এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > মতুয়া ভোট ফিরে পেতে মমতার ভরসা ‘পুরানো সেই দিনের কথা’! ‘গর্ব’ না করে নিজেই জানালেন সেই কথা

মতুয়া ভোট ফিরে পেতে মমতার ভরসা ‘পুরানো সেই দিনের কথা’! ‘গর্ব’ না করে নিজেই জানালেন সেই কথা


গত লোকসভা নির্বাচনে উত্তর 24 পরগনার মতুয়াদের ভোট অনেকটাই চলে গিয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টিতে। যার ফলে মতুয়াদের আধিক্য থাকা বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্র দখল করেছে বিজেপি। আর বিজেপি এই কেন্দ্র দখলের পর থেকেই সেখানে কার্যত অস্তিত্ব সংকট দেখা দিতে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেসের।বর্তমানে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ইস্যুতে তৃণমূল বিজেপির বিরোধিতা করলেও, অনেকেই এই আইনের পরিপ্রেক্ষিতে আতঙ্কে রয়েছেন।

কেননা একাংশের দাবি যে, যদি তারা তাদের নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে না পারেন, তাহলে তাদের দেশ ছাড়া হতে হবে।সেদিক থেকে অনেকেই কাগজপত্র তৈরি করতে মশগুল রয়েছেন। পাশাপাশি অনেক ক্ষেত্রেই বিজেপির শরণাপন্ন হতে শুরু করেছেন এখানকার মানুষ। যা তৃণমূল কংগ্রেসকে কিছুটা হলেও অস্বস্থিতে ফেলেছে।

আর এই পরিস্থিতিতে এবার বনগাঁয় এসে বিজেপিকে মোকাবিলা করার আপ্রাণ চেষ্টা করলেন তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, এদিন বনগাঁ এবং রানাঘাটের দুটি সভাতে বক্তব্য রাখেন তৃণমূল নেত্রী। আর সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রথমে প্রয়াত বড়মা বীণাপাণি দেবীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “আজ থেকে 20 বছর আগেকার কথা বলব। তখন আমি বড়মাকে চিনতাম না। মমতাবালা ঠাকুরকে চিনতাম না। আমাদের এখনকার খাদ্যমন্ত্রী বালু তখন আমাকে বলত, দিদি একবার বড়মার কাছে যাবে! একবার মতুয়া ঠাকুরবাড়িতে যাবে! আমার মনে আছে, আজ থেকে কুড়ি পঁচিশ বছর আগে ঠাকুরবাড়িতে আমি যে গেলাম, তখন থেকে বড়মার সঙ্গে আমার সম্পর্ক।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তিনি আরও জানান, “বড়মা যতদিন বেঁচে ছিলেন, তখন কেউ তাকে দেখেনি। আমি দেখেছি বলে গর্ব করছি না। আপনাদের জানাচ্ছি।” অন্যদিকে তাদের দাবি মেনে স্থানীয় রেল স্টেশন এবং গুরুচাঁদ কলেজের উন্নয়ন করে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি উদ্বাস্তুদের নিঃশর্ত জমির দলিল দেওয়ার জন্য তিনিই প্রথম ব্যবস্থা করেছিলেন বলেও এদিনের সভায় জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী।

তৃণমূল নেত্রী বলেন, “1984 সালে আমি যাদবপুরে সাংসদ হয়েছিলাম। তখন যাদবপুরের মানুষের আমায় বলেছিলেন, আমরা নিঃস্বার্থ জমির দলিল চাই। আমি লোকসভায় দিতে গিয়ে দিনের পর দিন লড়াই করে সেটা করিয়ে এনেছিলাম। তাই আজ উদ্বাস্তুরা জমির মালিকানা পেয়েছেন। এগুলো কেন করে দিয়েছি জানেন! যাতে কেউ বলতে না পারে, আইনত তোমাদের অধিকার নেই।”

তিনি জানান, “আইনত আপনারা অধিকার পেয়ে গেলেন। আপনাদের আর কেউ কোনোদিন এখান থেকে সরাতে পারবে না।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একদিকে যেমন তৃনমূল নেত্রী মতুয়াদের সঙ্গে নিজের সম্পর্কের কথা তুলে ধরার চেষ্টা করলেন, ঠিক তেমনি উদ্বাস্তুদের স্বার্থে তার সরকার ঠিক কি কাজকর্ম করেছে, তাও সকলকে জানিয়ে দিয়ে সাধারণ মানুষের সমর্থন নিজের দিকে আনার চেষ্টা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে মত একাংশের।

তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এত কথা বললেও, তাকে পাল্টা এই ব্যাপারে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন তিনি বলেন, “মতুয়াদের জন্য কে কি করেছে, তা তারাই সবচেয়ে ভালো জানেন। একসময় তারা সিপিএমকে ভোট দিতেন। তারপর তৃণমূলকে ভোট দিয়েছেন। এখন সব দেখেশুনেই তারা বিজেপির দিকে এসেছেন।” সব মিলিয়ে বনগাঁর সভা থেকে এবার নাগরিকত্ব ইস্যুতে বিজেপিকে কোণঠাসা করার মরিয়া চেষ্টা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!