মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতিমত শুভেন্দু অধিকারী ব্যাঙ্কে স্থায়ী চাকরি ছত্রধর মাহাতোর ছেলের রাজ্য June 3, 2018 ছত্রধর মাহাতো। জঙ্গলমহলের পরিচিতি দাপুটে নাম। বামজামানায় নিজস্ব উদ্যোগে গড়ে তুলেছিলেন ‘জনসাধারণের কমিটি’ নামে এক রাজনৈতিকদল। সেই সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পূর্ণ সমর্থন ছিলো এই নেতার পাশে। শোনা যান ছত্রধরের প্রয়াসেই মমতা ব্যানার্জী জঙ্গলমহলে তৃণমূলের ঝান্ডা ওড়াতে সক্ষম হয়েছিলেন। কিন্তু মাওবাদী খেতাব দিয়ে তাকে জেলে পুরেছিল তখন বামেদের সরকার। এদিকে তৃণমূলসরকার ক্ষমতায় এলে যখন অনেক মাওবাদী ছাড়া পেলেন আসা করা হয়েছিল সবার আগে ছাড়া পাবেন ছত্রধর মাহাতো। কিন্তু তেমন কিছু ঘটলো না। এদিকে পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিজেপি আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলো ছত্রধরের পরিবারকে নিজেদের দলে টানতে। এই উদ্দেশ্য নিয়েই বিজেপি নেতা মুকুল রায় পঞ্চায়েত ভোটের আগে লালগড়ের আমলিয়াতে ছোটেন জেলবন্দি ছত্রধরের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে।ছত্রধর মাহাতোর স্ত্রী নিয়তি দেবীর সঙ্গে দেখা হয় শুধু । এ খবর পেয়ে নড়ে চড়ে বসে রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্ব। পরে তারাও নাকি দেখা করতে যায় মাহাতোর পরিবারের সঙ্গে। তাঁর প্রমাণ পাওয়ায় ছত্রধরের পরিবারের আচরণে। স্ত্রী নিয়তি দেবীকে হাঁটতে দেখা যায় ভোটের আগে তৃণমূলের মিছিলে। কিন্তু কী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো এদিন তৃণমূল যার জেরে এরকম ভোল বদল? আসুন জেনে নেওয়া যাক্। এরপরই খবর আসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর তরফ থেকে নাকি আশ্বাস দেওয়া হয়েছে ছত্রধর বাবুর অনুপস্থিতিতে তাঁদের পরিবারকে নিশ্চিত চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। আর ছত্রধরের মুক্তির ব্যাপারেও উদ্যোগী হবে রাজ্যসরকার। সেই প্রতিশ্রুতিই রক্ষা করতে দেখা গেলো নেত্রীকে। ছত্রধরের বড়ছেলে ধৃতিপ্রসাদ মাহাতোকে বিদ্যাসাগর সেন্ট্রাল কো অপারেটিভ ব্যাঙ্কের লালগড় শাখায় চতুর্থ শ্রেণির কর্মী হিসাবে নিয়োগ করা হয় সম্প্রতি। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে জুন মাসের প্রথম তারিখে কাজও শুরু করেছেন তিনি। এ ব্যাপারে মুখ খুললেন বিদ্যাসাগর সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান শুভেন্দু অধিকারি। তিনি জানান,”ছত্রধরের ছেলেকে আমরাই চাকরি দিয়েছি। ও আবেদন করেছিল। ৬টি পদ ফাঁকা ছিল। বোর্ড অফ ডিরেক্টর্সে আলোচনা করেই ওকে চাকরি দেওয়া হয়েছে।” আরো জানা গেছে, পিতার জেলবন্দি অবস্থায় সংসার খরচা চালাতে ধৃতিপ্রসাদকে বড় দেড়েক আগে লালগড় নার্সিং ট্রেনিং স্কুলে ঠিকাদারের অধীনে অস্থায়ী কাজে নিযুক্ত করা হয়েছিলো। সে কাজে নাকি নিয়মিত বেতন পাওয়া যাচ্ছিলো না। এমনটাই অভিযোগে জানিয়েছিলেন তিনি। সেই অস্থায়ী চাকরির বদলে রাজ্যসরকারে উদ্যোগে পেলেন থিতু রোজগারের সুযোগ। এজন্য তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যানেরকে কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছেন। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ধৃতিপ্রসাদের মা নিয়তিদেবীও। তিনি জানান তাঁর স্বামী অবিলম্বে মুক্তি পেলে তিনি আরো খুশি হবেন। সূত্রের খবর বলছে, ইতিমধ্যে ৯ বছর ধরে জেলবন্দি ছত্রধর মাহাতোর জামিনের জন্য হাইকোর্টে আপিলও করা হয়েছে। গ্রীষ্মের ছুটির পর হাইকোর্ট খুললে শুনানি হতে পারে বলে আশা করছেন নিয়তিদেবী। আপনার মতামত জানান -