টিকিয়াপাড়া নিয়ে কড়া অবস্থান সুনিশ্চিত করতে রাত্রেই বড়সড় পদক্ষেপ মুখ্যমন্ত্রীর! রাজ্য হাওড়া-হুগলি April 29, 2020 করোনা মোকাবিলায় এমনিতেই সবসময় সচেষ্ট থাকতে হচ্ছে তাকে। একদিকে করোনা পরিস্থিতি তদারকি, অন্যদিকে রাজ্যের প্রশাসনিক ব্যবস্থা সামলাতে হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কখনও বিরোধী আবার কখনও বা সমালোচক মহলের তরফে আসছে প্রবল চাপ। পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে প্রবল চেষ্টা করা হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে যাতে রাজ্যে অন্য কোনো বেগতিক পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়, তার জন্য নজর রাখছে প্রশাসন। কিন্তু এরই মাঝে হাওড়া টিকিয়াপাড়ায় ঘটে যায় এক ভয়াবহ ঘটনা। যেখানে লকডাউন অমান্যকারীরা রাস্তায় নামলে পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের ভালোর জন্য তাদেরকে বাড়ি ফেরার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু তা না শুনে সেই পুলিশ কর্মীদের ওপর আঘাত হানে কিছু যুবক। যেখানে পুলিশের ওপর লাঠি গুলি চালানোর পাশাপাশি তাদের গাড়ি ভাঙচুর করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে কিছু যুবকের বিরুদ্ধে। আর এরপরেই রাজ্য জুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। যেখানে পুলিশ প্রশাসনের নিরাপত্তা বিঘ্নিত, সেখানে সাধারণ মানুষ কিভাবে সুরক্ষা পাবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করে বিরোধীরা। তবে প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে তিনি যে গোটা অন্যায় মেনে নেবেন না, তা কার্যত প্রমাণ করে দিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তি প্রয়োগের আশ্বাস দেওয়ার পাশাপাশি রাতেই আরও একটি কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন তিনি। সূত্রের খবর, এদিন হাওড়ার টিকিয়াপাড়া বেলিলিয়াস রোডে পুলিশের ওপর আক্রমনের ঘটনার পরেই রাত এগারোটার সময় নবান্নের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - যেখানে জানানো হয়, হাওড়ার অতিরিক্ত জেলা শাসক ধবল জৈন আপাতত হাওড়া পৌরসভার পৌর কমিশনার পদে দায়িত্ব সামলাবেন। বস্তুত, এতদিন হাওড়া পৌরসভার পৌর কমিশনার পদে ছিলেন বিজিন কৃষ্ণা। কিন্তু এদিন পুলিশের ওপর হামলার ঘটনার পর তাকে সরিয়ে দিয়ে অতিরিক্ত জেলা শাসকের দায়িত্ব দেওয়ার পর কার্যত শোরগোল তৈরি হয়েছে। তাহলে কি হাওড়া পৌর কমিশনার বিজিন কৃষ্ণা থাকার সময় এই ধরনের ঘটনা ঘটল, আর তাই রোষানলে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল তাকে? সত্যিই কি এর পেছনে একটা কারণ রয়েছে? নাকি এর পেছনে রয়েছে আরও কারণ? বিরোধীদের দাবি, বিজিন কৃষ্ণাকে বলির পাঠা করা হল। আসলে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে। তাই সত্যকে ঢাকতে এই ধরনের পদক্ষেপ নিল প্রশাসন। এদিকে ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তার করতে ময়দানে নেমে পড়েছে পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য পুলিশের ট্যুইট রিট্যুইট করার পর কার্যত প্রমাণ হয়ে গেছে যে, এই ঘটনা রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একেবারেই বরদাস্ত করেন না। প্রসঙ্গত, টিকিয়াপাড়ার ঘটনার পর এই নিয়ে তীব্র শোরগোল শুরু হয়ে গেছে গোটা রাজ্যজুড়েই। বিরোধীরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন, রাজ্যের পুলিশমন্ত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় – কিন্তু এই ঘটনা প্রমান করে দিচ্ছে, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা আর মুখ্যমন্ত্রীর আয়ত্তে নেই। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এখনই যদি টিকিয়াপাড়াকে কড়া হাতে আয়ত্ত করতে না পারেন, তাহলে বিরোধীদের এই সুর আগামীদিনে মমতা ব্যানার্জির বিরাসে আরও চড়বে। এখন গোটা পরিস্থিতি কোনদিকে গড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলে। আপনার মতামত জানান -