প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বিজেপি বিরোধী জোট তৈরি করতে সমস্ত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে এক ছাতার তলায় আসার বার্তা অনেক দিন ধরেই দিয়ে আসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই তার সেই বার্তা কাজে দেয়নি। মাঝেমধ্যেই অনেক বিরোধী দলের নেতা, নেত্রীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেছেন ঠিকই। কিন্তু নির্বাচনের সময় আসলেই সকলে আলাদা আলাদা ভাবে লড়াই দিয়েছে। তবে সামনেই লোকসভা নির্বাচন।

আর তার আগে এবার এক ছাতার তলায় আসার চেষ্টা করছে সমস্ত বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। আর সেই লক্ষ্য নিয়েই আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার বাংলায় এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আর সেই বিষয় নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়েই কেন্দ্রের শাসক শিবিরের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিলেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন।

প্রসঙ্গত, এদিন এই ব্যাপারে শান্তনু সেনকে একটি প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে এই তৃণমূল সাংসদ বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একমাত্র নেত্রী, যিনি গোটা দেশে বিজেপি বিরুদ্ধে লড়াই করার বার্তা দিয়েছেন। তাই দেশের যত বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা রয়েছেন, তারা সকলে মিলে বাংলায় আসলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং তার সঙ্গে আলোচনা করেন। জাতীয় রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গুরুত্ব অপরিসীম।”

বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছুদিন আগেই তৃণমূল দলের সর্বভারতীয় তকমা চলে গিয়েছে। আর তারপর থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসকে আঞ্চলিক দল বলে প্রতি সময় কটাক্ষ করছে বিজেপি। আর এই পরিস্থিতিতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বাংলায় আসা এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎকারকে হাতিয়ার করে আগামী দিনে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি বিরোধীতার প্রধান মুখ হতে চলেছে, সেই বার্তা গেরুয়া শিবিরের কাছে পৌঁছে দিতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস।আর সেই কারণেই শান্তনু সেনের পক্ষ থেকে এই ধরনের দাবি করে গেরুয়া শিবিরের অস্বস্তি বাড়িয়ে দেওয়ার একটা কৌশল অবলম্বন করা হলো। স্বভাবতই তৃণমূল সাংসদের এই বক্তব্যে কেন্দ্রের শাসক শিবির কিছুটা হলেও চাপে পড়বে বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।