এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > মমতার বিরুদ্ধে মেরুকরণের বিস্ফোরক অভিযোগ মোদীর, টালমাটাল রাজ্য রাজনীতি!

মমতার বিরুদ্ধে মেরুকরণের বিস্ফোরক অভিযোগ মোদীর, টালমাটাল রাজ্য রাজনীতি!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন, তৃণমূল থেকে বিজেপি সকল দলের কাছে কার্যত অগ্নিপরীক্ষা। তৃণমূল কংগ্রেস যেমন চাইছে, তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যের ক্ষমতায় ফিরতে, ঠিক তেমনই বিজেপি চাইছে, রাজ্যের ক্ষমতা দখল করতে। এক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন হুইলচেয়ার করে বিভিন্ন জায়গায় সভা-সমিতিতে ব্যস্ত থাকছেন, তখন প্রতিনিয়ত রাজ্যে এসে বিভিন্ন জায়গায় সভা করতে দেখা যাচ্ছে নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে অমিত শাহের মত হেভিওয়েট নেতাদের।

স্বাভাবিক ভাবেই লড়াইয়ের মাত্রা এখন তুঙ্গে উঠেছে। আর এই পরিস্থিতিতে হিন্দু ভোট থেকে শুরু করে মুসলমান ভোট সমস্ত মানুষের সমর্থন যাতে তৃণমূলের দিকে থাকে, তার জন্য বিভিন্ন সভা থেকে আবেদন করছেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্ষেত্রে কিছুদিন আগে একদিকে বিজেপিকে সাম্প্রদায়িক এবং অন্যদিকে নির্বাচন কমিশন বিজেপির মত কাজ করছে বলে অভিযোগ করতে দেখা গেছে তাকে।

স্বাভাবিক ভাবেই রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই জোড়া অভিযোগের জবাব দিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যেখানে কিছুদিন আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের করা একটি মন্তব্যকে হাতিয়ার করে তৃণমূল নেতৃত্বের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিলেন তিনি। যেক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকল মুসলিমদের এক হওয়ার কথা বলে মেরুকরণের রাজনীতি করছেন বলেও বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন প্রধানমন্ত্রী।

সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাজ্যে এসে সভা করে তৃণমূল নেত্রীকে একহাত নেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, “আপনার মত যদি আমরা বলতাম, সব হিন্দু এক জোট হয়ে বিজেপিকে ভোট দাও, নির্বাচন কমিশন আট থেকে দশটা নোটিশ পাঠিয়ে দিত। সংবাদপত্রের শিরোনামে ছাপা হত‌। সম্পাদকীয় লেখা হত দুনিয়াজুড়ে। আমি জানি না নির্বাচন কমিশন আপনাকে নোটিশ পাঠিয়েছেন কিনা! আপনি প্রকাশ্যে বলছেন, মুসলিমরা এক হয়ে যাও। আমাকে বাঁচাও। দিদি আপনি হারছেন বলেই এটা বলছেন।”

বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই মন্তব্য করে তিনটি বিষয় বোঝানোর চেষ্টা করলেন। একদিকে তিনি যেমন বুঝিয়ে দিলেন, নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এবং বিজেপি ঘনিষ্ঠতার যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা একেবারেই ঠিক নয়। এক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ধরনের বক্তব্য দিলেও নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে তাকে নোটিশ পাঠানো হয়নি। আর এই ঘটনাতেই প্রমাণ হয়ে যায়, নির্বাচন কমিশন পক্ষপাত দুষ্ট নয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেরুকরণের রাজনীতি করছেন বলে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের মনে তৃণমূল সম্পর্কে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করার কৌশলী পদক্ষেপ নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবারের নির্বাচনে পরাজিত হচ্ছেন। তাই তিনি এখন এইসব কথা বলছেন বলে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন তিনি। অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্যকে হাতিয়ার করেই তৃণমূল নেত্রীকে কার্যত বিড়ম্বনায় ফেলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

একাংশের দাবি, বারবার বিজেপিকে সাম্প্রদায়িক দল বলে আক্রমণ করেছে তৃণমূল কংগ্রেসে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন জনসভা থেকে বিজেপিকে সেই একই অভিযোগ করে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে দেখা গেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। স্বাভাবিক ভাবেই যখন তার দলের বিরুদ্ধে একেরপর এক বিস্ফোরক অভিযোগ করছেন তৃণমূল নেত্রী, তখন কোনোভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করা থেকে পিছিয়ে আসতে নারাজ প্রধানমন্ত্রী।

তৃতীয় দফার ভোটকে কেন্দ্র করে যখন উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজ্য, তখন রাজ্যে সভা করে সেই ব্যাপারে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী। সব মিলিয়ে মেরুকরণের রাজনীতির অভিযোগ এবং কমিশনকে নিয়ে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ খণ্ডন করে তৃনমূল নেত্রীকে ব্যাকফুটে ফেলে দিলেন মোদী বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!