মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করা নিয়ে দিল্লির বিরুদ্ধে বিদ্রোহের পথে রাজ্য? বাড়ছে জল্পনা জাতীয় রাজ্য August 6, 2018 কিছুদিন আগেই রাহুল গান্ধী জানিয়েছিলেন জোটের নেত্রী হিসেবে যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে লড়তে চান তাহলে কংগ্রেস তাতে বাধা দেবে না। তাঁর এই বক্তব্য থেকে এটা মনে হওয়াই স্বাভাবিক যে আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি হাটাও অভিযানে তৃণমূল নেত্রীকে পুরোভাগে রেখেই এগতে চাইছে কংগ্রেস। কিন্তু রাজ্য কংগ্রেসের সারা দেশ জুড়ে সদ্য হতে চলা কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতির প্রতিবাদে ভারত বাঁচাও কর্মসূচী একদমই অন্য কথা বলছে। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে ——————————————————————————————- এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে। দল সূত্রে জানা গেছে আগামী ১১ই আগস্ট পথে নামছে এরাজ্যের যুব কংগ্রেস। রাজ্য কংগ্রেসের সদর দফতর বিধানভবন থেকে রাজভবন পর্যন্ত মিছিল করে গিয়ে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর কাছে স্মারকলিপি দেবে।মূলত কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এই কর্মসূচী হলেও শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে ছাড় দিচ্ছে না তারা। সারদা-নারদা, নারী নির্যাতন সহ একাধিক ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করবে যুব কংগ্রেস। এখন রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন হল যেখানে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হিসেবে মেনে নেবার গ্রীন সিগন্যাল দিয়েছে সেখানে রাজ্য কংগ্রেসের এই বিরুদ্ধাচারণ কেন? তাহলে কি রাজ্য নেতৃত্ব হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তে অখুশি? এই জল্পনাকে আরও উস্কে দিয়ে যুব কংগ্রেস সভাপতি আল বিরুনি বলেন, “সোনিয়া গান্ধী-রাহুল গান্ধী তো আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে আসেননি বৈঠক করতে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের স্বার্থে গিয়েছিলেন। দেশে বিজেপি সরকার আর রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের জন্য সাধারণ মানুষ চরম সমস্যার মধ্যে রয়েছে।” কেন্দ্র ও রাজ্য দুই জায়গায় নেত্রিত্বের এই আপাতমতবিরোধ ওয়াকিবহাল মহলকে ভাবতে বাধ্য করছে যে এটা কি তাহলে সোনিয়া-রাহুলের নতুন কোন গেম প্ল্যান? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে গেলে অপেক্ষা করতে হবে সেই লোকসভা ভোট অবধি। আপনার মতামত জানান -