এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতার দেখানো পথেই পা বাড়ালেন দুই হেভিওয়েট বিজেপি নেতা, বাড়ছে গুঞ্জন!

মমতার দেখানো পথেই পা বাড়ালেন দুই হেভিওয়েট বিজেপি নেতা, বাড়ছে গুঞ্জন!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  শুরুটা করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে তিনি পরাজিত হওয়ার পর থেকেই কারচুপি হওয়ার আশঙ্কা করতে শুরু করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশ। সম্প্রতি এই ব্যাপারে নন্দীগ্রাম বিধানসভার ফলাফল নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরেই আরও চার বিধানসভা কেন্দ্রের পরাজিত তৃণমূল প্রার্থীরা নিজেদের বিধানসভা কেন্দ্রের ফলাফল পুনর্গণনা করার আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টের মামলা করেন। পাল্টা বিজেপির পক্ষ থেকেও জানিয়ে দেওয়া হয়, যে সমস্ত বিধানসভা কেন্দ্রে তারা অল্প ভোটে পরাজিত হয়েছেন, সেই ব্যাপারেও তারা আদালতের দ্বারস্থ হবেন।

আর এবার জল্পনা বাড়িয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের ফলাফল নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন, ঠিক তেমনই মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে এবং জলপাইগুড়ির পরাজিত বিজেপি প্রার্থীর পক্ষ থেকে পুনর্গণনার আর্জি জানানো হল কলকাতা হাইকোর্টে। যাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, এই দুই পরাজিত বিজেপি প্রার্থী হয়ত বা শুরু করলেন। পরবর্তীতে আরও অনেক বিধানসভা কেন্দ্রের পরাজিত বিজেপির প্রার্থীরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে ফলাফল পুনর্বিবেচনার জন্য তদবির জানাতে পারেন। আর যদি এই সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে শুরু করে, তাহলে তা বঙ্গ রাজনীতিতে নয়া মাত্রা ধারণ করবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সূত্রের খবর, এদিন কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে তার বিধানসভা কেন্দ্রে গণনায় কারচুপি হয়েছে বলে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন কল্যান চৌবে। একইভাবে জলপাইগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে সামান্য ভোটে পরাজিত বিজেপি প্রার্থীর পক্ষ থেকেও কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের করা হয় মামলা। যেখানে সামান্য ভোটে পরাজিত হওয়ার জন্য সেখানকার ফলাফল নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন তিনি। মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্রের পরাজিত বিজেপি প্রার্থী বলেন, “আমার কেন্দ্রে 3 হাজার 363 ভোটে এগিয়ে থাকতে দেখেছিলাম তৃণমূল প্রার্থীকে। কিন্তু চূড়ান্ত ফলে কুড়ি হাজারের কাছাকাছি ভোটে তিনি জয়লাভ করলেন। এমন অসামঞ্জস্য কিভাবে হল? হাইকোর্টে আমি পুনর্গণনার দাবিতে মামলা করেছি। আটজন বিজেপি প্রার্থী পুনর্গণনার চেয়েছে। এরমধ্যে সোমবার দুটি মামলার শুনানি রয়েছে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অর্থাৎ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূলের একাধিক পরাজিত প্রার্থীরা পুনর্গণনা চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলে বিজেপিও যে ছেড়ে কথা বলবে না, তা এই ঘটনার মধ্যে দিয়েই পরিষ্কার হয়ে গেল। অর্থাৎ আগামী দিনে একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রের ভবিষ্যৎ যে হাইকোর্টের দরজায় গিয়ে কড়া নাড়তে চলেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না‌। স্বাভাবিক ভাবেই এই ব্যাপারে এখন আদালত কি নির্দেশ দেয়, সেটাই লক্ষণীয় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে সকলের কাছে।

পর্যবেক্ষকদের মতে, 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি কার্যত আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছিল, তারা রাজ্যের ক্ষমতা দখল করবে। এক্ষেত্রে 200 আসন দখল তাদের পক্ষে সম্ভব না হলেও, তারা তিন অঙ্কে পৌছবে বলেই আশা রেখেছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। কিন্তু ফলাফলে সম্পূর্ণ বিপরীত হয়েছে। দুই অঙ্কের বেশি যেতে পারেনি গেরুয়া শিবির। আর তারপর থেকেই এত বিজেপির হাওয়া থাকা সত্ত্বেও, কেন 77 টি আসন পেয়ে গেরুয়া শিবিরকে থমকে যেতে হল, তা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হয়েছিল।

আর এবার সরাসরি মানিকতলা এবং জলপাইগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীদের পক্ষ থেকে ফলাফলের ব্যাপারে সংশয় প্রকাশ করে হাইকোর্টে দায়ের হল মামলা। স্বাভাবিক ভাবেই পরাজিত বিজেপি প্রার্থীদের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের পর মানিকতলা এবং জলপাইগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের ভবিষ্যৎ কী হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!