এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মমতাকে ক্ষমতায় আনা তিনমূর্তিই এবার বিজেপিকে নবান্নের পাশাপাশি ছোট লালবাড়ির দখলও দিতে চলেছেন?

মমতাকে ক্ষমতায় আনা তিনমূর্তিই এবার বিজেপিকে নবান্নের পাশাপাশি ছোট লালবাড়ির দখলও দিতে চলেছেন?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একসময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠন বলতে মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারী এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কেই বুঝতেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে দল ক্ষমতায় আসার পর প্রশাসনিক কাজে বেশি লিপ্ত হওয়ার পরও সেভাবে দলের কাছে নজর দিতে পারেননি তৃণমূল নেত্রী। কিন্তু বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে সেই মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারী এবং শোভন চট্টোপাধ্যায় তিনজনই প্রতিপক্ষ ভারতীয় জনতা পার্টিতে নাম লিখিয়েছেন।

আর এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের ঘর ভেঙে যখন একদা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ সৈনিকদের কাজে লাগিয়ে আগামী বিধানসভায় রাজ্যের ক্ষমতা দখল করতে চাইছে ভারতীয় জনতা পার্টি, ঠিক তেমনই কলকাতা পৌরসভা দখলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একসময়কার এই তিন সঙ্গীকে কাজে লাগাতে চাইছে গেরুয়া শিবির বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বলা বাহুল্য, দীর্ঘদিন কলকাতা পৌরসভার মহানাগরিক ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একসময়কার প্রিয় সঙ্গী শোভন চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু সেই শোভনবাবু এখন ভারতীয় জনতা পার্টির অন্যতম নেতা। সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে কলকাতা পৌরসভার নির্বাচন হতে পারে বলে জল্পনা ছড়িয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে সেই শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গুরুত্ব দিয়ে তাকে কলকাতার পর্যবেক্ষক করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

একাংশ বলছেন, শোভন চট্টোপাধ্যায় কলকাতার পর্যবেক্ষক হওয়ার কারণে তৃণমূল অনেক দিক থেকেই চাপে পড়বে। একদিকে দীর্ঘদিন মহানাগরিক থাকার কারণে তিনি যেমন গোটা কলকাতা শহরকে খুব ভালো করে চেনেন, তাই তাকে যদি বিজেপি কলকাতা পৌরসভা ভোটে মুখ করে তাহলে তারা অনেকটাই মাইলেজ পেয়ে যেতে পারে। এছাড়াও তৃনমূলে থাকার সময় এই শোভন চট্টোপাধ্যায় দক্ষিণ 24 পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি ছিলেন। স্বাভাবিক ভাবেই তৃণমূলের অনেক নীচুতলার কর্মীদের সঙ্গে তাঁর ভালো যোগাযোগ রয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাই যদি তিনি সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে বিজেপির হয়ে ব্যাটিং করতে শুরু করেন, তাহলে কলকাতা এবং তার সংলগ্ন অঞ্চলে তৃণমূলের সংগঠন কার্যত প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে যাবে বলেই আশঙ্কা করছেন একাংশ। শোভন চট্টোপাধ্যায় এর পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারী এবং মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে যে লাগাতার চাপের কারণ তা বলার অপ সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সাথে সাথেই তৃণমূলে ভাঙ্গন ধরবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন এমনকি তার হাত ধরে প্রায় প্রতিদিনই তৃণমূলের ছোট-বড়-মাঝারি স্তরের নেতারা বিজেপিতে যোগদান করতে শুরু করেছেন।

আর এই পরিস্থিতিতে বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একসময়কার তিন সঙ্গীকে যদি বিজেপি সামনের সারিতে দাঁড় করিয়ে লড়াই করতে শুরু করে, তাহলে তৃণমূল নেত্রী বা তার দল অনেকটাই চাপের মুখে পড়বে। আর শুধু বিধানসভা নির্বাচনে মসনদ দখল করা নয়, এবার পৌরসভার নির্বাচনকে কেন্দ্র করেও মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারী এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে সামনের সারিতে দাঁড় করাতে পারে ভারতীয় জনতা পার্টি।

অনেকে বলছেন, এই মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারী এবং শোভন চট্টোপাধ্যায় খুব কাছ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখেছেন। তারা জানেন, তৃণমূলের অন্দরমহলের পরিস্থিতি। তাই বিজেপি তাদের কাজে লাগাতে শুরু করলে এবং গুরুত্ব দিয়ে সংগঠন পরিচালনার দায়িত্ব দিলে, তারা বিজেপির অন্যান্য নেতাদের থেকে খুব ভালো করেই তৃণমূলের বিড়ম্বনার কারণ হয়ে দাঁড়াবেন বলেই মনে করছে গেরুয়া শিবিরের ঘনিষ্ঠ মহল। তাই এখন নবান্ন দখলের পাশাপাশি কলকাতা পৌরসভা দখলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একসময়কার তিনসঙ্গীকে কাজে লাগিয়ে তৃণমূল নেত্রীর অস্বস্তি বাড়িয়ে দিতে উদ্যত ভারতীয় জনতা পার্টি। তবে বিজেপির এই চেষ্টা কতটা সার্থক হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!