মমতা দিল্লি যাওয়ার আগেই বড়সড় সুখবর, অভিষেককে নিয়ে মাস্টারস্ট্রোক কংগ্রেসের! কংগ্রেস জাতীয় তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য July 25, 2021 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- আজ অর্থাৎ রবিবার বিকেলেই দিল্লি পাড়ি দিচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মূলত, বিজেপি বিরোধী মহাজোট গঠনে তার এই দিল্লি সফরের যে যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ইতিমধ্যেই একুশে জুলাইয়ের শহীদ সমাবেশের মঞ্চ থেকে সেই কথা বুঝিয়ে দিয়েছেন তৃনমূল নেত্রী। তবে জাতীয় স্তরে বিজেপি বিরোধী জোট গঠনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বার্তায় অন্যান্য বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর কতটা সম্মতি প্রকাশ করবে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়। সেদিক থেকে সবথেকে বড় গুঞ্জন তৈরি হয়েছিল জাতীয় কংগ্রেসকে নিয়ে। কেননা কংগ্রেস থেকে বেরিয়েই একসময় তৃণমূল কংগ্রেস গঠন করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, বাংলার কংগ্রেসের সঙ্গে তার সম্পর্ক খুব একটা ভালো নয়। তাই এই পরিস্থিতিতে জাতীয়স্তরে কংগ্রেস নেতা, নেত্রীদের বার্তা দিয়ে তাদের সঙ্গে কি কাছাকাছি আসা সম্ভব হবে তৃণমূল নেত্রীর, তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল জল্পনা। আর এই পরিস্থিতিতে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি সফরের আগেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দিয়ে একটি টুইট করতে দেখা গেল জাতীয় কংগ্রেসকে। যেখানে পেগাসাস ইস্যুর কথা তুলে ধরে সেই টুইট করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই সর্বভারতীয় স্তরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধির যখন চেষ্টা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তখন তার ছবিকে সামনে এনে কংগ্রেসের এই ধরনের টুইট এবং বিজেপিকে চাপে ফেলার প্রবণতা তৃণমূল কংগ্রেস, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে যথেষ্ট উজ্জীবিত করবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্রের খবর, এদিন কংগ্রেসের পক্ষ থেকে একটি টুইট করা হয়েছে। যেখানে লেখা রয়েছে, “নিজেদের শত্রুদের চোখে চোখে রাখতে হয়। এই প্রবাদ ধরে কাজ করতে গিয়ে মোদী একটু বেশি বাড়াবাড়ি করে ফেলেছেন।” আর তারপরেই নিচে হ্যাশট্যাগ দিয়ে লেখা রয়েছে, “পেগাসাসস্নুপগেট।” আশ্চর্যজনক ভাবে এই টুইটের পরেই তৃণমূলের বর্তমান সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তৃণমূলের স্বস্তি বাড়িয়ে সেই ছবির পাশে আরও লেখা রয়েছে, “আপনি ক্রোনোলজিটা বুঝুন। পেগাসাসে গুপ্তচরবৃত্তির লক্ষ্য। কে? অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো। কখন? 2021। কেন? পশ্চিমবঙ্গের ভোটের সময়। মোদী সরকারের নিরাপত্তাহীনতার শেষ নেই।” আর এখানেই তৈরি হয়েছে জল্পনা। সদ্য সমাপ্ত 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে বারবার তৃণমূলের সাংগঠনিক নীতি নিয়ে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছে বাংলার প্রদেশ কংগ্রেস। এক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার ভাইপোর কথা তুলে ধরে পরিবারতন্ত্র চলছে বলেও কটাক্ষ করতে দেখা গিয়েছিল অনেক কংগ্রেস নেতাদের। কিন্তু এবার জাতীয় স্তরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিজেপি বিরোধী মহাজোট গঠনের সম্ভাবনা তৈরি হতেই কি জাতীয় কংগ্রেস তৃণমূলের প্রতি সুর নরম করতে শুরু করল? আর সেই কারণেই পেগাসাস ইস্যুতে বিজেপির বিরুদ্ধে চাপ তৈরি করতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দিয়ে এই ধরনের টুইট করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি সফরের আগে তাকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করা হল? ইতিমধ্যেই এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে গুঞ্জন ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে জাতীয় রাজনীতিতে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিকে এই প্রসঙ্গে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, “বিরোধী কোনো নেতার ফোনে আড়িপাতার বিরুদ্ধে কংগ্রেস নেতৃত্ব প্রতিবাদ জানাতেই পারে। শুধু অভিষেক নয়, দেশের অনেক বিরোধী নেতা আছেন, যাদের ফোনে আড়িপাতার অভিযোগ উঠেছে। শুধু রাজনৈতিক নেতৃত্ব নন, দেশের বহু উল্লেখযোগ্য মানুষের ফোনেও আড়িপাতা হয়েছে। সবার আগে পুরো বিষয়টির তদন্ত করা দরকার। এই ঘটনায় কংগ্রেস সার্বিক প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং তা বিশেষ দলের জন্য নয়। প্রতিবাদ মানেই এই নয় যে, নতুন কোনো সমীকরণ তৈরি হচ্ছে।” অন্যদিকে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই ধরনের টুইট করার সাথে সাথেই তাকে স্বাগত জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, “কংগ্রেস অভিষেকের ফোনে আড়িপাতার ঘটনার নিন্দা করায় আমরা তাদের ধন্যবাদ জানাই। রাহুল গান্ধী সহ বিভিন্ন বিরোধী দলের নেতা, বিচারপতি, প্রাক্তন সিবিআই কর্তাদের ফোনে আড়িপাতার ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর আমরাও প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম। আমরা চাই, দুটি রাষ্ট্র যেমন পেগাসাস নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে, তেমনই কেন্দ্রীয় সরকারও তদন্ত করে প্রকৃত সত্য প্রকাশে আনুক।” একাংশ বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি সফরের আগেই কংগ্রেসের এই ধরনের ট্যুইট যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। তাহলে কি বিজেপি বিরোধী মহাজোট গঠনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কংগ্রেস এক পথে চলতে চায় বলেই তার দিল্লি সফরের কিছু সময় আগেই পেগাসাস ইস্যুতে তৃণমূলের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করা হল? কংগ্রেসের ট্যুইট ঘিরে এখন নানা রকম সম্ভাবনা সামনে আসতে শুরু করেছে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -