এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > মমতার উত্তরবঙ্গ সফরের আগেই বিধানসভার প্রস্তুতি শুরু করে দিল তৃণমূল! বাড়ছে জল্পনা!

মমতার উত্তরবঙ্গ সফরের আগেই বিধানসভার প্রস্তুতি শুরু করে দিল তৃণমূল! বাড়ছে জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিগত লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের আটটি লোকসভা আসনের মধ্যে সাতটি দখল করেছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। স্বভাবতই বিজেপির এই উত্থানে উত্তরবঙ্গের মাটি কিছুটা হলেও তৃণমূলের জন্য হালকা হতে শুরু করে। যার পরে নানা ব্লুপ্রিন্ট সাজিয়ে কিভাবে উত্তরবঙ্গের সংগঠনকে শক্তিশালী করা যায়, তার জন্য পরিকল্পনা শুরু করে দেয় ঘাসফুল শিবির। সম্প্রতি প্রশাসনিক বৈঠক করতে উত্তরবঙ্গে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আর তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর সফর শেষের পরই এবার বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে নিজেদের কর্মসূচি শুরু করে দিতে চাইছে জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। অর্থাৎ একদিকে নেত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ এবং অন্যদিকে নেত্রী উত্তরবঙ্গ ছাড়ার পরই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিরোধীদের কুপোকাত করার চেষ্টার রণকৌশল সাজাল জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সূত্রের খবর, আগামী 4 অক্টোবর থেকে এই কর্মীসভা শুরু করার চিন্তাভাবনা শুরু করেছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে প্রথমে কোন বিধানসভায় এই কর্মীসভা হবে, তা এখনও ঠিক করা সম্ভব হয়নি। জানা গেছে, মুখ্যমন্ত্রীর সফরের পরই আগামী 3 অক্টোবর জলপাইগুড়িতে আসতে চলেছেন তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্বরা। আর দোলাদেবীকে নিয়ে মিটিংয়ের পরেই ঐক্যবদ্ধভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে বিধানসভা ধরে ধরে কর্মীসভার মধ্যে দিয়ে দলকে শক্তিশালী করতে চাইছে ঘাসফুল শিবির বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একাংশের মতে, জলপাইগুড়ি জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল চরমপর্যায়ে রয়েছে। সেদিক থেকে তৃণমূল যদি এখনই সেই গোষ্ঠী কোন্দল মিটিয়ে না নেয়, তাহলে তাদেরকে ভবিষ্যতে ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। তাই সেই দিকটিকে মাথায় রেখে মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরের পরই নিজেদের জেলার সংগঠনকে শক্তিশালী করতে উদ্যোগী হচ্ছে জলপাইগুড়ি জেলা নেতৃত্ব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এদিন এই প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল সভাপতি কিষাণ কুমার কল্যাণী বলেন, “আমরা 4 অক্টোবর থেকে বিধানসভা ভিত্তিক কর্মীসভা করব। প্রতিটি বিধানসভা এলাকায় ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে সামিল হব। এনিয়ে ইতিমধ্যেই তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান, সভাপতি, বিধায়ক এবং জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে একপ্রস্থ বৈঠক হয়েছে।” এদিকে এই ব্যাপারে জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান খগেশ্বর রায় বলেন, “বহু মানুষ জলপাইগুড়ি জেলায় নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে কয়েকমাসের মধ্যেই তৃণমূলে ফিরে এসেছেন। আমরাও ঐক্যবদ্ধ ভাবে লড়াইয়ে নামতে চাই। আমাদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ নেই। বিরোধীরা কমজোরি। ওরা সেটা জানে। একুশের বিধানসভা ভোটে বিরোধীদের খুঁজে পাওয়া যাবে না। সব আসনে আমরাই থাকব। দিন কয়েক আগেই জেলার নেতারা কলকাতা থেকে বৈঠক করে ফিরেছেন। দলের সাংগঠনিক অবস্থা নিয়ে সেখানে কথা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর সফর শেষ হলেই পুরোদস্তুর রাজনৈতিক লড়াইয়ে নেমে পড়ব।”

সব মিলিয়ে এবার মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরের শেষের পরই বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ময়দানে নামতে উদ্যোগী জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!