এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > মমতার বিরুদ্ধে মুখের অভাব! মোদী-শাহের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিলেন সব্যসাচী!

মমতার বিরুদ্ধে মুখের অভাব! মোদী-শাহের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিলেন সব্যসাচী!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে তৃণমূলের প্রধান মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হলেও, বিজেপির মুখ কে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে বিজেপির পক্ষ থেকে বারেবারে দাবি করা হয়েছিল, তারা সর্বভারতীয় দল। এভাবে তাদের মুখ ঠিক করা হয় না‌। ভোটের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন। আর এই পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিজেপির সঠিক মুখ না থাকার জন্যই যে এই ধরনের ফলাফল হল, তা কার্যত স্বীকার করে নিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন নেতা তথা বর্তমান বিজেপি নেতা সব্যসাচী দত্ত।

যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সঠিক মুখ না থাকার কথা শোনা গেল তার গলায়। স্বাভাবিক ভাবেই সব্যসাচী দত্তর এই ধরনের মন্তব্য সরাসরি বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের দিকেই যে প্রশ্ন তুলে দিল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বলা বাহুল্য, বাংলায় পরিবর্তন নিয়ে আসতে বিজেপি রাজ্য নেতারা যেমন প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন, ঠিক তেমনই সপ্তাহের দুই থেকে তিন দিন বাংলায় প্রচার করতে দেখা গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে।

যেখানে আধা বাংলা ভাষায় বক্তব্য রাখতে দেখা গিয়েছিল তাদের। তবে যদি বিজেপি জয়লাভ করে, তাহলে তো নরেন্দ্র মোদী বা অমিত শাহ মুখ্যমন্ত্রী হবেন না। সেক্ষেত্রে তাদের মুখ কে, এই প্রশ্ন তুলে দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। যার সঠিক জবাব ছিল না ভারতীয় জনতা পার্টির কাছে। এক্ষেত্রে দলীয় গঠনতন্ত্রের কথা তুলে ধরে তারা সর্ববৃহৎ দল, এই বার্তা বারবার দিতে চেয়েছিল গেরুয়া শিবির। কিন্তু ভোটের ফলাফলে প্রমাণ হয়ে গেছে, বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর আস্থা রেখেছে। আর তারপরেই সেই সঠিক মুখ না থাকার আক্ষেপ শোনা গেল বিজেপি নেতা সব্যসাচী দত্তের গলায়।‌

সূত্রের খবর, এদিন বিজেপির রাজ্য কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আর শেষ বৈঠক থেকে বেরিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠা মুখ তুলে না ধরার ব্যর্থতা কার্যত স্বীকার করে নেন সব্যসাচীবাবু। তিনি বলেন, “আমার ভালো লাগতে পারে, বা নাও লাগতে পারে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন প্রতিষ্ঠিত মুখ। দশ বছর ধরে তিনি মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে রাজ্য সরকার পরিচালনা করেছেন। সেই 10 বছরের উল্টোদিকে একটা তো কোনো মুখের দরকার ছিল। সেরকম কোনো মুখ আমরা তুলে ধরতে পারিনি।”

স্বাভাবিক ভাবেই সব্যসাচী দত্তর এই মন্তব্য যে বিজেপি রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে যথেষ্ট অস্বস্তির মুখে ফেলে দিল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সঠিক মুখ তুলে ধরার অভাবের কথা বলে সব্যসাচীবাবু ভোটের আগে তৃণমূলের পক্ষ থেকে যে অভিযোগ করা হয়েছিল, সেই অভিযোগেই সীলমোহর দেওয়ার চেষ্টা করলেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যার ফলে নির্বাচনের পরবর্তী সময়কালে সব্যসাচী দত্তের মত হেভিওয়েট বিজেপি নেতার গলায় এই ধরনের মন্তব্য এখন রীতিমত চাপে ফেলে দিয়েছে গেরুয়া শিবিরকে। একাংশ বলছেন, ভোটের ফলাফল ভালো না হওয়ার কারণে বিজেপি রাজ্য নেতাদের বিরুদ্ধে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেছিলেন। তবে সঠিক মুখ না থাকার কথা বলে শুধু রাজ্যস্তরের নেতা নয়, একেবারে কেন্দ্রীয় স্তরের নেতৃত্বদেরও বিড়ম্বনা বাড়িয়ে দিলেন বিধাননগর পৌরসভার প্রাক্তন মেয়র।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বিজেপি বহিরাগত পার্টি, এই অভিযোগ বারবার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। যাকে খন্ডন করতে বিজেপির পক্ষ থেকে নানা কথা বলা হলেও, বাংলার মানুষ যে ঠিকমত বিজেপি নেতাদের গ্রহণ করেননি, তা ফলাফলেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। ভোটের প্রচারে মানুষের মুখে মুখে বারা বিজেপির সাধারণ নেতা-কর্মীদের মুখে মুখে জয় শ্রীরাম স্লোগান শোনা গেলেও, আদতে ভোটবাক্সে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি সমর্থন রেখেছেন বাংলার মানুষ।

আর এর প্রধান কারণ যে বিজেপির পক্ষ থেকে সঠিক মুখ না দিতে পারা, তা কার্যত স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, রাজ্যে বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচার করে গেলেও, তারা যে বাংলার মসনদ সামলাবেন না, তা ভালোই বুঝতে পেরেছেন বাংলার মানুষ। যার পরিপ্রেক্ষিতে কে হবে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী, তা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন তৈরি হয়েছিল। অনেকে দাবি করতে শুরু করেছিলেন, দিলীপ ঘোষ হবেন তাদের মুখ্যমন্ত্রী।

আবার অনেকে বলতে শুরু করেছিলেন, শুভেন্দু অধিকারী বিজেপির পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হবেন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কোনো ব্যক্তিত্বকেই যে বাংলার মানুষের পছন্দ হয়নি, তা ফলাফলের মধ্যে দিয়ে স্পষ্ট বলে জানিয়ে দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। আর পরিস্থিতিতে সঠিক মুখের অভাব যে ভারতীয় জনতা পার্টির এবারের ভরাডুবির প্রধান কারণ, তা রাখঢাক না করে জানিয়ে দিলেন বিজেপি নেতা সব্যসাচী দত্ত।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!