এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > মমতাকে চাপে ফেলতেই কি কেন্দ্রীয় এজেন্সি? ভুয়ো টিকা নিয়ে ইডির তৎপরতায় বাড়ছে জল্পনা!

মমতাকে চাপে ফেলতেই কি কেন্দ্রীয় এজেন্সি? ভুয়ো টিকা নিয়ে ইডির তৎপরতায় বাড়ছে জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  কেন্দ্রীয় এজেন্সি নিয়ে বারবার অভিযোগ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস সারদা থেকে নারদা, বিভিন্ন ঘটনাকে হাতিয়ার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে রাজ্যের শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীদের উপর নির্যাতন করছে বলে অভিযোগ উঠে এসেছে ঘাসফুল শিবিরের পক্ষ থেকে। অর্থাৎ কেন্দ্রীয় এজেন্সি যে নিরপেক্ষ নয়, তা বারবার প্রমাণ করার চেষ্টা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে এবার আশ্চর্যজনকভাবে ভুয়ো টিকা কান্ডের ঘটনা সামনে আসার পরেই যেভাবে কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের পক্ষ থেকে তৎপরতা দেখানো হল, তাতে গুঞ্জন ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে রাজ্যজুড়ে।

ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের কাছে বেশ কিছু নথি চেয়ে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। যার জেরে নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যেখানে কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে তদন্ত করা হচ্ছে, সেখানে কেন আগ বাড়িয়ে ইডির পক্ষ থেকে তৎপরতা দেখানো হল? একাংশ বলছেন, আসলে শাসক দলের অনেক নেতা, নেত্রীর নাম জড়িয়ে পড়েছে। তাই তৃণমূল কংগ্রেসের ওপর আরও বেশি করে চাপ বাড়াতে কেন্দ্রীয় এজেন্সির এই কৌশল বলে দাবি করছেন একাংশ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি ভুয়ো টিকা কাণ্ডের ঘটনায় আলোরন পড়ে যায় গোটা রাজ্যজুড়ে। গ্রেফতার হন এই গোটা ঘটনার সঙ্গে যুক্ত মূল পান্ডা দেবাঞ্জন দেব। আর তারপরই ধৃতের সঙ্গে তৃণমূলের একাধিক নেতা, মন্ত্রীর ছবি প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে। যার ফলে শাসক দলের ওপর ক্রমশ চাপ বাড়াতে থাকে ভারতীয় জনতা পার্টি। আর এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির পক্ষ থেকে কলকাতা পুলিশের কাছে কিভাবে তদন্ত চালানো হচ্ছে এবং কিভাবে গোটা ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তার ব্যাপারে সমস্ত নথি চাওয়া হয়েছে। যা দেখে অনেকেই বলছেন, আসলে সবটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকারকে একটা চাপে রাখার কৌশল। আর সেই কারণেই সরাসরি কেন্দ্রীয় এজেন্সির পক্ষ থেকে ভুয়ো টিকা কাণ্ড নিয়েও নাক গলানোর প্রক্রিয়া সামনে এল।

যদিও বা এই ব্যাপারে অন্য যুক্তি দিতে দেখা যাচ্ছে ইডিকে। তাদের দাবি, তদন্তের অনেক গভীরে ঢুকতে হবে। আর সেই কারণেই তাদের এই তৎপরতা। তবে রাজ্যের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সংস্থার এই তৎপরতা নিয়ে যে ভবিষ্যতে প্রশ্ন তুলবে তৃণমূল কংগ্রেস, তা একপ্রকার নিশ্চিত। অনেকে বলছেন, কলকাতা পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। সেক্ষেত্রে তাদের ওপর ভরসা না করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এই তৎপরতা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!