মানুষের বাড়ি গিয়ে তাদের সমস্ত অভাব অভিযোগ তারা যাতে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে একটি নির্দিষ্ট নম্বরে পৌঁছে দিতে পারেন, তার কথাও বলছেন বিভিন্ন বিধায়ক। তবে শুধু “দিদিকে বলো” নয়, এর পাশাপাশি কিছুদিন আগেই তৃণমূলের তরফে “আমার গর্ব মমতা” বলে একটি ফেসবুক পেজ খোলা হয়েছে।

ইতিমধ্যেই যার ফলোয়ারের সংখ্যা 90 হাজার 891 এবং লাইক পড়েছে প্রায় 90 হাজার 945 টি। যেখানে অনেকেই এই “আমার গর্ব মমতা” পেজে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা করতে শুরু করেছেন। যেমন, ইন্দ্রানী চন্দ্র নামে একজন লিখেছেন, “আমার গর্ব দিদি। ওর মতো বাংলার জন্য কেউ আগে ভাবেনি।ওর সমালোচনা হয়, তার কারণ তিনি কাজ করেন বেশি। তিনি এসব গায়ে মাখেন না। একনিষ্ঠ ভাবে কাজ করে যান, এটা শেখার মত। তাই তিনি আমাদের গর্বের মুখ্যমন্ত্রী।”

অন্যদিকে ঝতম প্রামানিক নামে এক ব্যক্তি লেখেন, “উন্নয়নের কান্ডারী তিনি। সকল মানুষের কল্যাণ সাধনে সব সময় ব্রতী থাকেন। সাধারণ মানুষের কন্ঠ হল দিদি। তার মধ্যে ঈশ্বর প্রদত্ত ক্ষমতা রয়েছে।”

অন্যদিকে এক সংখ্যালঘু ব্যক্তি শেখ ঝুরুল হক মুখ্যমন্ত্রী সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পক্ষে লড়াই করেছেন বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন এই ফেসবুক পেজে। অন্যদিকে বাংলার বর্তমান সরকার যে উন্নয়ন করেছে, তাতে তারা সকলে গর্বিত বলে “আমার গর্ব মমতা” পেজে জানিয়েছেন কৌশিক মুখার্জি নামে আরেক ব্যক্তি।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, তর্কের খাতিরে এই সমস্ত ব্যক্তিরা তৃণমূলপন্থী হিসেবে ধরে নিলেও “আমার গর্ব মমতা” পেজে যে ভাবে দিনকে দিন লাইক এবং ফলোয়ারের সংখ্যা বাড়ছে এবং তাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যেভাবে ভূয়সী প্রশংসা করতে শুরু করেছেন একাংশ, তাকে কেন্দ্র করে এখন বিরোধীরা এখন এই ব্যাপারটিকে কিভাবে ঢাল দিয়ে আটকায়, সেদিকেই নজর সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!