মমতার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ সিবিআইয়ের? শীর্ষ আদালতের নির্দেশে জল্পনা! জাতীয় তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য May 26, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নারদ মামলা সুপ্রিম কোর্ট থেকে প্রত্যাহার করে নিয়ে কিছুটা হলেও পিছু হটেছে কেন্দ্রের তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে একটি নির্দেশ আদায় করতে সক্ষম হয়েছে তারা। যেখানে সরাসরি চাপে রাখা যাবে তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বলা বাহুল্য, গত 17 তারিখে নারদ কান্ডে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং সুব্রত মুখোপাধ্যায়। এছাড়াও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র এবং রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। আর তারপরই সিবিআইয়ের দপ্তর নিজাম প্যালেসে চলে আসেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দীর্ঘক্ষন সেখানে বসে থাকেন তিনি। বাইরে শুরু হয় তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বিক্ষোভ। প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে সিবিআই তৃণমূলের নেতা, মন্ত্রীদের গ্রেপ্তার করেছে বলে অভিযোগ করা হয়। আর এই পরিস্থিতিতে তদন্তপ্রক্রিয়া যখন সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে চালানো হচ্ছে, তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে উপস্থিত হয়ে প্রভাব বিস্তার করেছেন বলে অভিযোগ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। স্বাভাবিক ভাবেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হলেও, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযুক্তদের ছাড়াতে এরকম ভাবে সক্রিয় হতে পারেন কিনা, তা নিয়ে নানা মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। আর এই পরিস্থিতিতে এবার এই ব্যাপারে বড় বার্তা দিল দেশের শীর্ষ আদালত। আর তার মধ্যে দিয়ে অনেকটাই অস্বস্তিতে পড়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, নারদ কান্ডে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের পর প্রভাব বিস্তার করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিবিআই দপ্তর উপস্থিত হয়ে তার দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা অশান্তিকে বাড়িয়ে দিয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে নারদ মামলা যে রাজ্য পরিচালনা করা সম্ভব নয়, সেই ব্যাপারে বারবার জোর দিয়ে এসেছে কেন্দ্রে তদন্তকারী সংস্থা। আর সেই বিষয়টি তুলে ধরে দেশের শীর্ষ আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে সিবিআই। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - যার পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। তাই কেউ যদি আইনকে প্রভাবিত করতে চায়, তাহলে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতেই পারে। স্বাভাবিক ভাবেই শীর্ষ আদালতের এই ধরনের তার মধ্যে দিয়ে সিবিআই যে বড় অস্ত্র পেয়ে গেল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর এখানেই প্রশ্ন তৈরি হয়েছে, তাহলে কি এবার প্রভাব বিস্তার করার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে কেন্দ্রের তদন্তকারী সংস্থা? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কাটা দিয়ে বর্তমানে কাঁটা তুলতে চাইছে কেন্দ্রে তদন্তকারী সংস্থা। একদিকে ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যে হিংসার ঘটনা বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। তার মধ্যে রাজ্যপালের পক্ষ থেকে কেন্দ্রের কাছে রিপোর্ট রাজ্যের শাসকদলের কাছে যথেষ্ট উদ্বেগজনক। আর এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হতে পারে বলে একাংশের মধ্যে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। আর তার মাঝেই নারদ কান্ডে অভিযুক্তদের পক্ষে দাড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিবিআই দপ্তরে দীর্ঘক্ষন ধরনা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে বড় হাতিয়ার হয়ে দাঁড়িয়েছে। আইনের চোখে সবাই সমান বলে শীর্ষ আদালতের পক্ষ থেকে সিবিআইয়ের কোর্টে বল ঠেলে দেওয়ায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাপে রাখতে বড় কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে বলেই দাবি করছেন একাংশ। যা রাজ্যের শাসক দল বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে যথেষ্ট অস্বস্তিজনক হয়ে দাড়াবে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -