এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মমতার অতীতই কি এই বিপদে সাহায্য পেতে বড় বাধা হবে? লড়তে হবে একাই? বাড়ছে জল্পনা

মমতার অতীতই কি এই বিপদে সাহায্য পেতে বড় বাধা হবে? লড়তে হবে একাই? বাড়ছে জল্পনা


করোনা আবহে কাঁপছে পুরো বিশ্ব – বাংলাতেও রোজই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। আর সেই পরিস্থিতিতে গোদের উপর বিষফোঁড়ার মত বাংলার বুকে ঝাঁপিয়ে পড়ল ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় আমফান! যার তান্ডবে কার্যত লন্ডভন্ড হয়ে গেছে বাংলার বিস্তীর্ন অঞ্চল! অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে জনজীবন – কবে সব স্বাভাবিক হবে এখনই কেউ বলতে পারছেন না।

স্বাভাবিকভাবেই, এত বড় দুর্যোগের পরে, প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাপ করতে কিছুটা সময় লাগবেই। কিন্তু, গতকালই ঝড় থামার পরেই নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন লক্ষ লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতি হয়ে গেছে! একই সঙ্গে তিনি কেন্দ্রকে অনুরোধ করেন রাজনীতি সরিয়ে রেখে সহানুভূতির সঙ্গে যেন বাংলার এই ক্ষতির ব্যাপারটা দেখা হয়।

আর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর এহেন সাংবাদিক বৈঠকের পরেই সিপিআইএম প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে তাঁর অতীতের অবস্থান নিয়ে। যার জেরে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে জনমানসেও। প্রসঙ্গত ২০০৯ সালের মে মাসেও এইরকমই এক ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় ‘আয়লা’ বাংলার বুকে আছড়ে পড়েছিল। ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছিল সুন্দরবনের বিস্তীর্ন অঞ্চল – হয়েছিল ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি। সবদিক খতিয়ে দেখে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-এর কাছে ১০০০ কোটি টাকা সাহায্যের জন্য আবেদন করেছিলেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু তৎকালীন বিরোধী নেত্রী তথা কেন্দ্রীয় সরকারের শরিক ও রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধিতা করেছিলেন এবং কেন্দ্রকে সেই টাকা দিতে মানা করেছিলেন বলে বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়। ওই সব খবরের পরিপ্রেক্ষিতে জানা যায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ ছিল, প্রথমত বাৎসরিক বিপর্যয় তহবিল সঠিকভাবে ব্যবহার করেনি তৎকালীন পশ্চিমবঙ্গ সরকার। পাশাপাশি সরকারি তহবিলের টাকা সিপিএম নেতা-কর্মীদের হাতে যাওয়ারও অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি।

যদিও তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই দাবিকে উড়িয়েই কলকাতায় এসে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সঙ্গে বৈঠক করেন তৎকালীন অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়। আর এইসবের পরিপ্রেক্ষিতেই এবার রাজনৈতিকমহলে প্রশ্ন উঠছে – বর্তমানেও কেন্দ্রীয় শাসকদল বিজেপির বঙ্গীয় নেতারা দাবি করে থাকেন, মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় তহবিল সঠিকভাবে ব্যবহার করেন না বা সেই টাকা তাঁর দলীয় নেতা-কর্মীদের হাতে যায়!

আর তাই, রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, তাহলে কি এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অতীতের কথা তুলে ধরেই, তাঁর সরকারের কেন্দ্রীয় সাহায্য পাওয়া আটকানোর জন্য এবার তীব্র আওয়াজ উঠবে? বিশেষ করে যখন তিনি লক্ষ লক্ষ কোটি ক্ষতির কথা ইতিমধ্যেই তুলে ধরেছেন? যদিও, এই বিপর্যয়ের আগেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ ফোন করে সবরকমের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ১১ বছর আগের অবস্থান তুলে ধরেই এবার অনেক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!