বিধানসভার আগে তৃণমূলের নয়া চমক? মমতার হাত ধরে নতুন করে শিল্প স্থাপন সিঙ্গুরে? শুরু জল্পনা তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য হাওড়া-হুগলি November 14, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একসময় সিঙ্গুরে তৎকালীন বাম সরকারের উদ্যোগে টাটার ন্যানো কারখানার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এই কারখানার বিরুদ্ধে সরব হয়ে ব্যাপক আন্দোলন করেছিলেন তৎকালীন বিরোধী নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোনোমতেই কৃষকদের কাছ থেকে জোর করে জমি কেড়ে নিয়ে শিল্প স্থাপন করা যাবে না বলে টানা 26 দিন অনশন করেছিলেন তিনি। কিন্তু এবার সেই সিঙ্গুরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের উদ্যোগে হতে চলেছে শিল্প। যে শিল্প স্থাপন নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গোটা রাজ্যে আন্দোলন শুরু করেছিলেন এবং তৎকালীন বাম সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পথে এগিয়ে গিয়েছিলেন, সেই সিঙ্গুরে এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের উদ্যোগে শিল্প তৈরি হওয়ায় নতুন করে গুঞ্জন ছড়াতে শুরু করেছে। সূত্রের খবর, সিঙ্গুরে পূর্ত দপ্তরের উদ্যোগ এই কারখানা হবে। ইতিমধ্যেই জমি লিজ দেওয়ার তোড়জোড় শুরু করেছে রাজ্যের ক্ষুদ্র, ছোট এবং মাঝারি শিল্প দপ্তর। বস্তুত, ইতিমধ্যেই রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগমের পক্ষ থেকে 10 একর জমিটির পরিকাঠামো গঠনের কাজ সেরে ফেলা হয়েছে। এদিন এই প্রসঙ্গে নিগমের চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্য সচিব রাজীব সিনহা বলেন, “ওই জমি ক্ষুদ্র, শিল্পোন্নয়নের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।” এদিকে এই ব্যাপারে ক্ষুদ্র শিল্প নিগমের চেয়ারম্যান বিপ্লব রায় চৌধুরী বলেন, “আমরা জমি পেয়েছি। কিন্তু হস্তান্তরের জন্য সামান্য প্রশাসনিক কাজ বাকি আছে। তা শেষ হলেই আমি এবং নিগমের কর্তারা জমিটি দেখতে যাব। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, সেই জমি লিজ দেওয়ার কাজ শুরু হবে।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - একাংশ বলছেন, যে এলাকায় কৃষিকাজ ভালো হয়, সেখানে যদি শিল্প হয়, তাহলে কোনো রকম বাধা নেই। এক্ষেত্রে কৃষিভিত্তিক শিল্প হলে উৎপাদিত ফসলকে কাঁচামাল হিসেবে কাজে লাগানো যায়। তাই এবারে সিঙ্গুরে শিল্প তৈরি করার উদ্যোগ নিয়ে রাজ্যবাসীর কাছে নিজেদের শিল্প সদর্থক ভাবনাকেই পৌঁছে দিতে চাইছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকে বলছেন, বিগত বাম আমলে শিল্প করতে না দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে আন্দোলন করেছিলেন, তা তাকে ক্ষমতার কাছাকাছি নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সরকার গঠন হওয়ার পর সেই সিঙ্গুর শেষ হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ করেছিল নানা বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা। যার ফলে সিঙ্গুর নিয়ে ক্রমশ অস্বস্তি বাড়ছিল রাজ্য সরকারের। আর সেই সিঙ্গুরে শিল্প গঠনের মধ্যে দিয়ে নিজেদের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার করতে চাইছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, বিধানসভা নির্বাচনের আগে সিঙ্গুরের দিকে রাজ্য সরকারের এই বাড়তি নজর তাদের ভাবমূর্তি কতটা উজ্জ্বল করে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -