এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতাকে স্বস্তি দিয়ে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ময়দানে বামেরা, বাড়ছে জল্পনা!

মমতাকে স্বস্তি দিয়ে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ময়দানে বামেরা, বাড়ছে জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  দ্বিতীয় তৃণমূল সরকারের আমলে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে শপথ নেন জগদীপ ধনকর। নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত এই ব্যক্তি। পরবর্তীতে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা থেকে শুরু করে শিক্ষা, বিভিন্ন বিষয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যায় সাংবিধানিক প্রধানকে। যার জেরে অস্বস্তিতে পড়ে যায় তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার।

এদিকে তৃণমূলের চাপ বাড়িয়ে দ্বিতীয় তৃণমূল সরকারের আমলে বিরোধী দলের ক্ষমতায় থাকা বাম এবং কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মাঝেমধ্যেই রাজ্যপালের কাছে গিয়ে নানা অভিযোগ জানানো হত। যার ফলে বাড়তি হাতিয়ার পেয়ে যেতেন রাজ্যপাল। আর তৃতীয় তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর সেই বাম এবং কংগ্রেস বিরোধী দলের মর্যাদা খুইয়েছে। একটিও প্রতিনিধি রাজ্য বিধানসভায় পাঠাতে সক্ষম হয়নি তারা।

সেদিক থেকে 77 টি আসন পেয়ে বিরোধী দলের জায়গা দখল করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। আর ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই হিংসা সহ একাধিক ইস্যুতে রাজ্যের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গেছে রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকারকে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রতি মুহূর্তে বলা হচ্ছে, রাজ্যপাল সংবিধান বিরোধী কাজ করছেন। আর এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কট্টর বিরোধী বামেদের পক্ষ থেকে সেই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ময়দানে নামার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। যার ফলে তৃণমূল কংগ্রেস যথেষ্ট স্বস্তি পাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বাম শরিক দলগুলোর মধ্যে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আর সেখানেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় যে, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তারা ময়দানে নামবেন। এক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকার সংবিধান বিরোধী কাজ করছে বলে অভিযোগ করে বামেরা। স্বাভাবিক ভাবেই এই সিদ্ধান্তের ফলে রীতিমত আলোড়ন পড়ে গিয়েছে রাজ্যজুড়ে। একাংশ বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজ্যে কার্যত বামেরা অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গিয়েছে। তাই রাজ্য রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিকতা ফিরে পেতে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সংবিধান-বিরোধী আচরণের অভিযোগ তুলে সাধারণ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছে বামফ্রন্ট।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর সেই কারণেই মাঠে-ময়দানে নেমে নিজেদের প্রতিবাদের মধ্যে দিয়ে রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণের চেষ্টা করছে তারা। তবে বামফ্রন্টের এই উদ্যোগের মধ্যে দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস যে যথেষ্ট স্বস্তি পাবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কেননা তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রতি সময়ে বিজেপির মুখপাত্র হিসেবে রাজ্যপাল কাজ করছে বলে অভিযোগ করা হয়। সেদিক থেকে বিরোধী দল বামেরা সেই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে ময়দানে নামার কারণে তৃণমূল এই বিষয়ে হাতিয়ার করে রাজ্যপাল এবং গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে আরও বেশি করে সোচ্চার হতে পারে।

একাংশ বলছেন, ইতিমধ্যেই দিল্লি সফরে গিয়েছেন রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকার। দিল্লিতে গিয়ে তিনি কোন কোন বিষয় তুলে ধরবেন এবং কার কার সাথে বৈঠক করবেন, তা অবশ্যই লক্ষণীয় বিষয়‌। কেননা ইতিমধ্যেই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপির বিধায়করা। দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করার অনুরোধ করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

আর এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের হিংসার কথা তুলে ধরে আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছেন সাংবিধানিক প্রধান। যার জেরে তৃণমূলের পক্ষ থেকে ফের আক্রমণ করা হয়েছে রাজ্যপালকে। স্বভাবতই তৃণমূল কংগ্রেস এবং রাজভবনের মধ্যে দূরত্ব যখন বাড়ছে, ঠিক তখনই সেই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ময়দানে নামার সিদ্ধান্ত নিল বামেরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!